দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৯ কোম্পানির বোর্ড সভা চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিগুলো নিরীক্ষিত ও অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর হলো : প্রাইম ব্যাংক, গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, ওয়ান ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, লিনডেবিডি, আইপিডিসি, পপুলাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স,

ডাচ-বাংলা ব্যাংক, বিডি ফাইন্যান্স, ইস্টার্ন ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, যমুনা ব্যাংক, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, আরএকে সিরামিক, ডিবিএইচ, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইউনিলিভার, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, পূবালী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, বিএটিবিসি, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, জনতা ইন্স্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স এবং ব্র্যাক ব্যাংক।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৫ জুলাই বিকাল ৪টায় প্রাইম ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ জুলাই : গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের বিকাল ৪টায়, ওয়ান ব্যাংকের বিকাল ৩টায়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বিকাল ৩টায়, লিনডেবিডির বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।

২৭ জুলাই : আইপিডিসির বিকাল ৩টায়, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিকাল ৩টায়, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বিকাল ৩টায়, বিডি ফাইন্যান্সের বিকাল সাড়ে ৫টায়, ইস্টার্ন ব্যাংকের দুপুর ২টায়, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের বিকাল পৌনে ৩টায়, হাইডেলবার্গ সিমেন্টের বিকাল পৌনে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।

২৮ জুলাই : যমুনা ব্যাংকের বিকাল ৪টায়, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের দুপুর আড়াইটায়, আরএকে সিরামিকের সন্ধ্যা ৭টায়, ডিবিএইচের বিকাল সাড়ে ৪টায়, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিকাল ৩টায়, ইউনিলিভারের বিকাল ৫টায়,

রূপালী ইন্স্যুরেন্সের বিকাল ৩টায়, পূবালী ব্যাংকের বিকাল সাড়ে ৩টায়, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বিকাল ৪টায়, বিএটিবিসির সন্ধ্যা ৭টায়, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিকাল ৩টায়, নিটল ইন্স্যুরেন্সের বিকাল ৪টায়, ট্রাস্ট ব্যাংকের দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে।

২৯ জুলাই : প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের বিকাল ৩টায়, জনতা ইন্স্যুরেন্সের বিকাল ৪টায়, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দুপুর ২টায় ও ব্র্যাক ব্যাংকের বোর্ড সভা বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভায় ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে।

ঈদ পরবর্তী ব্যাংক-বিমা ও পুঁজিবাজার নতুন সূচিতে: ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আগামীকাল রোববার (২৫ জুলাই) ফের খুলছে ব্যাংক, বীমা ও পুঁজিবাজার। তবে কঠোর লকডাউনের কারণে ব্যাংক-বিমা-পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে সীমিত পরিসরে।

সরকারের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ি, শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪ দিনের জন্য সারাদেশে চলছেকঠোর লকডাউন। এ সময় প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করলেও ব্যাংক, পুঁজিবাজার ও বীমা অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যাংকের লেনদেন হবে সীমিত পরিসরে। কাল রোববার থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংক খোলার নির্দেশনা দেয়ার পর পরই পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কঠোর লকডাউনের মধ্যে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোববার থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এই লেনদেনে স্বাভাবিক সময়ের মতো ১৫ মিনিট প্রি-ওপেনিং সেশন থাকবে এবং লেনদেন শেষে ১৫ মিনিটের পোস্ট ক্লোজিং সেশন চালু থাকবে।

ব্যাংক ও পুঁজিবাজার খোলার সিদ্ধান্ত আসার পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট বীমা প্রতিষ্ঠানের সেবা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করার জন্য বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে (আইডিআরএ) নির্দেশ দেয়।

নির্দেশনা অনুযায়ী, বীমা কোম্পানির অফিস খোলার সিদ্ধান্ত জানায় আইডিআরএ। আইডিআরএ বলেছে, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বীমা কোম্পানির প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা অফিস সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

প্রকৌশল খাতের ১৩ কোম্পানিতে মুনাফায় ধাক্কা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের ১৩ কোম্পানি করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে কোম্পানিগুলোর মুনাফায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ফলে এসব কোম্পানির প্রতি কিছুটা আগ্রহ কমছে বিনিয়োগকারীদের।

