দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনাভাইরাস অতিমারি পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ায় আগামী সপ্তাহে সাপ্তাহিক ছুটির বাইরেও ব্যাংকে বাড়তি ২ দিন লেনদেন বন্ধ থাকবে। একই কারণে বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজারের লেনদেনও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা কমাতে আগামী সপ্তাহে রোববার (২ আগস্ট) ও বুধবার (৪ আগস্ট) ব্যাংক লেনদেন বন্ধ থাকবে।

আর ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে এ দুদিন লেনদেন বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজারে। সে ক্ষেত্রে সোমবার (৩ আগস্ট), মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) ও বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) লেনদেন হবে পুঁজিবাজারে। বুধবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপার ভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম।

কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন,২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৫৬ পয়সা। আর অর্ধ-বার্ষিকীতে (জানুয়ারি-জুন,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৯৯ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ১৯ টাকা ৮০ পয়সা।

আগস্ট মাসে ব্যাংক বন্ধ ১ ও ৪ আগস্ট: করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। তবে সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগস্ট মাসের ১ ও ৪ তারিখ (দুই দিন) ব্যাংক বন্ধ থাকবে।

বাকি তিনদিন (২, ৩ ও ৫ আগস্ট) ব্যাংকে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। বুধবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপার ভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম।

সোনালী পেপার এবং এএফসি এগ্রোর দরবৃদ্ধিতে ডিএসই সতকর্তা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির শেয়ার দর কোনো ধরনের অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই বাড়ছে। কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ তথ্য জানানোর পর ডিএসই কোম্পানি দুটির বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। যেসব কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে সেগুলো হলো: সোনালী পেপার মিল এবং এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন ধরে দুইটি কোম্পানির শেয়ার দর টানা অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। বিষয়টি নজরে এনে কোম্পানি দুটিকে দর বাড়ার কারণ জানতে নোটিশ পাঠায় ডিএসই। নোটিশের জবাবে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দর বাড়ার অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

শেয়ার দর পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সোনালী পেপারের শেয়ার দর গত ৬ জুলাই ছিল ২১৯.৮০ টাকা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৩২৭.৪০ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০৭.৬০ টাকা বা ৪৯ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে, গত ১৯ জুলাই এএফসি এগ্রো বায়োটেকের শেয়ার দর ছিল ২৩.৬০ টাকা। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ২৬.৮০ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.২০ টাকা বা ১৪ শতাংশ বেড়েছে।

পুঁজিবাজারে প্রণোদনার ঋণ ইস্যুতে গুজবে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান: প্রণোদনার প্যাকেজের ঋণ যথাযথভাবে ব্যাংকগুলোকে মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অথচ দুয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে প্রণোদনার অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রত্যাখান করে ডিএসইর একজন পরিচালক অভিমত প্রকাশ করেছেন। এরপর থেকে প্রণোদনার অর্থ শেয়ারবাজারে এই গুজব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এ কারণে গত দুই দিন ধরে বাজারে লেনদেনে ও সূচক অনেকটা থমকে গেছে। তবে গুজবে কান দিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে স্বাভাবিকভাবে লেনদেন করতে আহ্বান জানিয়েছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় প্রদত্ত ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে গত ২৫ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সকল ব্যাংকগুলোকে একটি নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায়, প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সুষ্ঠুভাবে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের তত্ত্বাবধানে ‘বিশেষ সেল’ গঠন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রণোদনা প্যাকেজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রণোদনার প্যাকেজের আওতায় প্রদত্ত ঋণ যথাযথ খাতে ব্যবহৃত না হয়ে কিছু কিছু ঋণ অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া ঋণের টাকা ছাড় দিতে কোনো কোনো ব্যাংক সয়মক্ষেপণ করছে বলে অভিযোগ এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। এরপরই এই নির্দেশনা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা জারির পর দুয়েকটি গণমাধ্যমে প্রণোদনার অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হচ্ছে বলে খবর প্রকাশ করে। এ খবর প্রত্যাখান করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের একজন পরিচালক মতামত লিখে গণমাধ্যমে পাঠান। আর তা গণমাধ্যমগুলো প্রকাশ করে। এরপর প্রণোদনার অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হচ্ছে কিনা তা নিয়ে একটি ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়।

কেউ পক্ষে কেউ বিপক্ষে যুক্তি দিচ্ছে। আসলে প্রকৃত অর্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এমন কোনো বিষয়ে নির্দেশনা বা আলোচনা করেনি। এমনকি প্রণোদনার অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হচ্ছে এমন কোনো তথ্যও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে নেই। সুতরাং খবরটি ভিত্তিহীন বলে মনে করছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।

বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রণোদনার ঋণের টাকা শেয়ারবাজারে আসার কোনো খবর আমাদের কাছে নেই। শেয়ারবাজার একটি সংবেদনশীল জায়গা হিসেবে সবাইকে সঠিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মন্তব্য করার অনুরোধ করেন তিনি।

তিনি বলেন, সবারই নিজস্বভাবে মনিটরিং করা উচিত এবং সেখানে মনোযোগ দেওয়া উচিত। একইসঙ্গে প্রণোদনার ঋণের টাকা শেয়ারবাজারে যাচ্ছে, এ জাতীয় অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। আর এ জাতীয় মন্তব্য নিয়ে বিনিয়োগকারীদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানান তিনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, প্রণোদনার অর্থ যেন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা পায়। তাছাড়া এ অর্থ যেন কোনো ধরনের অপব্যবহার না হয় সেজন্য ব্যাংকগুলোকে বিশেষ মনিটরিং করার নির্দেশনা দিয়েছে। এর সঙ্গে শেয়ারবাজারের কোনো যোগসূত্র নেই। যারা বিষয়টিকে শেয়ারবাজারের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেছে তারা হয়ত নির্দেশনাটি পড়ে দেখেনি। নির্দেশনাটি পড়লেই বুঝা যাবে তাতে শেয়ারবাজারের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, প্রণোদনা প্যাকেজের ঋনের অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের খবর দু-একটি গণমাধ্যমে দেখেছি। কিন্তু এর কোনো সত্যতা খুজেঁ পাইনি। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু তারা বলেছে খবরটি ভিত্তিহীন।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারের জন্য সব সময় ইতিবাচক। প্রণোদনার প্যাকেজের অর্থের বিষয়ে যে নির্দেশনা কেন্দ্রীয় ব্যাংক দিয়েছে তা শেয়ারবাজারের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। বিষয়টি গুজব আকারে ছড়িয়ে পড়ায় গত দুইদিন বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আমরা বিনিয়োগকারীদের আহ্বান করছি, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না, কোনো গুজবে কান দেবেন না। গুজবে শেয়ার কেনাবেচা করবেন না।

বিএসইসির ‘আইন উপদেষ্টা’ খন্দকার কামালুজ্জামান: পুঁজিবাজার সংক্রান্ত আইন বিষয়ক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনতে ‘আইন উপদেষ্টা’ নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে ‘আইন উপদেষ্টা’ হিসেবে বিএসইসির সাবেক কমিশনার খন্দকার কামালুজ্জামানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ১ আগস্ট থেকে তিনি বিএসইসিতে কাজে যোগদান করবেন বলে জানা গেছে।

খন্দকার কামালুজ্জামানকে আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য চলতি বছরের গত এপ্রিল মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে প্রস্তাব পাঠায় বিএসইসি। সেই প্রস্তাবের আলোকে গত মে মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিএসইসিকে আইন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ মে আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন।

গত ১০ জুন এ পদের জন্য প্রার্থীদের আবেদনের মেয়াদ শেষ হয়। আইন উপদেষ্টা হওয়ার জন্য প্রার্থীদের আবেদন যাচাই বাছাই শেষে খন্দকার কামালুজ্জামানকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। আইন উপদেষ্টার এই চুক্তিভিত্তিক নিয়েগের মেয়াদকাল থাকবে এক বছর। এ চুক্তির মেয়াদ পরে বাড়ানো হতে পারে। এ অর্থ কমিশন তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করবে। আর আইন উপদেষ্টাকে সরাসরি নিয়োগ দেবে বিএসইসি। তবে বিএসইসির নেওয়া এ সব সিদ্ধান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বাস্তবায়ন হবে।

বিএসইসি মনে করে, আইন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হলে কমিশনে আইন বিষয়ক কর্মকাণ্ডে কাজে অধিকতর গতিশীলতা আসবে। এছাড়া, আইন বিভাগ কার্যক্রম সূচারুভাবে পরিচালনা এবং শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন উপদেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

বর্তমানে কমিশনের পক্ষে ও বিপক্ষে প্রায় ৫৭৯টি মামলা উচ্চ ও নিম্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কমিশনের মামলা-মোকদ্দমা বাড়ছে। মামলাগুলোতে নির্ধারিত তারিখে আইন বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতিনিয়ত আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়। বিচারাধীন মামলার আর্জি ও জবাব অনুচ্ছেদ ভিত্তিক মন্তব্য প্রস্তুত, আইনগত মতামত প্রদান রেটিং ও অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদন আইন বিভাগ করে থাকে।

কমিশনের এনফর্সমেন্ট বিভাগকে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। কমিশনের এনফর্সমেন্ট বিভাগ আইন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো মামলার কার্যক্রম থাকে। তাই আইন উপদেষ্টার পরামর্শে মামলা-মোকদ্দমার জট কমবে বলে মনে করে কমিশন।

