দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে হঠাৎ করে মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারে সুবাতাস বইতে শুরু করছে। দীর্ঘদিন এ খাত ঝিমিয়ে থাকার পর সুবাতাস বইছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে নতুন সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরু হয়েছে। এ দিন মিউচুয়াল ফান্ডের পাশাপাশি প্রকৌশল খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে।

ফলে ব্যাংক-বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেলও সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। লেনদেনের প্রথম ১৫ মিনিটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৬ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ৩৪ পয়েন্ট।

ডিএসইর তথ্য মতে, রোববার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে সোয়া ১০টায় মাত্র ১৫ মিনিটে ডিএসইতে মোট ৩৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮৯টির, কমেছে ১০৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির।

বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় তিন সূচকের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ দশমিক ৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক এক পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৬৫ কোটি ৯১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে চারটি কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

১০ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক খাতের ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ইপিএস প্রকাশ করবে।

এর মধ্যে প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ডেল্টা ব্রাক হাউজিং লিমিটেড, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিডি ফিন্যান্স লিমিটেড, ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড, রূপালী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, লিন্ডেবিডি লিমিটেড ও প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড।

প্রাইম ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রাইম ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৯ জুলাই বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন ,২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৫৬ পয়সা।

ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৭ জুলাই বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন ,২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা।

ডেল্টা ব্রাক হাউজিং লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডেল্টা ব্রাক হাউজিং লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৮ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন ,২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ২ টাকা ০১ পয়সা।

ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৮ জুলাই বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর ,২০২০ সমাপ্ত সময়ের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। একই সভায় কোম্পানিটির প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরযালোচনা ও প্রকাশ করা হবে। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ২৮ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

বিডি ফিন্যান্স লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডি ফিন্যান্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৭ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন ,২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৫০ পয়সা।

ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেডের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ২৭ জুলাই দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন ,২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা।

রূপালী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রূপালী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ২৮ জুলাই বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন ,২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৪৫ পয়সা।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ২৬ জুলাই বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন ,২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৩২ পয়সা।

লিন্ডেবিডি লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিন্ডেবিডি লিমিটেডের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ২৬ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন ,২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ১৮ টাকা ৮৮ পয়সা।

প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ২৫ জুলাই বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন ,২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ১ টাকা ৩৪ পয়সা।

কেএসআরএম’র ২৩১ কোটি ১৬ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি: কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের (কেএসআরএম) বিরুদ্ধে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বাবদ ২৩১ কোটি ১৬ লাখ ৮৪ হাজার ৪৮০ টাকা ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে জব্দ করা নথি পর্যালোচনা করে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করা হয় বলে দাবি করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ২৩১ কোটি ১৬ লাখ ৮৪ হাজার ৪৮০ টাকা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফাঁকি দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এবার কেএসআরএম স্টিল প্ল্যান্টকে শোকজ করা হবে। এরপর তারা জবাব দেবে। শুনানির পর মামলার রায় হবে। মামলার চূড়ান্ত রায়ে যে পরিমাণ টাকা ধার্য করা হবে তা জমা দিতে হবে কেএসআরএমকে।

জানা গেছে, গত ২২ জুন সীতাকুণ্ড উপজেলার বড় কুমিরার ঘোড়ামারা এলাকায় কেএসআরএম স্টিল প্ল্যান্ট লিমিটেডে অভিযান চালায় কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের নিবারক দল। কেএসআরএম স্টিল দীর্ঘদিন ধরে যথাযথভাবে মূসক পরিশোধ না করে ফাঁকি দিচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বেশকিছু নথিপত্র ও দুটি কম্পিউটারের সিপিইউ জব্দ করে অভিযানকারী দল। প্রায় ২৪ দিন ধরে পর্যালোচনার পর ভ্যাট ফাঁকির এ তথ্য বেরিয়ে আসে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৩৭৬ টন এমএস পণ্য (রড) বাজারে সরবরাহ করে কেএসআরএম স্টিল। যার বিপরীতে ১৮৮ কোটি ৭১ লাখ ৪৬ হাজার ৫১৪ টাকা সরকারি মূসক পরিশোধ করার বিধান ছিল। কিন্তু তা না করে প্রতিষ্ঠানটি পরিশোধ করে ১০৩ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ৮১৭ টাকা। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির নিকট সরকারের মূসক বাবদ পাওনা থাকে ৮৫ কোটি ২৯ লাখ ১৫ হাজার ৬৯৫ টাকা।