কোম্পানিগুলো হলো: রতনপুর স্ট্রিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্ট্রিলস লিমিটেড, বিবিএস কেবলস লিমিটেড, ডমিনএজ স্ট্রিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড, ইস্টার্ন কেবলস লিমিটেড, মন্নু অ্যাগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারি লিমিটেড, ন্যাশনাল টিউব লিমিটেড, অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেড, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর এন্ড কোং (বিডি) লিঃ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড, এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড, ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড এবং কেডিএস অ্যাক্সেসরিজ লিমিটেড।

করোনা সংক্রমণ সরকার ঘোষিত সর্বাত্বক লকডাউনে বন্ধ থাকে প্রায় সব রকম সরকারি-বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কল-কারখানা। যে কারণে ওই সময় উৎপাদন ব্যহত হয়। যার প্রভাব পড়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়। এর ফলে অনেক কোম্পানির আয় কমে যায়। এর মধ্য কিছু কোম্পানি লোকসানেও চলে যায়। কোম্পানিগুলোর তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে এ তথ্য প্রকাশ পায়। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

রতনপুর স্ট্রিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ৭৫ পয়সা। গত বছর কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৩৫ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটি আয় থেকে লোকসানে পড়েছে। প্রথম তিন প্রান্তিকে তথ্য ৯ মাসে লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৮৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা।

এস আলম কোল্ড রোল্ড স্ট্রিলস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৪৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ২ পয়সা।

বিবিএস কেবলস লিমিটেড: তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১৭ পয়সা, গত বছর যা ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা। অর্থাৎ বর্ণিত সময়ে আয় কমেছে ৩৪ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা। গত বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৫ টাকা ৯৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে আয় কমেছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা।

ডমিনেজ স্ট্রিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২৬ পয়সা। গত বছর আয় হয়েছিল ৪১ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ১৫ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ০২ পয়সা,গত বছর যা ছিল ১ টাকা ১৩ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ১১ পয়সা।

ইস্টার্ন কেবলস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা। গত বছর লোকসানের পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৫৩ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ৩১ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৫১ পয়সা। গত বছর হয়েছিল ৪ টাকা ৫২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় লোকসান কমেছে ০১ পয়সা।

মুন্নু অ্যাগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারি লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ০৭ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ৬৩ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা। গত বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৩ টাকা ৪২ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ১ টাকা ৯২ পয়সা।

ন্যাশনাল টিউব লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ১৯ পয়সা। গত বছর লোকসান ছিল ০৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় লোকসান বেড়েছে ১৬ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ২৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় লোকসান বেড়েছে ২৫ পয়সা।

অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ১২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানি লোকসান দিয়েছিল ০৯ পয়সা। লোকসান বেড়েছে ০৩ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ৩৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৪৩ পয়সা। লোকসান কমেছে ১০ পয়সা।

রেনউইক যজ্ঞেশ্বর এন্ড কোং (বিডি) লিঃ : তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ৬ টাকা ৮১ পয়সা। গত বছর লোকসান ছিল ৮৮ পয়সা। লোকসান বেড়েছে ৬ টাকা ৮১ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ১৫ টাকা ৫১ পয়সা। গত বছর আয় হয়েছিল ২ টাকা ৫৯ পয়সা। অর্থাৎ লোকসান বেড়েছে ১৫ টাকা ৫১ পয়সা।

বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ১২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানি শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ০২ পয়সা। অর্থাৎ লোকসান বেড়েছে ১০ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১০ পয়সা, গত বছর আয় হয়েছিল ৯২ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ৮২ পয়সা।

এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ৬৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানি লোকসান দিয়েছিল ২১ পয়সা। গত বছরের তুুলনায় লোকসান বেড়েছে ৪৩ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ২ টাকা ১১ পয়সা। গত বছর লোকসানের পরিমাণ ছিল ১ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের ব্যবধানে লোকসান বেড়েছে ১ টাকা ১১ পয়সা।

ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ০১ পয়সা। গত বছর কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছিল ০৬ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫৫ পয়সা, গত বছর লোকসানের পরিমাণ ছিল শেয়ার প্রতি ০৮ পয়সা। অর্থাৎ লোকসান বেড়েছে ৪৮ পয়সা।

কেডিএস অ্যাক্সেসরিজ লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬০ পয়সা। গত বছর যা ছিল ৬০ পয়সা। অন্যদিকে, প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭১ পয়সা। গত বছর কোম্পানি শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ১ টাকা ৭৭ পয়সা। বর্ণিত সময়ে আয় কমেছে ০৬ পয়সা।

