দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২১-জুন’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তবে কোম্পানিটির মুনাফায় চমক দেখিয়েছে।

আজ বুধবার (১৪ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ লাফার্জহোলসিমের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ৯৬ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ২৮ পয়সা ছিল।

অন্যদিকে হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২১-জুন’২১) কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ৭৩ পয়সা ছিল।

দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২ টাকা ৮২ পয়সা, যা গত বছর ১ টাকা ৬৯ পয়সা ছিল। গত ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৫ টাকা ৮০ পয়সা।

অরিজা এগ্রো ও মাস্টাল ফিডের আইপিও অনুমোদন: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এসএমই খাতে দুই কোম্পানিকে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছে। কোম্পানি দুটি হলো: অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং মাস্টাল ফিড এগ্রোটিক লিমিটেড।

আজ বুধবার (১৪ জুলাই) বিএসইসির ৭৮৪তম সভায় স্মলক্যাপের এই দুই কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়া হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।  অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ কিউআইও এর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূলে ১ কোটি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।

কোম্পানিটি উত্তোলিত অর্থ দিয়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, কার্যকরী মূলধন এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানিটির ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.০২ টাকা এবং পুন:মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৯ পয়সায়।

এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেনের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর ইস্যুয়ার কোম্পানি কোনো বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে যথাক্রমে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল এবং সিটি ব্যাংক রিসোর্সেস। সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় যে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে যে সকল ইনডিভিজ্যুয়াল ইনভেস্টর (রেসিডেন্ট অ্যান্ড নন-রেসিডেন্ট) এর বাজার মূল্যে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ কোটি টাকা বা তদুর্ধ্ব সে সকল ইন্ডিভিজ্যুয়াল ইনভেস্টর কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে বিবেচিত হবে।

উল্লেখ্য, এটি কোনো পাবলিক অফার নয়, বাংলাদেশে এসএমই প্লাটফর্মে তালিকাভুক্তির জন্য কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার (কিউআইও)। অন্যদিকে, মাস্টার ফিড এগ্রাটিক লিমিটেড কিউআইও এর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূলে ১ কোটি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটি উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কার্যকরী মূলধন এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৬৮ পয়সা এবং পুন:মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮ পয়সায়। এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেনের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর ইস্যুয়ার কোম্পানি কোনো বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এনবিএল ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট এবং এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পাটনার্স ইনভেস্টমেন্ট। সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় যে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে যে সকল ইনডিভিজ্যুয়াল ইনভেস্টর (রেসিডেন্ট অ্যান্ড নন-রেসিডেন্ট)এর বাজার মূল্যে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ কোটি টাকা বা তদুর্ধ্ব সে সকল ইন্ডিভিজ্যুয়াল ইনভেস্টর কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে বিবেচিত হবে।

উল্লেখ্য, এটি কোনো পাবলিক অফার নয়, বাংলাদেশে এসএমই প্লাটফর্মে তালিকাভুক্তির জন্য কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার (কিউআইও)।

পুঁজিবাজারের লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা: ঈদুল আজহার আগে পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে আগের নিয়মে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। খোলা থাকবে রোববারও। লকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত যে বিধিনিষেধ দিয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং কার্যক্রমের সময়সীমা বাড়ালেও রোববার সাপ্তাহিক ছুটির তালিকায় রেখেছিল। ফলে রোববার বন্ধ ছিল পুঁজিবাজারের লেনদেন।

পবিত্র ঈদের আগে বিধিনিষেধ শিথিল করায় মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। নতুন নির্দেশনায় রোববারও ব্যাংক খোলা থাকবে। ফলে ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই রোববার, ১৯ জুলাই সোমবার ব্যাংকের লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত।

বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময় নির্ধারণ হয়ে আসছে। এবারও সেভাবেই হবে। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারের লেনদেন চলবে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। রোববারও খোলা থাকবে পুঁজিবাজার।

সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শাটডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে। চলমান দ্বিতীয় দফার শাটডাউন শেষ হচ্ছে বুধবার। ঈদুল আজহা সামনে রেখে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিলতা থাকছে সব ধরনের বিধিনিষেধে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন নিয়ে ব্যাংকের সিদ্ধান্তের পরপরই ব্যাংক লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজারের লেনদেনের নতুন সময়সূচি জানিয়ে আসছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম লকডাউন বা শাটডাউনে পুঁজিবাজার বন্ধ রাখার পক্ষে নন; বরং ব্যাংকের লেনদেন সময়সূচির সঙ্গে সমন্বয় রেখে পুঁজিবাজার খোলা রাখার কথা তিনি জানিয়ে আসছেন শুরু থেকেই।

এর আগে ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সময়ে শাটডাউনে ব্যাংকের কার্যক্রমের সময়সূচি পরিবর্তন হওয়ার পর পুঁজিবাজারের নতুন লেনদনে সময়সীমা কী হবে, তা দুই দফা পরিবর্তন করে রাত প্রায় ১২টায় তা চূড়ান্ত করা হয়।

চলমান লকডাউনে ব্যাংকের লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলছে। আর পুঁজিবাজারের লেনদেন চলছে ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত, যা বুধবার পর্যন্ত বহাল থাকবে। করোনা পরিস্থিতিতে ৫ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণার পর পুঁজিবাজারের লেনদেন চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। ১২ এপ্রিল পর্যন্ত এভাবেই চলেছে লেনদেন।

পরে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে আবারও ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করলে তখন ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজারের লেনদেন সময়সীমা বাড়ানো হয় আধা ঘণ্টা; দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত করা হয় লেনদেন। সর্বশেষ ৬ এপ্রিল থেকে সে সময়সীমা বৃদ্ধি করে বেলা দেড়টা পর্যন্ত করা হয়। শেষে গত ৩০ মে থেকে আবারও পুরো সময় সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত লেনদেন হয় পুঁজিবাজারে।

ডিএসই ১২ কোম্পানির বিক্রেতা উধাও: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৬৬টির বা ৪৪.৫০ শতাংশ শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এদিন সর্বোচ্চ দরে ১২ কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। চলাকালীন সময়ে এসব কোম্পানির শেয়ার দর সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলো হলো- জিকিউ বলপেন, পেপার প্রসেসিং, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, বেঙ্গল উইন্ডসর, শাইনপুকুর সিরামিক, মুন্নু ফেব্রিক্স, অ্যাক্টিভ ফাইন, সালভো ক্যামিকেল, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, রহিম টেক্সটাইল, প্রভাতী ইন্সুরেন্স ও সিলকো ফার্মা।

জিকিউ বলপেন: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার প্রথম স্থানে ছিল বিবিধ খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১১৮ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৩০ টাকা ১০ পয়সা এবং ক্লোজিং দরও হয়েছে ১৩০ টাকা ১০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১১ টাকা ৮০ পয়সা বা ৯.৯৭ শতাংশ।

পেপার প্রসেসিং: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিল পেপার খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১০৫ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১১৫ টাকা ৮০ পয়সা এবং ক্লোজিং দরও হয়েছে ১১৫ টাকা ৮০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা বা ৯.৯৭ শতাংশ।

তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৭৮ টাকা ৪০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা এবং ক্লোজিং দরও হয়েছে ৮৬ টাকা ২০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭ টাকা ৮০ পয়সা বা ৯.৯৪ শতাংশ।

বেঙ্গল উইন্ডসর: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার চতুর্থ স্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২৬ টাকা ৭০ পয়সা এবং ক্লোজিং দরও হয়েছে ২৬ টাকা ৭০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯.৮৭ শতাংশ।

শাইনপুকুর সিরামিক: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার পঞ্চম স্থানে ছিল সিরামিক খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৭ টাকা ৫০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৩০ টাকা ২০ পয়সা এবং ক্লোজিং দরও হয়েছে ৩০ টাকা ২০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯.৮১ শতাংশ।