অন্যদিকে কাঁচামাল ক্রয়সহ সব কেনকাটার বিপরীতে বিধি মোতাবেক মূসক কর্তন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত ক্রয়ের বিপরীতে উৎসে মূসক কর্তনের কোনো দলিলাদি উপস্থাপন করতে পারেনি। এ সময়ে ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮৭ দশমিক ৩৩ টন কাঁচামাল ক্রয় করা হয়। এসব পণ্যের বিপরীতে উৎসে মূসকের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪৫ কোটি ৮৭ লাখ ৬৮ হাজার ৭৮৪ টাকা। যা পরিশোধ করা হয়নি। মূসক ও উৎসে মূসক মিলে সর্বমোট ২৩১ কোটি ১৬ লাখ ৮৪ হাজার ৪৮০ টাকা ফাঁকি দেয় কেএসআরএম।

চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন আরও বলেন, কেএসআরএম দীর্ঘদিন ধরে যথাযথভাবে মূসক পরিশোধ না করে নিয়মিত ফাঁকি দিয়ে আসছিল। নিবারক দলের তল্লাশি এবং তদন্তে বিশাল ফাঁকির তথ্য বের হয়ে এসেছে। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শিগগিরই কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হবে এবং তারা তাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাবে।

তিনি বলেন, বিগত কয়েক মাসে চট্টগ্রাম ভ্যাট এ জাতীয় বেশকিছু অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে বিপুল অংকের রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা উদঘাটন করেছে। যারা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কেএসআরএমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট থেকে কিছু জানানো হয়নি। আমরা কোনো কাগজপত্রও পাইনি। তবে আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের বিস্ময়কর মুনাফা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) লিমিটেড চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) দেখিয়েছে ৭৯ পয়সা। ব্যাংকটির এর আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪১ পয়সা। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের মুনাফা আগের বছরের চেয়ে ৩৮ পয়সা, আর শতাংশের হিসেবে ৯৩ শতাংশ বেশি।

রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএসইর তথ্য মতে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস ছিল ২৩ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএসের গ্রোথ হয়েছে প্রায় তিনগুণ। যা বিস্ময়কর বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ডিএসইর তথ্য মতে, ১৯৮৬ সালে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটি চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি২১-জুন২১) সমন্বিত ইপিএস দেখিয়েছে ১ টাকা ২ পয়সা। যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের চেয়ে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৩০ পয়সা বা ৪২ শতাংশ।

এর মধ্যে এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় অর্থাৎ ইপিএস হয়েছে ৭৯ পয়সা। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৮ পয়সা বেশি। ইপিএস বাড়ায় ২০২১ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৩৫ পয়সা।

এদিকে রোববার মুনাফা প্রকাশের দিনেও কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার ১৬ টাকায় লেনদেন হয়েছিল। আজ শেয়ারটির দাম ১০ পয়সা কমে ১৫ টাকা ৯০ পয়সা লেনদেন শুরু হয়।

এ বিষয়ে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল মতিন পাটোয়ারী বলেন, খালি চোখে দেখে সবার মনেই প্রশ্ন হবে এত বড় গ্রোথ কীভাবে হয়েছে। এখানে কিছু একটা হয়েছে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে ডিএসইর সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজ করছে, তারা দেখবে। মুনাফার বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ব্যাংকটির কোম্পানি সচিব এটিএম তাহমিদুজ্জামানের সঙ্গে।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ১২১ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার ৯০৫টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে কোম্পানির ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার, সরকারের কাছে রয়েছে দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার। এছাড়াও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২০ দশমিক ৫০ শতাংশ, বিদেশিদের কাছে রয়েছে দশমিক ৮০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাত রয়েছে ৪১ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ার। ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ আর ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ছিল।

ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ক্যাটাগরি পরিবর্তন: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডকে ‘এন’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। আগামীকাল ১৯ জুলাই, সোমবার থেকে কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর,২০২০ সমাপ্ত সময়ে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়ে এ ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছে। উল্লেখ্য, বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ক্যাটাগরি পরিবর্তনের ৩০ দিনের মধ্যে কোম্পানিটিকে কোনো ঋণ সুবিধা দেওয়া যাবে না।

পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করবে নগদ: পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করবে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান নগদ। প্রতিষ্ঠানটি জিরো কুপন বন্ড ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য আবেদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে। কমিশন আবেদনটি বর্তমানে যাচাই-বাছাই করছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রমতে, বন্ডটির মেয়াদ হবে ৫ বছর। অর্থাৎ ৫ বছর পর ৫শ কোটি টাকার বন্ডটির আকার হবে সাড়ে ৭শ কোটি টাকা। নগদের বন্ডের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- রিডেমেনবল, নন-কনভার্টেবল অ্যান্ড জিরো কুপন বন্ড।

কুপন বন্ডটির সর্বোচ্চ রেট হবে শতাংশ। যা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাস্ট, স্বায়ত্বশাসিত করপোরেশনসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। বন্ডটিতে ৩০ কোটি টাকা বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, নগদ বন্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের জন্য আবেদন করেছে। আমরা আবেদনটি যাচাই করছি। সব কিছু ঠিক থাকলে অনুমোদন দেওয়া হবে।

৩ কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ার দরবৃদ্ধিতে ডিএসইর সতর্কবার্তা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, আরএন স্পিনিং এবং ফ্যামিলিটেক্সের শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। কোম্পানি তিনটির কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

গত ১৪ জুলাই কোম্পানি ৩টির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ জানাতে কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছে নোটিশ পাঠায় ডিএসই। জবাবে সবকটি কোম্পানির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দর বেড়েছে, তার জন্য তাদের কাছে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ১১ মে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সের প্রতিটি শেয়ার দাম ছিল ৪ টাকা ৩০ পয়সা। যা টানা বেড়ে ৮ টাকা ৭০ পয়সায় উঠেছে। গত ১১ এপ্রিল আরএন স্পিনিংয়ের প্রতিটি শেয়ার দাম ছিল ৩ টাকা ৭০ পয়সা। যা টানা বেড়ে ৭ টাকা ৩০ পয়সা হয়েছে। ফ্যামিলিটেক্সের শেয়ারের দাম ২৮ এপ্রিল ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। যা টানা বেড়ে ৫ টাকা ৯০ পয়সায় উঠেছে।

ব্লক মার্কেটে ৩ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১৮ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৪৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ২৫ কোটি ১৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলোর ৩৪ লাখ ২৪ হাজার ৭১টি শেয়ার ৮৬ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ২৫ কোটি ১৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার।

এছাড়া, রহিম টেক্সটাইলের ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ২ কোটি ৬০ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকার, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, ইন্ডেক্স এগ্রোর ৯০ লক্ষ ৭১ হাজার টাকার, সালভো কেমিক্যালের ৮১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার, ঢাকা ডাইংয়ের ৭২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার, পপুলার লাইফের ৫৭ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৫৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার, পাওয়ার গ্রীডের ৪৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার,

বসুন্ধরা পেপারের ৪৬ লক্ষ টাকার, আমান কটনের ৪৫ লক্ষ ১২ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্সের ৪০ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকার, এম পেট্রোলিয়ামের ৩৩ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার, এস আলমের ৩২ লক্ষ ২৩ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৩ লক্ষ টাকার, রংপুর ফাউন্ড্রির ২৯ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার, আমান ফিডের ২৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার, এস এস স্টিলের ২১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার,

প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ১৮ লক্ষ ৮১ হাজার টাকার, এটিসিএসএল গ্রোথ ফান্ডের ১৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার, ফুয়াং সিরামিকের ১৮ লক্ষ ৬ হাজার টাকার, ইসলামিক ইন্স্যুরেন্সের ১৬ লক্ষ ১১ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ১৬ লক্ষ টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ১৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ১৪ লক্ষ টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকার, ফুয়াং ফুডের ৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার,

এনআরবিসি ব্যাংকের ৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ৮ লক্ষ ২৮ হাজার টাকার, পপুলার ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭ লক্ষ টাকার, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ৬ লক্ষ ৫১ হাজার টাকার, ডাচবাংলা ব্যাংকের ৬ লক্ষ ২৩ হাজার টাকার,

প্যারামাউন্টের ৬ লক্ষ ১১ হাজার টাকার, গ্রীন ডেল্টার ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার, অগ্নি সিস্টেমসের ৫ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকার, মীর আক্তারের ৫ লক্ষ ১৯ হাজার টাকার, ইন্ট্রাকোর ৫ লক্ষ ১২ হাজার টাকার, ইফাদ অটোর ৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকার, ইনফর্মেশন সার্ভিস নেটওয়ার্কের ৫ লক্ষ ৮ হাজার টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৫ লক্ষ টাকার, কেয়া কসমেটিকসের ৫ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে।

