দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভা ও ট্রাস্টি সভার তারিখ জানিয়েছে। সভায় প্রতিষ্ঠানগুলো অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ৩১ জুলাই সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন, ২০২১ দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২৯ পয়সা।

এছাড়া, ৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা আগামী ১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ফান্ডগুলোর ৩০ জুন, ২০২১ প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ১ আগস্ট দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

এনসিসি ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ১ আগস্ট দুপুর ১টা ২০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা আগামী ৪ আগস্ট দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে।

এলআরগ্লোবাল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ট্রাস্টি সভা আগামী ১ আগস্ট দুপুর ১ টাক ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এমবিএলফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ট্রাস্টি সভা আগামী ১ আগস্ট দুপুর ১ টাক ১০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এআইবিএলফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ট্রাস্টি সভা আগামী ১ আগস্ট দুপুর ১ টাক ৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

৭ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৭ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো: আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, আইপিডিসি, এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেড এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আইএফআইসি ব্যাংক : দ্বিতীয় প্রান্তিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৭ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ৯ পয়সা ছিল। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৯১ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ৫৯ পয়সা ছিল।

দুই প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৪ টাকা ৬৪ পয়সা, যা গত বছর ৪ টাকা ১৪ পয়সা ছিল। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৭ টাকা ২১ পয়সা।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড :দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১৪ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ২ টাকা ২৩ পয়সা ছিল।

অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে তথা অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৫৭ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ইপিএস ৩ টাকা ৪২ পয়সা ছিল। দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২৩ টাকা ৯৩ পয়সা, যা গত বছর ২৯ টাকা ১৮ পয়সা ছিল। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৫৩ টাকা ১৫ পয়সা।

রবি আজিয়াটা লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ১৩ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ প্রথম ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২১) কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ১৬ পয়সা। দুই প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩ টাকা ১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ২ টাকা ৫৪ পয়সা ছিল। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১২ টাকা ৪৫ পয়সা।

হাইডেলবার্গ সিমেন্ট লিমিটেড :দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৫৬ পয়সা, গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৩ টাকা ৩১ পয়সা। এদিকে, দুই প্রান্তিক ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৭৯ পয়সা। গতবছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি সমন্বিতভাবে লোকসান হয়েছিল ২ টাকা৫৪ পয়সা। দুই প্রান্তিক ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ৭৭ টাকা ৯০ পয়সা।

আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৫ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৪৫ পয়সা। অন্যদিকে, প্রথম দুই প্রান্তিকে তথা হিসাববছরের প্রথম ৬ মাসে (জানুয়ারি’২১-জুন’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১১ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৮৫ পয়সা।

দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ১৬ টাকা ৯২ পয়সা, যা গত বছর ৩ টাকা ৮২ পয়সা ছিল। গত ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৫ টাকা ৮৮ পয়সা।

এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক (এনআরবিসি ব্যাংক): দ্বিতীয় প্রান্তিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৬৭ পয়সা।

এদিকে, চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২১-জুন’২১) ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১১ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪৯ পয়সা ছিল। দুই প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৭৮ পয়সা, যা গত বছর ১ টাকা ২৭ পয়সা ছিল। গত ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৫ টাকা ৩০ পয়সা।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৩১ পয়সা লোকসান ছিল। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২৩ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ৬ পয়সা ছিল।

দুই প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ২ টাকা ৭ পয়সা, যা গত বছর মাইনাস ৩ টাকা ৫৩ পয়সা ছিল। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৬ টাকা ৮৯ পয়সা।

ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) : দ্বিতীয় প্রান্তিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৭ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ৭৮ পয়সা ছিল।

অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিক অর্থাৎ ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫৬ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ১ টাকা ৬৫ পয়সা ছিল।

দুই প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৯ টাকা ২৫ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে মাইনাস ১২ টাকা ১০ পয়সা ছিল। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩১ টাকা ৯৭ পয়সা।

পুঁজিবাজারে তথ্য প্রযুক্তি খাতে রিজার্ভ পৌনে ৪০০ কোটি টাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১১ কোম্পানির মোট রিজার্ভের পরিমাণ ৩৭৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এই ১১ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৭০৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সেই হিসাবে কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে গড় রিজার্ভ রয়েছে ০.৫৩ গুণ। খাতটির সবগুলো কোম্পানিরই কমবেশি রিজার্ভ রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হলো- আমরা নেটওয়ার্ক, আমরা টেকনোলোজিস, এডিএন টেলিকম, অগ্নি সিস্টেমস, বিডিকম অনলাইন, ডেফোডিল কম্পিউটার্স, ই-জেনারেশন, জেনেক্স ইনফোসিস, ইনটেক অনলাইন, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক এবং আইটিসি।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকার বেশি এবং শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটির উপরে। বাকি সবগুলো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকার নিচে এবং শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটির নিচে। কোম্পানিগুলোর অনুমোদিত মূলধন, পরিশোধিত মূলধন ও বর্তমান রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবেনিচে দেওয়াহলো:

আমরা নেটওয়ার্ক :কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রিজার্ভ রয়েছে আমরা নেটওয়ার্কের। এই কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৯১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ১০০ কোটি টাকা এবং ৫৬ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ১.৬৩ গুণ।

আমরা টেকনোলোজিস :বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ২৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ কোম্পানির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ১০০ কোটি টাকা এবং ৫৮ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ০.৪৮ গুণ।

এডিএন টেলিকম :বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৫৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এ কোম্পানির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ২০০ কোটি টাকা এবং ৬৪ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ০.৮৮ গুণ।

অগ্নি সিস্টেমস :বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। এ কোম্পানির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ১০০ কোটি টাকা এবং ৭২ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ০.০৮ গুণ।