মুন্নু ফেব্রিক্স: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার ষষ্ঠ স্থানে ছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৩ টাকা ৫০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২৫ টাকা ৮০ পয়সা এবং ক্লোজিং দরও হয়েছে ২৫ টাকা ৮০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯.৭৮ শতাংশ।

অ্যাক্টিভ ফাইন: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার সপ্তম স্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২১ টাকা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২৩ টাকা ১০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ২৩ টাকা। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ টাকা বা ৯.৫২ শতাংশ।

সালভো ক্যামিকেল: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার অষ্টম স্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৩ টাকা ৭০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৩৭ টাকা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৬ টাকা ৯০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ২০ পয়সা বা ৯.৪৯ শতাংশ।

ফারইস্ট ফাইন্যান্স: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার নবম স্থানে ছিল আর্থিক খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬ টাকা ৯০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৭ টাকা ৫০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৭ টাকা ৫০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬০ পয়সা বা ৮.৬৯ শতাংশ।

রহিম টেক্সটাইল: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার দশম স্থানে ছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৩০ টাকা ৯০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২৫১ টাকা ১০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ২৫০ টাকা ৮০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১৯ টাকা ৯০ পয়সা বা ৮.৬১ শতাংশ।

প্রভাতী ইন্সুরেন্স: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার একাদশ স্থানে ছিল বিমা খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৮৪ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২০২ টাকা ৭০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১৯৯ টাকা ৫০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১৫ টাকা ২০ পয়সা বা ৮.৪৬ শতাংশ।

সিলকো ফার্মা: ক্লোজিং দরের ভিত্তিতে কোম্পানির দর আজ সর্বোচ্চ দর বাড়ার তালিকার দ্বাদশ স্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি। আগের কার্যদিবস সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩০ টাকা ৭০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৩৩ টাকা ৬০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৩ টাকা ২০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা বা ৮.১৪ শতাংশ।

ব্লক মার্কেটে হঠাৎ ৩ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে : পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বুধবার (১৪ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৪৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ১১২ কোটি ৫৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ৩ কোটি ৭৫ লাখ ১৩ হাজার ৭২৯টি শেয়ার ৮৭ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১১২ কোটি ৫৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২ কোম্পানির বিশাল লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংকের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বিডি ফাইন্যান্সের ৩৯ কোটি ১১ লক্ষ টাকার। তৃতীয়ত ফরচুন সুজের ৭ কোটি ৪৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার। এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার,

সিলকো ফার্মার ২ কোটি ৮৬ লক্ষ ৩ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকার, একমি ল্যাবের ১ কোটি ৭৭ লক্ষ ২২ হাজার টাকার, এসিআই ফর্মুলার ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকার, ডেল্টা লাইফের ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ১ কোটি ২৮ লক্ষ ৯২ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্সের ১ কোটি ১ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ৯১ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ৯১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার,

ওরিয়ন ফার্মার ৬৯ লক্ষ টাকার, বেঙ্গল উইন্ডসোর ৪৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ৩৭ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ৩১ লক্ষ ৭ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ৩০ লক্ষ ৮১ হাজার টাকার, ফুয়াং সিরামিকের ২৮ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ারের ২৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, বিবিএস ক্যাবলসের ২৩ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকার, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ২৩ লক্ষ ৩২ হাজার টাকার, রহিম টেক্সটাইলের ২৩ লক্ষ টাকার, মারিকোর ২২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার, মালেক স্পিনিংয়ের ২২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার,

আমান ফিডের ২১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকার, অ্যাক্টিভ ফাইনের ২০ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার, কেডিএস লিমিটেডের ১৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ১৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ১৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, আলিফের ১৪ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকার, ইসলামী ইন্সুরেন্সের ১৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার, গ্রামীণ টুয়ের ১৩ লক্ষ ২ হাজার টাকার, বিকনফার্মার ৮ লক্ষ ১৬ হাজার টাকার,