পুঁজিবাজার চাঙা করার জন্য কয়েকটি প্রস্তাব: সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান শেয়ারবাজার চাঙা করার জন্য কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার সুফল বাজারে পড়ছে। আমাদের দেশে ব্যক্তিমালিকানা বোধ থেকে করপোরেট মালিকানা বোধের যে সাংস্কৃতিক বিবর্তন হওয়ার কথা, তা পশ্চিমা দেশের মতো করে হয়নি। আমাদের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও ছাত্রসমাজ করপোরেট মালিকানা বোধকে খুব একটা স্বাগত জানায়নি বা আপন করে নিতে পারেনি।

ফলে ছাত্রসমাজ নিয়োগের ক্ষেত্রে এর সুফল লাভ করেনি। মালিকসমাজও সাম্রাজ্য হারানোর ভয়ে করপোরেট মালিকানাকে প্রথম থেকে সন্দেহের চোখে দেখে। ছাত্রসমাজ সমাজতন্ত্র চায়, কিন্তু করপোরেট সংস্কৃতি চায় না। মালিকসমাজও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে খুব একটা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও ছাত্রসমাজও তাদের খুব একটা ডাকে না। ফলে কোনো ইতিবাচক মিথস্ক্রিয়া একরকম হয়নি বললেই চলে। এসব কারণে পাশ্চাত্যের মতো করপোরেট বা বুর্জোয়া সংস্কৃতি আমাদের দেশে বিকশিত হয়নি।

এজন্য আমাদের দেশে সরকারি কোম্পানিগুলোর অধিকাংশই পারিবারিক কোম্পানির মতো। দেশে প্রাইভেট কোম্পানি লাখ লাখ, অথচ পাবলিক কোম্পানি মাত্র সাড়ে তিন হাজারের কিছুটা বেশি। আর শেয়ার মার্কেটে আছে মাত্র ৭৫০ পাবলিক কোম্পানি। এত কম কোম্পানি নিয়ে কীভাবে একটি সরগরম এবং চাঙা পুঁজিবাজার গঠন করা সম্ভব? শেয়ারবাজারের গভীরতা বাড়াতে হবে।

৩০ হাজার কোটি টাকার আবাসন খাত, ২০ হাজার কোটি টাকার ক্লিনিক ব্যবসা, ৫০ হাজার কোটি টাকার পরিবহন ব্যবসা, লাখো কোটি টাকার ঠিকাদারি ব্যবসা প্রভৃতি চলছে ব্যক্তিগত মালিকানায়। কোনো করছাড় নেই। তাই কেউ কোম্পানি করতে চায় না, বরং কোম্পানি করলে তাকে আরও করারোপ করা হয়। অথোরাইজড ক্যাপিটাল কত হলে কোম্পানি করা বাধ্যতামূলক তার কোনো উল্লেখ কোম্পানি আইনে নেই।

পাঁচ কোটি হোক বা ১০ কোটি হোক, আইনে একটা শিলিং থাকতে হবে। সেইসঙ্গে করপোরেট ট্যাক্স হার আরও কমাতে হবে। এটা কমানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও ছাত্রসমাজ দিয়ে অ্যাডভোকেসি জোরদার করতে হবে। এটা করা গেলে দেশে হাজার হাজার কোম্পানি তৈরি হবে। শেয়ার মার্কেটে ঢুকলে আরও করছাড় দিতে হবে। শিক্ষিত বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য এগুলো করা লাগবে।

এছাড়া এ মুহূর্তে এর কোনো বিকল্প নেই। যে কোনো মূল্যে মার্জিন লোনের সুদ কমাতে হবে। যে কোনো মূল্যে ব্রোকার হাউসের কস্ট অব ফান্ড আরও কমাতে হবে। শেয়ারবাজার অর্থনীতির ব্যারোমিটার। এটা ফটকা বাজার নয়, হালাল ব্যবসা। ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে এর ভাবমূর্তির সংকট দূর করতে হবে। গ্র্যাজুয়েট পপুলেশনকে এখানে ট্রেড করার জন্য প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

ব্রোকার হাউসের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে এবং এগুলোকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। অনলাইন ট্রেডিং আরও সহজ করতে হবে। করপোরেট হাউসের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। শিক্ষিত বেকার সমস্যা সমাধানে করপোরেট আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে হবে।

অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব, মু. আবদুল হাকিম