বিডিকম অনলাইন :বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ১৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এ কোম্পানির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ১০০ কোটি টাকা এবং ৫৪ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ০.২৭ গুণ।

ডেফোডিল কম্পিউটার্স :বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ১৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এ কোম্পানির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ২০০ কোটি টাকা এবং ৪৯ কোটি ৯১ লাখ ২০ হাজার টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ০.৩৭ গুণ।

ইজেনারেশন : বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৫৪ কোটি ৫ লাখ টাকা। এ কোম্পানির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ১০০ কোটি টাকা এবং ৭৫ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ০.৭২ গুণ।

জেনেক্স ইনফোসিস :কোম্পানিটির বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ৬১ কোটি ১ লাখ টাকা। এ কোম্পানির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ২০০ কোটি টাকা এবং ১০৩ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ০.৫৯ গুণ।

ইনটেক অনলাইন :বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এ কোম্পানির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ১২০ কোটি টাকা এবং ৩১ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ০.০৬ গুণ।

ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক :বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এ কোম্পানির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৫০ কোটি টাকা এবং ১০ কোটি ৯২ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ০.২৬ গুণ।

আইটিসি :বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৩৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এ কোম্পানির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ২০০ কোটি টাকা এবং ১২৮ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। পরিশোধিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির রিজার্ভ রয়েছে ০.২৮ গুণ।

কভিড পরিস্থিতিতেও বস্ত্র খাতের রপ্তানি বেড়েছে ১৩ শতাংশ: একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র। কভিড পরিস্থিতিতেও গত অর্থবছরে (২০২০-২১) দেশটিতে পোশাক রফতানি বেড়েছে ১৩ শতাংশের বেশি। সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে, অন্তত আগামী দুই বছর এ প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় থাকবে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ক্রয় বাড়িয়ে তুলতে যাচ্ছে মার্কিন খুচরা বিক্রেতা (রিটেইলার) প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব রিটেইলার প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটাসংশ্লিষ্ট শীর্ষ নির্বাহীরা জানিয়েছেন, মূলত বাংলাদেশী পোশাকের মূল্য সুবিধাকে কাজে লাগাতেই ক্রয় বাড়ানোর কথা ভাবছেন তারা।

ইউনিভার্সিটি অব ডেলাওয়ারের ফ্যাশন অ্যান্ড অ্যাপারেল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শেং লুর তত্ত্বাবধানে জরিপটি পরিচালিত হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল-জুন পর্যন্ত তিন মাসব্যাপী এ জরিপ কার্যক্রম চালানো হয়। মার্কিন সংগঠন ইউনাইটেড স্টেটস ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (ইউএসএফআইএ) পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এ জরিপে পাওয়া তথ্য সম্প্রতি ‘২০২১ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি বেঞ্চমার্কিং স্টাডি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছে। মার্কিন ফ্যাশন পণ্য বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পোশাক ক্রয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত (সোর্সিং এক্সিকিউটিভ) নির্বাহীদের ওপর জরিপটি চালানো হয়।

জরিপে অংশ নেয়া মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাহীরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক সরবরাহের সবচেয়ে বড় উৎস এশিয়ার দেশগুলো। এর মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে চীন। গত বছর মার্কিন রিটেইলারদের ৯৩ শতাংশই চীন থেকে পোশাকের সরবরাহ নিয়েছে। ভিয়েতনাম ও ভারত থেকে নিয়েছে যথাক্রমে ৮৭ ও ৭৭ শতাংশ। চতুর্থ স্থানে থাকা বাংলাদেশ থেকে সরবরাহ নিয়েছে ৭৩ শতাংশ। জরিপে ৮৫ শতাংশের বেশি অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, আগামী দুই বছর তারা এশিয়ার বেশ কয়েকটি উৎস দেশ থেকে পোশাক ক্রয় বাড়াবেন। বাংলাদেশ ছাড়াও তাদের এ আগ্রহের তালিকায় রয়েছে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া।

প্রশ্নোত্তরভিত্তিক এ জরিপে বিভিন্ন দেশের পোশাক শিল্প নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের মূল্যায়নও উঠে এসেছে। মার্কিন রিটেইলার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাহীরা মনে করছেন, বাংলাদেশী পোশাকের মার্কিন বাজারে পৌঁছার গতি এখনো বেশ দুর্বল রয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি ঝুঁকি রয়ে গিয়েছে শিল্পটির সামাজিক ও শ্রম কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপনায়ও। তবে পোশাকের সোর্সিং কস্ট বা উৎসমূল্য ও বাণিজ্য ব্যয় বিবেচনায় বাংলাদেশ এখনো আকর্ষণীয়। মূলত এ কারণেই ঝুঁকি থাকলেও মার্কিন রিটেইলারদের মধ্যে বাংলাদেশ নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে মূল্য সুবিধা পাওয়া যায় তুলনামূলক বেশি। তবে কভিড-পরবর্তী বিশ্বে পোশাক পণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্যের ঘাটতি বাংলাদেশী সরবরাহকারীদের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠবে।

চলমান মহামারী ক্রেতাদের পণ্যের চাহিদায় পরিবর্তন এনেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ক্রেতাদের মধ্যে এখন মৌলিক পণ্যের চেয়ে সোয়েটার, স্মক ড্রেস, সোয়েটপ্যান্টের মতো পণ্যের চাহিদা বেশি। নতুন এসব পণ্যের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশের চেয়ে ভিয়েতনাম অনেক বেশি সফল। এ অবস্থায় কভিড-পরবর্তী বিশ্বে মার্কিন ফ্যাশন কোম্পানিগুলোকে আকর্ষণ করা বাংলাদেশী বিক্রেতাদের জন্য জটিল হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৮ শতাংশ বলেছেন, তারা বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয়ের উেস পরিবর্তন আনবেন না। বরং ভেন্ডরের সংখ্যা কমিয়ে আনবেন। ফলে বাংলাদেশী পোশাক সরবরাহকারীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আরো তীব্র হয়ে উঠবে। প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পণ্য সরবরাহে সক্ষম সরবরাহকারীরা এক্ষেত্রে সুবিধা পেলেও বিপাকে পড়বেন ক্ষুদ্র ও কম সক্ষমতার সরবরাহকারীরা।