এ বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘খন্দকার কামালুজ্জামানকে বিএসইসির আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়াগ দেওয়া হয়েছে। ১ আগস্ট থেকে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।’

এ বিষয়ে খন্দকার কামালুজ্জামান বলেন, ‘ঈদের আগে বিএসইসিতে আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। আশা করছি ১ আগস্ট থেকে নিয়মিত কাজ শুরু করব।’ খন্দকার কামালুজ্জামান একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ। ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিনি বিএসইসিতে কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পুঁজিবাজার দুই চাপ কাটিয়ে সূচকের উত্থানে, স্বস্তিতে বিনিয়োগকারীরা: পুঁজিবাজারে টানা দু্ই কার্যদিবস দরপতনের পর সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণোদনার ঋণ পুঁজিবাজারে এসেছে বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন আর মুদ্রানীতি ঘোষণার চাপে দুই দিন পতনের পর ঘুরে দাঁড়াল দেশের পুঁজিবাজার।ফলে পুঁজিবাজারের চাপ কাটিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে।

দুই দিনে সূচক যত কমেছিল, প্রায় ততটাই ফিরে পেল একদিনে। অবশ্য শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ের কারণে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৭ পয়েন্ট যোগ হয়ে শেষ হয়েছে লেনদেন। যদিও লেনদেন শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে তা ছিল ৪৬ পয়েন্ট বেশি।

ঈদের আগে এক দশকের মধ্যে সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান নিয়ে পুঁজিবাজারে নতুন যে আশাবাদ তৈরি হয়, তা ঈদের পরের কর্মদিবসে আরও বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে বড় হয়। তবে রোববারই বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে যে, করোনার প্রণোদনার ঋণ অবৈধভাবে পুঁজিবাজারে নিয়ে এসেছেন বহুজন। আর এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে অবশ্য এই বিষয়টি বলা নেই। বলা আছে অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় আর পুরনো ঋণ পরিশোধের বিষয়টি। তারপরেও বিক্রয় চাপ শুরু হতে পারে, এমন শঙ্কায় অনেকে শেয়ার বিক্রি করে দেন। আর এ কারণে সূচক পড়ে ২০ পয়েন্ট।

পরদিন এই বিষয়টির পাশাপাশি যোগ হয় মুদ্রানীতিতে কী হয়, সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা। আর দ্বিতীয় দিন সূচক পড়ে ২৪ পয়েন্ট। অর্থাৎ দুই দিনে সূচক হারায় ৪৪ পয়েন্ট। আর এর মধ্য দিয়ে ১০ বছর পর প্রথমবারের মতো ৬ হাজার ৪০০ পয়েন্টে উঠে সেখানে টিকে থাকতে পারেনি।

তবে এর মধ্যে বাজার বিশ্লেষকরা বিনিয়োগকারীদেরকে আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি বলেন, টানা ছয় কর্মদিবস উত্থানের পর দর সংশোধন খুবই স্বাভাবিক। আর তবে এরই মধ্যে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক করোনাকালে সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে।

এই অবস্থায় সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে শুরু থেকেই বাজার থাকে চাঙা। বেশিরভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় সূচকে যোগ হতে থাকে পয়েন্ট। যা কিছু সংশয় তা কেটে যাওয়ার পর দিনের শেষ আধা ঘণ্টায় সূচক বাড়তে থাকে আরও বেশি। এক পর্যায়ে দুই দিনে সূচক যত পড়েছিল, আজ বেড়ে যায় তার চেয়ে বেশি।

অবশ্য বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ যে এখনও বাজার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন, তা বোঝা যায় লেনদেনে। সূচক বাড়লেও আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ১০২ পয়েন্ট। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নেয়া বিধিনিষেধের কারণে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে বেলা ১টা পর্যন্ত।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘মুদ্রানীতি নিয়ে পুঁজিবাজারে সব সময়ই আতঙ্ক থাকে। সংকোচন ও সম্প্রসারণ দুই ধরনের মুদ্রানীতিই হয়ে থাকে। তবে ব্যাংকিং সেক্টরের সুরক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময়ই অনুৎপাদনশীল খাতের বিনিয়োগে ব্যাংকগুলোকে নিরুৎসাহিত করে থাকে।’

তার মতে, ‘উৎপাদন না থাকায় বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কম। ফলে দেখার বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনীতিকে সচল রাখতে কী ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তবে যে উদ্যোগই গ্রহণ করুক না কেন, মুদ্রানীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে ভুল ধারণা আছে, তারই প্রতিফলন এ সময়টিতে দেখা যায়।’ পরপর দুই দিন দর বৃদ্ধি পেল বিমা খাতের। ব্যাংকের শেয়ারে উত্থানও খুব বেশি দেখা যায়নি, পতনও হয়নি। দর বৃদ্ধিতে ভালো অবস্থানে ছিল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোও।