ডিএসইর সূচক ও মূলধন সর্বোচ্চ অবস্থানে রেকর্ড: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ও ব্লুচিপ সূচক ডিএসই- ৩০ ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সূচক দু’টি চালুর পর এটা তাদের সর্বোচ্চ অস্থান। একইসঙ্গে ডিএসইর বাজার মূলধনও সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করছে। দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বাজার মূলধনও সর্বোচ্চ উন্নীত হয়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন ডিএসইএক্স সূচকটি ৫৭.৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৬৫.১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর আগে সূচকটি চালুর পর ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করছিল। ওই দিন সূচকটি ৬ হাজার ৩৩৬.৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ডিএসইএক্স সূচকটি চালু হয়। এদিকে ডিএসই-৩০ সূচক ৩১.১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৩০৬.০২ পয়েন্টে, যা ডিএসইর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আর ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ২০.২৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৭৯.৩৮ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ১ হাজার ৭৯৩ কোটি ২ লাখ টাকার। যা আগের দিন থেকে ১৪ কোটি ৭ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৮৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকার। আর ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৩২ লাখ ৩১১ কোটি টাকা, যা ডিএসইর ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

দিন শেষে ডিএসইতে ৩৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২১০টির বা ৫৬.৩০ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৫০টির বা ৪০.২১ শতাংশের এবং ১৩টির বা ৩.৪৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর সিএসইর প্রধান সূচক সিএসইএক্স ৪০.০৯ পয়েনট বেড়ে অবস্থান করছে ১১ হাজার ৩০.৪৫ পয়েন্টে। আর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬০.৯৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৩৭৯.৫৪ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ৩২০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৩৭টির আর ১৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দিন শেষে সিএসইতে ৭১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আর সিএসইর বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ১৫ কোটি টাকা, যা সিসইর ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

১৮ জুলাইয়ের সকালে ডিএসই ট্রেডিং সফটওয়্যারের ম্যাচিং ইঞ্জিনে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। এদিন বেলা ১১টার পর থেকে সমস্যা শুরু হয় ডিএসইর ম্যাচিং ইঞ্জিনের সফটওয়্যারে। বেলা ১১টার পর থেকে সফটওয়্যার সিস্টেমটি পুরোপুরি ডাউন হয়ে যায়।

ফলে ডিএসইতে লেনদেন বন্ধ হয়ে পড়ে। দুপুর সাড়ে ১২টার পর ফের লেনদেন শুরু হয়। কারিগরি ত্রুটির কারণে ডিএসইতে লেনদেন দুপুর ২.৩০টার পরিবর্তে বিকেল ৩.৩০ টা পর্যন্ত চলে। সফটওয়্যারের ম্যাচিং ইঞ্জিনে কারিগরি ক্রটির দিনেও ডিএসইর সূচক ও বাজার মূলধনে রেকর্ড গড়েছে।

ডিএসই বোর্ডের পদত্যাগ চেয়ে বিনিয়োগকারীদের মানববন্ধন: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সফটওয়্যার ত্রুটিজনিত কারণে লেনদেন বন্ধ হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। আইটি খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান মিলছে না।

আজ রোববার লেনদেন শুরুর প্রথম দিন সার্ভার কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রায় দেড় ঘন্টা লেনদেন বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে সময় বাড়িয়ে আড়াইটার স্থলে লেনদেন সময়সীমা বিকাল সাড়ে তিনটা করা হয়।

ডিএসই সফটওয়্যার ত্রুটির স্থায়ী সমাধান দাবি করে মতিঝিলের প্রতিষ্ঠানটির সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। মানববন্ধনে বিনিয়োগকারীরা শক্তিশালী সফটওয়্যার আনার দাবি জানানোর পাশাপাশি ডিএসই বোর্ডের পদত্যাগ চেয়েছেন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের জানান, কিছুদিন পরপরই ডিএসই’র সার্ভারে কারিগরি ত্রুটি দেখা যায়। এতে লেনদেনে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। আসলে এটি কারিগরি ত্রুটি নাকি ডিএসইর ভেতরে কোন দুষ্টচক্র কাজ করছে, তা আমরা জানি না। তাই বর্তমান ডিএসই বোর্ডের সকলকে পদত্যাগ করার দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তত্বাবধানে যেন শক্তিশালী সার্ভার ব্যবহার করা হয় সে বিষয়েও বিনিয়োগকারীরা দাবি জানায়। এছাড়া আজকের সফটওয়্যার ত্রুটির ইস্যু দেখিয়ে লেনদেন বন্ধ রাখার জন্য একটি সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের শান্তির আওতায় আনারও দাবি জানানো হয়েছে।