জরিপে উঠে আসে, বাজারে পণ্য পৌঁছার গতি বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান দুর্বল হলেও সোর্সিং কস্ট বা পণ্য ক্রয় বাবদ ব্যয়ের দিক থেকে বেশ শক্তিশালী। আবার সামাজিক ও কর্মপরিবেশের কমপ্লায়েন্সের দিক থেকে এখনো দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ এখন ভালো পণ্য তৈরি করছে। সেই পণ্যগুলো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। এর পাশাপাশি মূল্য সুবিধার কারণেই অনেক ক্রেতা বাংলাদেশমুখী হচ্ছেন। বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইনেও বেশ উন্নতি করেছে। পণ্য বিপণন কৌশলে পরিবর্তন এলেও আরো উন্নতি করতে হবে। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের পোশাক খাতসংশ্লিষ্টদের দক্ষতা অনেক বেড়েছে। বৈশ্বিকভাবে এখন স্বচ্ছতার বিশেষ গুরুত্ব তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রেও বাংলাদেশ আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বচ্ছ। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেকসই পণ্য তৈরির পথেও হাঁটতে শুরু করেছে। এসব কারণেই মার্কিন ক্রেতাদের বাংলাদেশ থেকে পণ্য ক্রয়ের আগ্রহ বেড়েছে।

দেশের পোশাক রফতানিকারক শিল্প-কারখানার মালিক সংগঠন প্রতিনিধিরা বলছেন, সামনের দিনগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রে এখান থেকে পোশাক সরবরাহ বাড়ার পূর্বাভাসটি যৌক্তিক ও স্বাভাবিক। বিকেএমইএর হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর শেষেই যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক সরবরাহে প্রবৃদ্ধির হার ২৫ শতাংশও হতে পারে। যদিও সরকারি প্রক্ষেপণে তা ধরা হয়েছে ১৭ শতাংশের কিছু বেশি।

তবে শিল্প খাতসংশ্লিষ্টরা এখন পণ্যে আরো বৈচিত্র্য আনার সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়টি বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন। কারণ গোটা বিশ্বেই এখন কৃত্রিম তন্তু থেকে উৎপাদিত পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ এখনো শুধু মৌলিক পোশাক পণ্যের জায়গাটিতেই শক্তিশালী। তবে ধীরে হলেও এখন বৈচিত্র্য বৃদ্ধির সক্ষমতার উন্নয়ন হচ্ছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, মার্কিন ক্রেতাদের জন্য বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের চাহিদা ক্রমেই আরো বাড়বে বলে আমরা মনে করছি। আমাদের হিসাব বলছে, চলতি অর্থবছরে দেশটিতে পোশাক পণ্যের রফতানি প্রবৃদ্ধি ২৫ শতাংশেও দাঁড়াতে পারে।

ফলে আগামী দিনগুলোয় বাংলাদেশ থেকে পণ্য ক্রয় বাড়ানোয় মার্কিন ক্রেতাদের আগ্রহের বিষয়টি স্বাভাবিক। তবে ক্রয়াদেশ না বাড়িয়ে মার্কিন ক্রেতারা যদি ভেন্ডর কমিয়ে আনে তাহলে অনেক কারখানা বন্ধের পাশাপাশি নতুন বিনিয়োগ নিরুত্সাহিত হওয়ার শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিকাশও ব্যাহত হবে।

পোশাক শিল্প মালিকদের আরেক সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) প্রতিনিধিরাও মার্কিন বাজারে চাহিদা বাড়ার বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, কভিডের ধকল মোকাবেলা করে দেশটিতে আউটলেটগুলো সবে খুলতে শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোয় এর প্রতিফলন দেখা যাবে।

বিজিএমএইএ সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, সারা বিশ্বেই ফ্যাব্রিকের গঠনে পরিবর্তন হয়ে গেছে। আগে যেখানে ৭০ শতাংশই কটন ব্যবহার করা হতো, বর্তমানে সেখানে ৭০ শতাংশ কৃত্রিম তন্তু ব্যবহূত হচ্ছে। কটন আর কৃত্রিম তন্তু ব্যবহার করে একটি টি-শার্ট বানাতে একই সময় লাগে। কিন্তু কৃত্রিম তন্তুর ক্ষেত্রে দাম বেশি পাওয়া যায়। এতে রফতানি মূল্য বেড়ে যায় ২০-৩০ শতাংশ।এক্ষেত্রে নতুন করে কারখানা করার প্রয়োজন নেই। শুধু কিছু উন্নত মানের যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। সরকার যদি এ ধরনের ফ্যাব্রিক ব্যবহার করে রফতানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে, তাহলে সবাই এতে এগিয়ে আসবে। ভিয়েতনাম এগুলো ব্যবহার করে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরও সেদিকেই যেতে হবে।