ন্যাশনাল ব্যাংকের ৮ লক্ষ ১০ হাজার টাকার, ঢাকা ডাইংয়ের ৭ লক্ষ ৯২ হাজার টাকার, ম্যাকসন স্পিনিংয়ের ৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার, আর্গন ডেনিমের ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার, রহীমা ফুডের ৬ লক্ষ ১ হাজার টাকার, মতিন স্পিনিংয়ের ৫ লক্ষ ৩১ হাজার টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্স প্রথম মিউচুয়াল ফান্ডের ৫ লক্ষ ২৬ হাজার টাকার, গ্রীন ডেল্টার ৫ লক্ষ ৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

ডিএসইর ৩ কোম্পানির শেয়ারে সতর্কতা জারি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩ কোম্পানির শেয়ার দর কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক বেড়েছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(ডিএসই) কোম্পানিগুলোর দর বৃদ্ধিতে সতর্কতা জারি করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। কোম্পানিগুলোর হলো : ফু-ওয়াং সিরামিক, শ্যামপুর সুগার এবং সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল।

সূত্রমতে, কোম্পানিগুলোর অস্বাভাবিক শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে সম্প্রতি ডিএসই কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে গত ১৩ জুলাই জানানো হয়, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৭ জুন ফু-ওয়াং সিরামিকের শেয়ার দর ছিল ১৩ টাকা ১০ পয়সা। গতকাল ১৩ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১০ পয়সায়। মাত্র ৯ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৬ টাকা বা ৪৬ শতাংশ।

এদিকে, গত ২৬ জুন শ্যামপুর সুগারের শেয়ার দর ছিল ৪৪ টাকা ৩০ পয়সা। গতকাল ১৩ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ টাকা ৮০ পয়সায়। ১১ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৩ টাকা ৫০ পয়সা বা ৫৩ শতাংশ।

অন্যদিকে, গত ২৭ জুন সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের শেয়ার দর ছিল ৮৩ টাকা ৭০ পয়সা। গতকাল ১৩ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১ টাকা ৭০ পয়সায়। ৯ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩৮ টাকা বা ৪৫ শতাংশ।

বারাকা পতেঙ্গার শেয়ার লেনদেন বৃহস্পতিবার: পুঁজিবাজারে লেনদেনে প্রক্রিয়া থাকা বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন ১৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) শুরু হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএসইতে ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড হলো- “BPPL” এবং কোম্পানি কোড হলো : ১৫৩২৪। আজ ১৪ জুলাই কোম্পানিটির আইপিও শেয়ার শেয়ারধারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ৫ জুলাই আবেদনকারীদের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়। এতে একজন আবেদনকারী সর্বনিম্ন ৫৪টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে। কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদনকারী সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০ হাজার টাকার বিপরীতে ৫৪টি করে এবং প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০ হাজার টাকার বিপরীতে ১২৮টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছে।

১৩ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করা হয়। এর আগে কোম্পানিটির কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিডিং (নিলাম) অনুষ্ঠিত হয়। বিডিংয়ে কোম্পানিটির কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করা হয় ৩২ টাকা। গত ৫ জানুয়ারি শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫৫তম সভায় কোম্পানিটিকে বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়।

বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। যা তার সাবসিডিয়ারি কর্ণফুলী পাওয়ার ও বারাকা শিকলবাহা পাওয়ারে বিনিয়োগ, আংশিক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ এবং আইপিওজনিত ব্যয়ে ব্যবহার করা হবে।

কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরে সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৩৭ পয়সা। আর বিগত পাঁচটি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৩ টাকা ৩০ পয়সা। ২০২০ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকায়। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস।

ঈদের পর পুঁজিবাজারের লেনদেন ১০ টা থেকে ১ টা: ঈদুল আজহার পরে পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত। ঈদের পর ২৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেন হবে সীমিত পরিসরে।

২৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া ব্যাংক লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এ সময়ে ব্যাংকের অন্যান্য কাজ চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। যার সাথে ঠিক রেখে পুঁজিবাজারের লেনদেন হবে বেলা ১ টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসির) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ব্যাংকিং কার্যক্রমের সাথে মিল রেখে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়। ঈদের পর ব্যাংকিং সময় যেহেতু দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সে হিসেবে পুঁজিবাজারের লেনদেন হবে ১ টা পর্যন্ত।