সাউথইস্ট ব্যাংকে পরিচালকদের দ্বন্দ্বে ব্যাংক বেদখলের শঙ্কা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি খাতের সাউথইস্ট ব্যাংকে দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে নানা অনিয়ম। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের সবাই পর্ষদ সভায় অংশ নেন না। মূলত পরিচালকদের অন্তর্দ্বন্দ্বই এর মূল কারণ বলে জানা গেছে।

এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তেও উঠে এসেছে ব্যাংকটিতে সংঘটিত নানা অনিয়ম আর জালিয়াতির কথা। এরই মধ্যে চাউর হয়েছে ব্যাংকটি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকিং খাতে দখল-বেদখলের খেলা সম্প্রতি বন্ধ থাকলেও তা আবার চালু হচ্ছে কি না -এমন প্রশ্ন ব্যাংকিং সূত্রগুলোর।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বেসরকারি খাতের এই ব্যাংক একসময়কার জাঁদরেল ব্যবসায়ী নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হলেও এখন তারা সবাই যেন নির্বাসনে। সব শেষ ব্যাংকটির অজ্ঞাত ব্যক্তিদের শেয়ার কেনার বিষয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতিপূর্বে ঘটে যাওয়া ব্যাংক দখলের ঘটনার পর ঐ সব ব্যাংকে অনেকেরই চাকরি চলে গেছে। কেউ প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।

এক সময়ে ব্যাংকটির পরিচালকদের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করলেও এখন অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন চরমে। বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিচ্ছেন না অনেক পরিচালক। ফলে ব্যাংকটিতে এখন নিয়মাচার বলতে কিছু নেই বলে খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তেও উঠে এসেছে। নিজস্ব লোকদের ঋণ দেওয়া, চলতি ঋণের সুদ মওকুফ করে দেওয়া, যাকেতাকে ঋণ দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। পরিচালকদের দুই পক্ষের বিরোধে চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ইচ্ছেমাফিক ব্যাংক চলছে। এতে ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি ছাড়াও ব্যাবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যাংক। পরিচালকেরা সভায় উপস্থিত না থাকলে তা ব্যাংক পরিচালনার জন্য সহায়ক নয় বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়।

সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ নিয়েও চলছে লড়াই। কে হবেন পরবর্তী চেয়ারম্যান এ নিয়ে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ পেয়েছে। এরই মধ্যে ব্লক মার্কেটে বড় অঙ্কের শেয়ার কেনার ঘটনা ঘটেছে। পরিচালক হওয়ার নিয়ম অনুযায়ী ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ব্লক মার্কেটে ২ শতাংশের বেশি শেয়ার কিনে নিতে বিনিয়োগ হয়েছে ৪০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার মতো। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান আইসিবির কাছ থেকে এই শেয়ার কেনা হয়েছে।

অনিয়ম ও জালিয়াতিতে ক্রমাগত জড়িয়ে পড়েছে বেসরকারি খাতের অন্যতম বৃহত্তম এই ব্যংকটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনার অর্থ নয়-ছয় থেকে শুরু করে রপ্তানি তহবিলের অর্থও অন্য কাজে ব্যবহারের মতো কাজ করেছে এই ব্যাংক। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে একই ব্যক্তি থাকায় অন্য পরিচালকেরা রীতিমতো হতাশ। ফলে সভায় উপস্থিত না হওয়াই নিয়মে পরিণত হয়েছে অনেক পরিচালকের। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশদ পরিদর্শন প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দল সম্প্রতি ব্যাংকটির বিনিয়োগ, ঋণ ও অগ্রিম, স্থায়ী সম্পদ ও অন্যান্য সম্পদের হিসাবে গরমিল পেয়েছে। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বুকস অব অ্যাকাউন্টস ও সংশ্লিষ্ট নথি, রেকর্ড পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ অনিয়মের তথ্য পেয়েছে। ব্যাংকটির অন্যান্য শাখায় পরিদর্শন করলে আরও খারাপ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাংকের মোট সম্পদ রয়েছে ৪২ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জনগণের আমানতের পরিমাণ ৩৪ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা, যা মোট সম্পদ বা দায়ের প্রায় সাড়ে ৮১ শতাংশ। অন্যদিকে ঋণ ও অগ্রিম রয়েছে ২৯ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা, যা দুই বছর আগের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেড়েছে। আগের দুই বছরের চেয়ে মূলধন ৬৫ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮১১ কোটি টাকায়। অন্যদিকে গত বছরের জুন শেষে ব্যাংকের নিট মুনাফা, রিটার্ন অন অ্যাসেটস (আরওএ) এবং রিটার্ন অন ইক্যুইটি (আরওই) আগের দুই বছরের তুলনায় কমে গেছে। শ্রেণীকৃত ঋণ হিসাবায়নের ক্ষেত্রে তা সঠিকভাবে করা হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