দেশের অর্জিত বিদেশী মুদ্রার সিংহভাগের জোগানদাতা রফতানি খাত। এ রফতানির ৮৫ শতাংশই তৈরি পোশাক। বাংলাদেশ ব্যাংকও বলছে, ২০২৩ সালের মধ্যেই দেশের রফতানি স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসবে। ওই সময়েই প্রথম প্রাক-কভিড পর্যায়কে ছাড়িয়ে যেতে পারে দেশের রফতানি। সেক্ষেত্রে আগামী বছর রফতানির পরিমাণ ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

আমেরিকান প্রবাসীরাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান: বিএসইসি চেয়ারম্যান: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম প্রবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, বিনিয়োগের অনেক সুযোগ অপেক্ষা করছে।

তাই আমেরিকান প্রবাসীরা আন্তর্জাতিক অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের পুঁজিবাজারের ব্যাপ্তি এবং বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহব্যাপী ‘রোড শো’ শুরু হয়েছে সোমবার, ২৬ জুলাই।

নিউ ইয়র্কের ম্যান হাটনের ইন্টারকন্টিনেন্টাল বার্কলের বলরুমে এই রোড শো’র উদ্ভোধনী পর্বে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়ইয়াত-উল-ইসলাম তার বক্তব্যে এই আহবান জানান। ‘দি রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পটেনশিয়ালস অব ট্রেড এবং ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’- শীর্ষক এ রোড শো’ তে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি, বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে কারিগরি সম্পদ রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে, বড় ধরনের আউটসোর্সিং ব্যবহারের মাধ্যমে এবং তুলনামূলক কম খরচ করে সহজে ব্যবসার পরিবেশ রয়েছে। এসব কিছু ব্যবহারের মাধ্যমে বিনিয়োগ করলে ভালো রিটার্ন পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনায় বিনিয়োগ করার জন্য প্রবাসীদের আহ্বান জানান তিনি।

রোড শো আয়োজনের অন্যতম স্পন্সর বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এরই মধ্যে রোড শোর মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি টেক জায়ান্ট ওয়ালটন। বড় পর্দার ডিসপ্লে স্ক্রিন, এক্স স্ট্যান্ড, ব্যানার ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়েছে ওয়ালটন ডিসপ্লে সেন্টার। রয়েছে বিনিয়োগকারীদের জন্য মিটিং স্পেস। ভিডিও স্ক্রিনে ওয়ালটনের উৎপাদন ও মার্কেটিংয়ের ওপর নির্মিত ডিজিটাল ডকুমেন্টরি প্রদর্শিত হবে।

আগ্রহীদের ওয়ালটন সম্পর্কে ধারণা দিতে থাকছেন দক্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা বিনিয়োগকারী এবং দর্শনার্থীদের ওয়ালটনের ভিশন এবং মিশন সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেবেন। বিশ্ব বাজারে নিজেদের জায়গা করার লক্ষ্যে ওয়ালটন এই রোড শোকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এই রোড শোকে কেন্দ্র করে ওয়ালটনের দশ সদস্যের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদল এখন নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন।

বাংলাদেশে বিনিয়োগ এখন পুরোপুরি নিরাপদ: ওয়ালটন এমডি: শিল্পোন্নয়নের জন্য আস্থা, অভিভাবকত্ব এবং নির্ভরযোগ্যতা এই তিনটি উপাদান একান্ত প্রয়োজন। যার সবগুলোই বাংলাদেশে আছে। তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ এখন পুরোপুরি নিরাপদ।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত রোড শো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাইটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মুর্শেদ। সপ্তাহব্যাপী এই রোড শো’র প্রথম দিন সোমবার আমেরিকার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে নিউ ইয়র্ক সিটির কেন্দ্রস্থল ম্যানহাটনের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল বার্কলের বলরুমে।

প্রবাসীদের নিয়ে প্রথম পর্বের রোড শো’র প্যানেল ডিসকাশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্যানেলিস্ট হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মুর্শেদ। তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন ২০০৮ সাল থেকে ব্যবসা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ইলেক্ট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি ছিল আমদানি নির্ভর। তবে ২০২১ সালে ওয়ালটন সরকারের সহযোগিতায় এখন পুরোপুরি ম্যানুফ্যাকচারিং বেইজড কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় যে, বাংলাদেশ এখন সম্ভাবনাময়। এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা পুরোপুরি নিরাপদ।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি, বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত দিক তুলে ধরতে আমেরিকার চারটি শহরে সপ্তাহব্যাপী রোড শো’র আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজনের অন্যতম সহযোগি ওয়ালটন।

বিশ্ব বাজারে নিজেদের জায়গা করার লক্ষ্যে ওয়ালটন এই রোড শোকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এই রোড শো’কে কেন্দ্র করে ওয়ালটনের দশ সদস্যের প্রতিনিধি দল এখন নিউ ইয়র্কে রয়েছে। নিউইয়র্কের রোড শো’তে ‘দি রাইজ অব বাংলাদেশ টাইগার: পটেনশিয়ালস ইন ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কি-নোট উপস্থাপন করেন শান্তা অ্যাসেটের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান।

প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ড. মিজানুর রহমান, বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।

উদ্বোধনী দিনে দ্বিতীয় সেশনে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানের অন্যতম স্পন্সর বাংলাদেশী ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। ২৮ জুলাই দ্বিতীয় রোড শো হবে ওয়াশিংটন ডিসিতে। তৃতীয়টি হবে ৩০ জুলাই লস এঞ্জেলেসে। চতুর্থ রোড শো হবে সিলিকন ভ্যালি সান ফ্রান্সিসকোতে, ২ আগস্ট।

ব্লক মার্কেটে ৩ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৩টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৭৪ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৯০ লাখ ২২ হাজার ৬৩৭টি শেয়ার ৬৭ বার হাত বদল হয়েছে।

এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৭৪ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২ কোম্পানির বিশাল লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্সের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংকের ১৩ কোটি ৮৪ লক্ষ ৩১ হাজার টাকার।

এছাড়া, ভিএএমএলবিডি মিউচুয়াল ফান্ড ফার্স্ট ৭ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার, সোনালী পেপারের ৩ কোটি ৪৬ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ১ কোটি ৫৯ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ব্যাংকের ৯৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, ই-জেনারেশনের ৮৬ লক্ষ ৫ হাজার টাকার, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ৬৫ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকার, বার্জার পেইন্টসের ৫৩ লক্ষ ৮ হাজার টাকার, সিলকো ফার্মার ৫৩ লক্ষ ২ হাজার টাকার, সাইফ পাওয়ারের ৫২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার,

প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৩৮ লক্ষ ২২ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ৩১ লক্ষ ৬ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ২৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার, বসুন্ধরা পেপারের ২৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ২১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার, কপার টেকের ২১ লক্ষ ৬ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ১৮ লক্ষ টাকার, ট্রাস্ট ব্যাংকের ১৩ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ১৩ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকার,

ইসলামিক ফাইন্যান্সের ১২ লক্ষ ২১ হাজার টাকার, মালেক স্পিনিংয়ের ১১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার, অ্যাক্টিভ ফাইনের ৮ লক্ষ ৩ হাজার টাকার, ফু-ওয়াং সিরামিকের ৭ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকার, সালভো কেমিক্যালের ৭ লক্ষ ২১ হাজার টাকার,

মারিকোর ৫ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকার, যমুনা ব্যাংকের ৫ লক্ষ ৯১ হাজার টাকার, জেএমআই সিরিঞ্জের ৫ লক্ষ ১৪ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ফার্মার ৫ লক্ষ ৭ হাজার টাকার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ৫ লক্ষ ৬ হাজার টাকার, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ৫ লক্ষ টাকার, আরডি ফুডের ৫ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে।

ডিএসই বিক্রেতা সংকটে ২ কোম্পানি: সূচকের নিম্নমুখি প্রবণতায় সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে। এমন পরিস্থিতিতে লেনদেনের শেষ সময়ে ২ কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি পাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ার বিক্রি করতে আগ্রহ দেখায়নি। শেষ পর্যন্ত এসব কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতা সংকটে পড়েছে। যেসব কোম্পানির শেয়ারে বিক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে: পিপলস ইন্স্যুরেন্স এবং সাফকো স্পিনিং।

জানা গেছে, সোমবার পিপলস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ছিল ৪৬.৪০ টাকা। আজ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়ে সর্বশেষ ৫১ টাকায় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানির শেয়ার দর ৪.৬০ টাকা বা ৯.৯১ শতাংশ বেড়েছে।

সাফকো স্পিনিং: আগের দিন কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ২২.৭০ টাকা। আজ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়ে সর্বশেষ ২৫ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। কোম্পানির শেয়ার দর ২.২০ টাকা বা ৯.৬৪ শতাংশ বেড়েছে। এক পর্যায়ে এসব কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতা সংকটে পড়ে।

১২ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিস্ময়কর অগ্রগতি: সালমান এফ রহমান: প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বর্তমান জনসংখ্যার বিবেচনায় বিশ্বের একটি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। পরিকল্পিতভাবে এগোচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এ কারণে বিগত ১০ বছরে বিস্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমি দেখেছি ইউনিয়ন পর্যায়ে চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, বিউটি পার্লার, জিমনেসিয়াম এবং ইভেন ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি হয়েছে। অর্থাৎ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে।

এ ছাড়াও বাংলাদেশে বিশাল শ্রমবাজার রয়েছে। বেশির ভাগ জনশক্তি তরুণ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনসংখ্যার বোনাসকল চলছে। বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল গণতন্ত্র জরুরি। বাংলাদেশে সেটা রয়েছে। এ ছাড়া সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে দুর্নীতি নেই। নিম্ন পর্যায়ে দুর্নীতির কথা বলা হলেও ডিজিটালাইজেশনের কারণে তা কমে যাচ্ছে। এসব বিবেচনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা উচিত। নতুন ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত ১২ বছরে বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। সত্যিকারের পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশে স্থানীয় বাজারে বিনিয়োগেরও বড় ধরনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের শেয়ারবাজারের ব্যাপ্তি এবং বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহব্যাপী ‘রোড শো’ শুরু হয়েছে সোমবার, ২৬ জুলাই। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের ইন্টারকন্টিনেন্টাল বার্কলের বলরুমে এই রোড শো’র উদ্বোধনী পর্বে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান তার বক্তব্যে এ কথা জানান।

সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পর্যায়ে চাইনিজ রেস্টুরেস্ট, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, বিউটি পার্লার, জিম, পোষা প্রাণীর বাজার গড়ে উঠেছে। শুধু তাই নয় স্থানীয় পর্যায়ে ট্যুরিজম মার্কেটও গড়ে উঠেছে। এভাবেই বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। এদেশের স্থানীয় বাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। প্রবাসীরা দারুণভাবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ট্রেড পলিটিক্স রয়েছে, যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের পথকে সুদৃঢ় করেছে।

সালমান এফ রহমান বলেন, আমি যখন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি ছিলাম, তখন দেশের অবস্থা রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল ছিল না। হরতাল হতো প্রায় সময়। কিন্তু বর্তমানে বিদেশি নতুন প্রজন্মের বিনিয়োগকারীরা জানেন না হরতাল কী। বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতিতে একটা স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছেন। তিনি বলেন, রাজনীতি যে দেশে স্থিতিশীল নয়, সে দেশে উন্নতি সহজ নয়। বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অনেক ভালো। সরকারের ভিশন ২০৪১ আছে। এ সময়ের মধ্যে গড়বে উন্নত সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ব বলে লক্ষ্য আছে। সরকারের ডেল্টা প্ল্যানও আছে।

সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের বেশকিছু চ্যালেঞ্জ ও দুর্বলতা রয়েছে। এর মধ্যে বড় চ্যালেঞ্জ রাজনীতির স্থিতিশীলতা। এরপর আমদের বড় চ্যালেঞ্জ বিদ্যুতের সমস্যা। এসব সমস্যা সরকার সমাধান করেছে। এখন কোনো ধরনের লোডশেডিং নেই। শুধু তাই নয়, গ্যাস, সোলার, এসএনজি, ল্যান্ড টার্মিনাল বিভিন্ন ক্ষেত্রে সব ধরনের উন্নতি হচ্ছে বাংলাদেশে। যা ব্যবসা এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে সহজ করে দেবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকারি, বেসরকারি ইকোনমিক জোন রয়েছে। এর মধ্যে মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী অন্যতম। ইকোনমিক জোনগুলোতে এক সঙ্গে অনেক সুবিধা আছে। ইউনিলিটি থেকে নিয়ে সব ধরনের সুবিধা এক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। তাতে ব্যবসা আরও সহজ হয়ে গেছে। কোনো কাজের জন্য ভোগান্তি নেই। এছাড়া এখনো কৃষিতে আমাদের বড় ধরনের সাফল্য রয়েছে।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের স্থানীয় নানা ধরনের বাজারে সম্ভাবনা রয়েছে। এসব খাতে বিনিয়োগ করা যায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের অংশ হিসেবে আমেরিকায় এই ‘রোড শো’র আয়োজন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ‘রোড শো’র মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি টেক জায়ান্ট ওয়ালটন।

এই রোড শো’ গুলোতে আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের ওয়ালটন সম্পর্কে ধারণা দিতে থাকছেন দক্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা বিনিয়োগকারী এবং দর্শনার্থীদের ওয়ালটনের ভিশন এবং মিশন সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেবেন। বিশ্ব বাজারে নিজেদের জায়গা করার লক্ষ্যে ওয়ালটন এই রোডশো’কে অত্যধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। এই উপলক্ষে ওয়ালটনের দশ সদস্যের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল এখন আমেরিকায়।

বস্ত্র-বিমা খাতের উত্থানও দরপতন ঠেকাতে পারেনি: ঈদুল আজহা পরবর্তী পুঁজিবাজারে তৃতীয় কার্যদিবসে সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমার মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এর ফলে রোববার সূচক বৃদ্ধির পর সোম ও মঙ্গলবার টানা দুদিন উভয় বাজারে পতন হয়েছে। আগের কার্যদিবসের মতো এদিন সকাল ১০টায় কিছুটা শেয়ার বিক্রির চাপের মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। যা অব্যাহত ছিল বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এরপর ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ওষুধ ও রসায়ন এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ায় দিনের বাকি সময় লেনদেন হয় সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতায়।

দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৪ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৮৪ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও কমেছে। তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে এখনো প্রফিট টেকিং হচ্ছে। এটা দরপতন না। কারণ সোমবার দাম কমার পর মঙ্গলবার বস্ত্র ও বিমা খাতের প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। আর তাতে বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে পুঁজিবাজার।

এদিন বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০টির, কমেছে ১১টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টির। একইভাবে বিমা খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৮টির, কমেছে ১২টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে একটি কোম্পানির শেয়ারের। ফলে এই দুই খাত আজ সূচকের বৃদ্ধিতে বড় অবদান রেখেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৩৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি শরিয়াহ্ সূচক দুই পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট কমেছে।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মোট এক হাজার ৪৬২ কোটি ৮১ লাখ ৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৩৫৪ কোটি ৭০ লাখ ২ টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৫৩টির, কমেছে ১৯৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় এদিন ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল সাইফ পাওয়ার লিমিটেড। এরপর ক্রমান্বয়ে ছিল বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, বেক্সিমকো লিমিটেড, জিপিএইচ ইস্পাত, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, এনআরবিসি ব্যাংক, ফুয়াং ফুড, অ্যাকটিভ ফাইন, জেনারেশন নেক্সট এবং ওরিয়ন ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেড।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৩২ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ১৬৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি ৪৯ লাখ ১ হাজার ৭৩৫ টাকা।

আইএফসির জিটিএফপিতে তালিকাভুক্ত হলো সিটি ব্যাংক: কনফার্মিং ব্যাংক হিসেবে গ্লোবাল ট্রেড ফাইন্যান্স প্রোগ্রামে (জিটিএফপি) অংশ নিতে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) সঙ্গে চুক্তি করেছে সিটি ব্যাংক। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক হিসেবে আইএফসির জিটিএফপি কনফার্মিং ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত হলো।  মঙ্গলবার ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ এবং আইএফসির এশিয়া ও প্যাসিফিক ফিন্যানসিয়াল ইন্সটিটিউট গ্রুপের আঞ্চলিক শিল্প পরিচালক রোজি খান্না নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ মাইলফলক চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

শেখ মোহাম্মদ মারুফ বলেন, ‘আইএফসির সঙ্গে চুক্তি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে এই ব্যাংকের সক্ষমতা আরও জোরদার করবে। এই চুক্তির মাধ্যমে প্রথম বাংলাদেশি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে সিটি ব্যাংক আন্তর্জাতিক ট্রেড ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে এলসি কনফার্মিং ব্যাংকে পরিণত হবে, যা বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।’