ব্লক মার্কেটে ৩ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে : পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৩৫ কোটি ৪৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ৪৭ লাখ ৮৪ হাজার ৩০টি শেয়ার ৮০ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৩৫ কোটি ৪৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩ কোম্পানির বিশাল লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে রেনাটা লিমিটেডের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৮৬ লক্ষ ৫ হাজার টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিকনফার্মার ৮ কোটি ৫৯ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

তাছাড়া, কাট্টালি টেক্সটাইলের ১ কোটি ৭০ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর ১ কোটি ৪০ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ১ কোটি ২৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার, কেয়া কসমেটিকের ৮৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, এটিসিএসএল গ্রোথ ফান্ডের ৭৪ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার, ফর্চুন সুজের ৭৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, সালভো কেমিক্যালের ৫৮ লক্ষ ১১ হাজার টাকার, সাফকো স্পিনিংয়ের ৫১ লক্ষ ৪১ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ৩৭ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকার,

জেনেক্স ইনফোসিসের ৩৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার, সিলকো ফার্মার ৩২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার, তৌফিকা ফুডেরর ৩১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার, আমান ফিডের ২৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার, এসিআই’র ২৭ লক্ষ টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ২৫ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার, প্রাইম ফাইন্যান্সের ২২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার, পিপলস ইন্সুরেন্সের ২১ লক্ষ ২২ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ১৯ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার,

মালেক স্পিনিংয়ের ১৬ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকার, মার্কেনটাইল ইন্স্যুরেন্সের ১৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার, ইস্টল্যান্ড ইন্সুরেন্সের ১২ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকার, সাইফ পাওয়ারের ১০ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকার, ইন্ডেক্স এগ্রোর ১০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১০ লক্ষ ৫ হাজার টাকার, রহিমা ফুডের ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার, সোনালী পেপারের ৬ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ৫ লক্ষ ৪১ হাজার টাকার, পাওয়ার গ্রীডের ৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেনের ৫ লক্ষ টাকার, ইন্ট্রাকো সিএনজির ৫ লক্ষ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

 

ডিএসইতে লেনদেনের চমক ফু-ওয়াং সিরামিকস: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ফু-ওয়াং সিরামিকস লিমিটেড। কোম্পানিটির মোট ৪৪ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এদিন কোম্পানিটি মোট ১ কোটি ৭৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৬৯টি শেয়ার হাতবদল করেছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। কোম্পানিটির ১ কোটি ৪২ লাখ ৪ হাজার ৯২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৪১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। বেক্সিমকো তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির ৪৩ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৩৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- জিপিএইচ ইস্পাত, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, রহিমা ফুড, রবি ও জিবিবি পাওয়ার লিমিটেড।

ফনিক্স ইন্সুরেন্স উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ফনিক্স ইন্স্যুরেন্সের এক উদ্যোক্তা ৮ লাখ শেয়ার বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির উদ্যোক্তা আজিজ আল মাহমুদের কাছে ১৮ লাখ ১৭ হাজার ১২০টি শেয়ার রয়েছে। এখান থেকে তিনি ৮ লাখ ১০ হাজার শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এই উদ্যোক্তা তার ঘোষণাকৃত শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করবেন।

একনেকে দুই হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ প্রকল্প অনুমোদন: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) দুই হাজার ৫৭৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় অংশ নেন। অনুমোদিত ১০ প্রকল্পের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২ হাজার ১৫০ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নেয়া হবে ৪২৫ কোটি টাকা। পাঁচ সপ্তাহ পর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শুরু হয়েছে। এর আগে ২২ জুন সবশেষ একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

প্রকল্পগুলো হলো: ৫৮৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে তিনটি আন্ডারপাস ও পদুয়ারবাজার ইন্টারসেকশনে ইউলুপ নির্মাণ’ প্রকল্প, ১১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (ময়মনসিংহ জোন)’ প্রথম সংশোধিত প্রকল্প, ১৪৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ’ প্রকল্প,

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ১৭৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ইনস্টিটিউট অব টিস্যু ব্যাংকিং অ্যান্ড বায়োমেটেরিয়াল রিসার্চের সেবা ও গবেষণা সুবিধাদির আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩১ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘জেলাভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ (৬৪ জেলা)’ তৃতীয় সংশোধিত প্রকল্প, ৭২ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ শিশু কার্ডিওলজি ও শিশু কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিট স্থাপন’ প্রকল্প, ৪৯৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে

‘দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ বা পুনর্বাসন’ প্রথম সংশোধন প্রকল্প, ৪৪৬ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘পদ্মা বহুমুখী সেতুর ভাটিতে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং ও টংগিবাড়ী উপজেলাধীন বিভিন্ন স্থানে পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্প, ৪২৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ‘প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্যে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃজনে সহায়ক’ প্রকল্প ও ৯৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘বিসিক খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পনগরী, ঠাকুরগাঁও’ প্রকল্প।