সাউথইস্ট ব্যাংকের জাল-জালিয়াতির উদাহরণ হিসেবে প্রতিবেদনে এসেছে যে, ব্যাংকের রংপুর শাখায় এক গ্রাহকের পে-অর্ডারের ১৫ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট হিসাবে জমা দেওয়া হয়নি। এর পরিবর্তে ঐ টাকা আত্মসাৎ করেছেন ব্যাংকের কর্মকর্তা। গ্রাহক স্বার্থ ক্ষুণ্ণ এবং এত বড় জালিয়াতি করার পরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

১৭টি ফোর্সড লোনকে একটি টার্ম লোনে রূপান্তর করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আর ঐ টার্মলোন মূলত পুনঃতপশিল করা হয়েছে। আরেক প্রতিষ্ঠানকে বিলাসবহুল গাড়ি কেনার জন্য চার বছর মেয়াদি ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা গাড়ির ঋণ দেওয়া হয়েছে, যা উত্পাদনশীল খাতে না দিয়ে অনুত্পাদশীল খাতে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, রাজধানীর গুলশান শাখার দুই গ্রাহকের ব্যক্তিগত ক্রেডিট কার্ডের বিল দেওয়া হয়েছে রপ্তানি প্রত্যাবাসন কোটা (ইআরকিউ) অ্যাকাউন্টের অর্থ থেকে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার পরিপন্থী। বিভিন্ন ক্রেতা বা আমদানীকারকের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিপত্রে বর্ণিত পণ্যের তালিকায় শুধু তারিখ, পরিমাণ ও মূল্য পরিবর্তন করে ‘অ্যামেন্ডমেন্ড’ উল্লেখ করে চুক্তিপত্রের বিপরীতে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি ও ইডিএফ সুবিধা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কীভাবে কী করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে পারেনি ব্যাংক। এছাড়া মনোনীত প্রতিনিধি ও রপ্তানিকারকের মূল স্বাক্ষর চুক্তিপত্রে পাওয়া যায়নি।

ব্যাংকের স্থায়ী সম্পদ, অগ্নি, মোটরযানসহ বিভিন্ন খাতের বিমা-সুবিধা নেওয়া হয়েছে এশিয়া ইনসিওরেন্স লিমিটেড থেকে। কোন বিমা কোম্পানি থেকে এই সুবিধা নেওয়া হবে, তার জন্য টেন্ডারের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত করার কথা থাকলেও এর কিছুই করা হয়নি।

এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই ব্যাংকের একাধিক পরিচালক এশিয়া ইনসিওরেন্সের পরিচালক। এছাড়া শেয়ার ক্রয় সুবাদে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঐ ইনসিওরেন্সের মনোনীত পরিচালক (বর্তমানে উপদেষ্টা)। ফলে ঐ ইনসিওরেন্স কোম্পানিকে কাজ দেওয়ার বিষয়ে নিয়মকানুনের কোনো তোয়াক্কা করা হয়নি।

সরকারঘোষিত প্রণোদনার অর্থ বণ্টনেও অনিয়ম দেখা গেছে। এক প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের মে মাসের বেতন দেওয়ার সময় একই ফোন নম্বরে এপ্রিল মাসে ৭ হাজার ৯১৬ টাকা বেতন দেওয়া হলেও মে মাসে দেওয়া হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৭৬ টাকা, যা প্রাপ্ত বেতনের চেয়ে ২৬ হাজার ৭৬০ টাকা বেশি। নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ছয় মাসে ৪৭ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তাদের অনেকের ব্যক্তিগত তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি। আর অভিজ্ঞ কর্মকর্তা যারা অন্য ব্যাংক থেকে এসেছেন, তাদের অনেকের ছাড়পত্র ব্যক্তিগত ফাইলে নেই। সূত্র আরও জানায়, ব্যাংকের চেয়ারম্যান তার এক আত্মীয়কে ঋণ দিয়ে সেখানে চলতি ঋণের সুদ বাবদ ৫৪ কোটি টাকা মওকুফ করে দিয়েছেন।