রোজি খান্না বলেন, ‘জিটিএফপি ব্যাংক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক সহজেই বহু বৃহৎ আন্তর্জাতিক ব্যাংকের সাথে কাজের অংশীদারিত্ব স্থাপন করতে পারবে এবং নগদ জামানতের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ে অর্থের যোগান আরও বিস্তৃত করতে সহায়তা করতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর প্রভাবে যেসব বাংলাদেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নগদ প্রবাহ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারাও বাজারে ধারাবাহিক বাণিজ্যিক ঋণ প্রবাহ থেকে লাভবান হতে পারবে।

এটি বাণিজ্য বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য হ্রাসে বিশেষভাবে সহায়তা করবে।’উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে আইএফসি ২০০৫ সালে জিটিএফপি চালু করেছিল। এই প্রোগ্রামের আওতায় জিটিএফপিতে অংশগ্রহণকারী কনফার্মিং ব্যাংকগুলোকে আইএফসি সম্পূর্ণ বা আংশিক গ্যারান্টি প্রদান করে, কার্যকরভাবে তাদের প্রদত্ত অর্থ প্রদানের ঝুঁকি গ্রহণ করে। সিটি ব্যাংক ২০১২ সালে ইস্যুয়িং ব্যাংক হিসেবে জিটিএফপি প্রোগ্রামে যোগদান করে।

সিটি ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, জিটিএফপি প্রোগ্রামের আওতায় কনফার্মিং ব্যাংক হিসেবে সিটি ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ইস্যুকৃত এলসি অ্যাড কনফার্মেশন করতে আইএফসি থেকে ঝুঁকি কাভারেজ পেতে পারে। ব্যক্তিগত খাতের পণ্য ও পরিষেবার আমদানি-রফতানির অর্থায়নে সিটি ব্যাংকের সামর্থ্যে এটি এক বড় উদ্যোগ।

উল্লেখ্য, আইএফসি হলো বিশ্বব্যাংক গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। এর সদরদফতর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত। উন্নয়নশীল দেশসমূহে শুধুমাত্র ব্যক্তিখাতের উন্নয়ন ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ ও উন্নয়নের জন্য ১৯৫৬ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি শাখা হিসেবে এটিকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়।

পুঁজিবাজারে প্রণোদনার ঋণের পর এবার ‘মুদ্রানীতির চাপ’: পুঁজিবাজারে প্রনোদনা ঋণের পর এবার ‘মুদ্রানীতির চাপ’ নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মুলত প্রণোদনার ঋণ পুঁজিবাজারে এসেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন প্রকাশের পর টানা দুই দিন দরপতন ঘটে পুঁজিবাজারে। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা মুদ্রানীতি। প্রতি বছর মুদ্রানীতি প্রকাশের আগে আগে পুঁজিবাজারে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দেয়, যার ব্যতিক্রম হয়নি এবারও।

আগামী এক বছরের আর্থিক বাজারে মুদ্রার সরবরাহ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কেমন দেখতে চায় তা এই মুদ্রানীতিতে উল্লেখ থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণ করে তাহলে তারা বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি কমায়, আর যদি সম্প্রসারণমূলক ঘোষণা করে, তাহলে প্রবৃদ্ধি বাড়ায়। করোনাকালে এমনিতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কম। উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ না করে হাত গুটিয়ে ব্যবসায়ীরা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি চূড়ান্ত হওয়ার পরেই বহুজন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

অবশ্য টানা দ্বিতীয় দিনের এই পতন নিয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা কিছু নেতিবাচক ভাবছেন না। তারা বলছেন, ধারাবাহিকভাবে কয়েক দিন পুঁজিবাজারের সূচক বাড়ার পর কিছুটা দর সংশোধন স্বাভাবিক। আর সংশোধনে সূচকের এমন কোনো পতন হয়নি। তার চেয়ে বড় কথা লেনদেন কমার বদলে বাড়ছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ মনে করেন না প্রণোদনার টাকা পুঁজিবাজারে এসেছে, এমন খবরে পতন হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ আছে। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে এখন বিনিয়োগ বাড়ার অনেক কারণ আছে। শুধু প্রণোদনার টাকার কারণে পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেন বেড়েছে এটা ঠিক না।’ তিনি বলেন, ‘প্রণোদনার টাকা যদি পুঁজিবাজারে এসে থাকে তাহলে কত বিনিয়োগ হয়েছে, সেটি প্রকাশ করা উচিত ছিল।’

তার মতে, পুঁজিবাজারে দুর্বল কোম্পানির আধিপত্য আছে তবে ভালো কোম্পানির শেয়ারের দরও এ সময়ে বেড়েছে। ফলে যারা কয়েক সপ্তাহ আগে শেয়ার কিনেছেন তাদের শেয়ারপ্রতি মুনাফা হওয়ায় এখন বিক্রির চাপ বেড়েছে। ফলে সূচক কমছে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই।

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর পাঁচ মিনিটে সূচক দিনের সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৪১৭ পয়েন্টে ওঠে। তারপর কমে আসে সূচক বৃদ্ধির হার। এরপর আবারও ১১টা ৯ মিনিটে সূচক ৬ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে পৌঁছায়। সেখান থেকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে সূচক, যা লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

ব্যাংকে সুদিনের মধ্যেও আয় কমেছে ফার্স্ট সিকিউরিটির: ব্যাংক খাতের সুদিনের মধ্যেও ফার্স্ট সিকিউরিটির ব্যাংকের মুনাফায় কমেছে। মুলত ব্যাংকটি বরাবরই দেখা গেছে তৃতীয় ও চতুর্থ প্রান্তিকে ভালো আয় করে। ২০২০ সালে সমাপ্ত অর্থবছরে শেষ দুই প্রান্তিকে ৫১ পয়সা ও ১ টাকা ৬০ পয়সা আয় করে শেষ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৯৩ পয়সা আয় করে।