ফু-ওয়াং ফুডের পর্ষদে পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ: নানা অনিয়মে জর্জরিত ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)। বর্তমান পরিচালকদের সাথে আরও পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

সূত্র মতে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে দূর্বল কোম্পানিগুলোর পর্ষদ পুনর্গঠন করা শুরু করেছে বিএসইসি। এর আগে আরও কয়েকটি কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফুয়াং ফুড লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।

নতুন যারা আসছেন: নতুন পাঁচ পরিচালক হলেন- বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফোশনালের প্রধান ফিন্যান্স কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইসরাত হোসাইন, সিঙ্গার বিডির সাবেক কোম্পানি সচিব ও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) একাধিকবারের সভাপতি মোহাম্মদ সানাউল্লাহ এফআইপিএম,এফসিএস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী, এফসিএ, অধ্যাপক নিজামুল হক ভুইয়া এবং সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব অজিত কুমার পাল এফসিএ।

বিএসইসি সূত্র মতে, কোম্পানিটি বিএসইসির অনেক নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছে। একই সাথে কোম্পানিতে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম চলছে। পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।

বিএসইসির ধরা পড়া চোখে অনিয়ম: বিএসইসির ২০১৯ সালের ২১ মে জারি করা নির্দেশনা বলা হয়েছে সম্মিলিতভাবে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কমপক্ষে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিচালকদের কাছে মাত্র মোট শেয়ারের ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ রয়েছে।

দ্বিতীয়ত, ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর জারি করা নির্দেশনা বলা হয়েছে অতিরিক্ত আরও দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিতে হবে। এই নির্দেশনাটিও পরিপালন করেনি কোম্পানির পর্ষদ।

তৃতীয়ত, কোম্পানির নানা অনিয়ম বিএসইসির নজরে আসার পর একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটির প্রতিবেদনে দেখা যায়, আইন লঙ্গন করে কোম্পানির সাথে সম্পৃক্ত এবং পরিবারের লোকদের সাথে অনেক কাজ করেছে। যার জন্য সঠিক ডিসক্লোজার দেওয়া হয়নি।

চতুর্থত, ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল কোম্পানি লুবাবা তাবাস্সুম নামে একজন পরিচালক নিয়োগ দেওয় হয়েছে। এই পরিচালক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ আহমেদ চৌধুরী মেয়ে। তাকে প্রতি মাসে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা সম্মানি হিসেবে দেওয়া হয়।এর বাহিরে তাকে বিভিন্ন বোনাস, গাড়ি সুবিধা, মোবাইল বিল এবং ব্যবসায়িক টুরের নামে টাকা পরিশোধ করতো।

পঞ্চমত, কোম্পানিটির উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কারখানা সম্প্রসারণের জন্য গাজীপুরের মণিপুর মৌজার বোকরানে ৯৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে। রেজিস্ট্রেশনসহ জমি কিনতে কোম্পানিটির ব্যয় হয় তিন কোটি টাকা। এখানে নানাভাবে অনিয়ম করেছে কোম্পানির পরিচালকরা।

লভ্যাংশের ইতিহাস: ডিএসইর সূত্র মতে, পুঁজিবাজারে তালিভুক্তির পর থেকে কোম্পানিটি বোনাস লভ্যাংশই বেশি দিয়েছে। সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিলো। এর আগে ২০১৯ অর্থ বছরের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ করে বোসান, ২০১৫ সালে ১৫ শতাঋশ বোনাস, ২০১৪ সালে ১০ শতাংশ বোনাস, ২০১৩ সালে ১২ শতাংশ বোনাস, ২০১২ ও ২০১১ সালে ২০ শতাংশ করে বোনাস এবং ২০১০ সালে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিলো।

ফু ওয়াং ফুড ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি বি ক্যাটাগড়িতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোধিত মুলধন ১৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৮৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। বাকী শেয়ারের মধ্যে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.৩৮ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং ৭১ দশমিক ৭১ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।