মহামারির দ্বিতীয় বছরে ব্যাংকের আয় বৃদ্ধিতে চমক অব্যাহত থাকলেও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা ধরে রাখতে পারেনি। ব্যাংকটির অর্ধবার্ষিকী হিসাব অনুযায়ী আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৪ শতাংশ আয় কমেছে। সোমবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক শেষে জানানো হয়, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৪ পয়সা।

আগের বছর এই আয় ছিল ৮২ পয়সা ছিল। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ৩৪ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩২ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা হয়েছে ২২ পয়সা। অবশ্য দ্বিতীয় প্রান্তিকে এপ্রিল থেমে জুন পর্যন্ত এই আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে সাড়ে ৩৭ শতাংশ। আগের বছরের এই প্রান্তিকে আয় ছিল ১৬ পয়সা।

অবশ্য এই ব্যাংকটি বরাবরই দেখা গেছে তৃতীয় ও চতুর্থ প্রান্তিকে ভালো আয় করে। ২০২০ সালে সমাপ্ত অর্থবছরে শেষ দুই প্রান্তিকে ৫১ পয়সা ও ১ টাকা ৬০ পয়সা আয় করে শেষ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৯৩ পয়সা আয় করে। আগের বছর ব্যাংকের শেয়ার প্রতি ব্যাংকটির আয় ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। ওই বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১০ পয়সা আর তৃতীয় প্রান্তিকে ৩৫ পয়সা আয় করেছিল।

ফার্স্ট সিকিউরিটির আগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব ব্যাংক মহামারির দ্বিতীয় বছরে অর্ধবার্ষিকীর আয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে লোকসানি একটি ব্যাংক বাদে সবগুলোর আয় বেড়েছ। প্রাইম ব্যাংক এবার অর্ধবার্ষিকীতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি আয় করেছে।

ব্যাংকটি গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৫৫ পয়সা ছিল। মার্কেন্টাইল ব্যাংকে মুনাফায় প্রবৃদ্ধি ১০৮ শতাংশ। অর্ধবার্ষিকীতে এই ব্যাংকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ২ পয়সা, যা গত বছর একই সময় ছিল ৯৯ পয়সা।

সিটি ব্যাংকে আয় বেড়েছে ১০৬ শতাংশ। অর্ধবার্ষিকীতে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ২ টাকা ৬ পয়সা। গত বছর এই আয় ছিল ১ টাকা।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এই ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭২ পয়সা আয় করেছে যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল বা ইউসিবি ব্যাংক বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ ব্যাংকটির আয় বেড়েছে ৪১ শতাংশ।

উত্তরা ব্যাংক ব্যাংকটি বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ২৪ শতাংশের কিছু বেশি। এনসিসি ব্যাংক এই ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৪৩ পয়সা আয় করেছে যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ২২ শতাংশের কিছু বেশি।মহামারির বছরে আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করে চমক দেখায় ব্যাংকিং খাত।

আর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো এবার বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে অনেকটাই আশাতীত। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা নগদে দিয়েছে তারা বিনিয়োগকারীদের। ব্যাংক খাতে সুবাতাসের মধ্যে সেই হতাশার বৃত্তেই আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। গত বছরের মতোই চলতি বছরও অর্ধবার্ষিকীতে শেয়ারপ্রতি ৩২ পয়সা লোকসান দিয়েছে ব্যাংকটি।

যশোরে ৩০ সেট অক্সিজেন সিলিন্ডার দিল সাইফ পাওয়ার: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় যশোর জেলা প্রশাসনকে ৩০ সেট অক্রিজেন সিলিন্ডার (আনুসাঙ্গিক সরঞ্জামাদিসহ) দিয়েছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) যশোর জেলা প্রশাসক মো: তমিজুল ইসলাম খান এর উপস্থিতিতে সিভিল সার্জন ডা: শেখ আবু শাহীনের কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডার তুলে দেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো: রুহুল আমিন এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন ও সরবরাহ) মেজর (অবঃ) ফারুখ আহমেদ খান।

এ সময় জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড করোনাকালীন সময়ে মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে আর্তমানবতার সেবায় অনন্য অবদান রেখে চলেছে। এছাড়া দেশের ক্রীড়া উন্নয়নে গৌরবময় ভূমিকা পালন করছে।

সম্প্রতি শেখ রাসেলের জন্মদিনে সাইফ পাওয়ারটেক শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ও ১০০ টি ল্যাপটপ প্রদান করেছে। এছাড়া মেধাবী ও অসচ্ছল ১ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে জনপ্রতি ১৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা অনুদান দেন তরফদার মো: রুহুল আমিন।

এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের শীর্ষ টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের বিভিন্ন সময়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানান সামাজিক কার্যক্রম পালন করে আসছে। উল্লেখ্য গত ১০ জুন প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে মূখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস এর হাতে ২ কোটি টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো: রুহুল আমিন।

৫ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ১ আগস্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১ আগস্ট ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ফান্ডগুলোর ৩০ জুন, ২০২১ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরযালোচনা ও প্রকাশ করা হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ফান্ডগুলো হচ্ছে: ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ১ আগস্ট দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

এনসিসি ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ১ আগস্ট দুপুর ১টা ২০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এল.আর গ্লোবাল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ১ আগস্ট দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ১ আগস্ট দুপুর ১টা ১০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এআইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ১ আগস্ট দুপুর ১টা ৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।