দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২১-জুন’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (Earning Per Share-EPS) হয়েছে ৪৬ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ৪৭ পয়সা ছিল।

অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে তথা হিসাববছরের প্রথম ৬ মাসে (জানুয়ারি’২১-জুন’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ইপিএস ১ টাকা ২৫ পয়সা ছিল। গত ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২০ টাকা ৯১ পয়সা।

‘প্রবাসী আয় পুঁজিবাজারসহ যেকোনো খাতে বিনিয়োগে বাধা নেই’: প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে টাকা দেশে পাঠাতে উৎসাহিত করতে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। প্রবাসী আয় পুঁজিবাজারসহ যেকোনো খাতে বিনিয়োগে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক বিষয়ক ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সভায় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রণোদনার টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হওয়ায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে মর্মে খবর প্রকাশিত হওয়ায় এ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন,‘করোনার প্রার্দুভাবে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার, তার টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার প্রশ্নই আসে না। তারপরও বিষয়টি নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।’

তিনি বলেন, ‘কোভিড মোকাবিলায় কোন খাতে কত অর্থ ব্যয় হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে দেয়া আছে। নিয়ম অনুযায়ী, এক খাতের টাকা অন্য খাতে খরচ করা যায় না। আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। বিষয়টি আমার জানা নেই। যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে, ফলে আমি খতিয়ে দেখব।

এত বছরেও দেশের চামড়া শিল্প মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারার কারণ সম্পর্কে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যখন ব্যবসা করতাম, তখন আমারও একটি চামড়া কারখানা ছিল। সুতরাং এ খাতের সমস্যাগুলো আমার জানা আছে। এটা ঠিক, চামড়া খাত যেভাবে এগোনো দরকার, সেভাবে অগ্রসর হচ্ছে না। এ খাতের উন্নতির জন্য সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। আশা করছি ভবিষ্যতে অর্থবহ সমাধান হবে।’

১২ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১২ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। কোম্পানিগুলো নিন্মে তুলে ধরা হলো:  রেকিট বেনকিজার: পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রেকিট বেনকিজারের পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২১) এবং অর্ধবার্ষিক (জানুয়ারি-জুন, ২০২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৮ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটির চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩২ টাকা ৬৪ পয়সা। আগের হিসাব বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩৩ টাকা ৪৭ পয়সা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস ৮৩ পয়সা বা ২ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে, কোম্পানিটির চলতি হিসাব বছরের অর্ধবার্ষিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬২ টাকা ৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫৭ টাকা ৫১ পয়সা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস ৪ টাকা ৫২ পয়সা বা ৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩২ টাকা ৯৮ পয়সা।

ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন,২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৬ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬৭ পয়সা। আর অর্ধ-বার্ষিকীতে (জানুয়ারি-জুন,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৫৭ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ৪৮ টাকা ৯৪ পয়সা।

সাউথইস্ট ব্যাংক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন,২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬৩ পয়সা। আর অর্ধ-বার্ষিকীতে (জানুয়ারি-জুন,২১) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৬ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় ছিল ১ টাকা ৫৯ পয়সা। একই সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২৭ টাকা ৯৭ পয়সা

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন,২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৪ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩৭ পয়সা।

আর অর্ধ-বার্ষিকীতে (জানুয়ারি-জুন,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৮ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২৬ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২৪ টাকা ৮৫ পয়সা।

প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন,২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৪ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩৬ পয়সা। আর অর্ধ-বার্ষিকীতে (জানুয়ারি-জুন,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮২ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৯৪ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ১৯ টাকা ৮৬ পয়সা।

স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন,২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৫২ পয়সা।

আর অর্ধ-বার্ষিকীতে (জানুয়ারি-জুন,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ০৭ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২০ টাকা ৪৯ পয়সা।

আইসিবি ইউনিট ফান্ড : বে-মেয়াদী (ঙঢ়বহ-বহফ) মিউচুয়াল ফান্ড আইসিবি ইউনিট ফান্ড ৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরের জন্য ৪২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ফান্ডটির ট্রাস্টি কমিটির সভায় এই ডিভেডেন্ড ঘোষণা করা হয়।

ফান্ডটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ইবিএল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সর্বশেষ বছরে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। চলতি বছরের ৩০ জুন তারিখে যাদের কাছে ফান্ডটির ইউনিট ছিল, তারা-ই ওই ডিভিডেন্ড পাবেন।
এদিকে নতুন করে আইসিবি ইউনিট ফান্ডের পুনঃক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। ফান্ডের ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের ইউনিট ফান্ডের পুনঃক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬১ টাকা।

ইবিএল এএমএল ইউনিট ফান্ড: বে-মেয়াদী (ঙঢ়বহ-বহফ) মিউচুয়াল ফান্ড ইবিএল এএমএল ফার্স্ট ইউনিট ফান্ড ৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরের জন্য ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ফান্ডটির ট্রাস্টি কমিটির সভায় এই ডিভেডেন্ড ঘোষণা করা হয়।
ফান্ডটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ইবিএল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সর্বশেষ বছরে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। ৩০ জুন এই ডিভিডেন্ডের রেকর্ড ডেট ছিল। অর্থাৎ চলতি বছরের ৩০ জুন তারিখে যাদের কাছে ফান্ডটির ইউনিট ছিল, তারা-ই ওই ডিভিডেন্ড পাবেন।

ব্র্যাক ব্যাংক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্র্যাক ব্যাংক চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২১-জুন’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রান্তিকে ব্যাংকটির মুনাফায় বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। আর দুই প্রান্তিকে মুনাফা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। আজ বুধবার (২৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ঈড়হংড়ষরফধঃবফ ঊচঝ) হয়েছে ৯৬ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ২১ পয়সা ছিল। অন্যদিকে হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২১-জুন’২১) ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা।

গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ৮৪ পয়সা ছিল। দুই প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩ টাকা ৩২ পয়সা, যা গত বছর ২৪ টাকা ৪৩ পয়সা ছিল। গত ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৪ টাকা ৭৩ পয়সা।

ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন,২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় ছিল ২১ পয়সা। আর অর্ধ-বার্ষিকীতে (জানুয়ারি-জুন,২১) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সা। একই সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২৩ টাকা ৯৫ পয়সা

ওয়ান ব্যাংক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকটির চলতি বছরের এপ্রিল-জুন বা ৩ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ০.৬৭ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.১৮ টাকা। এই অর্ধ-বার্ষিকীতে ব্যাংকটির আয় বেড়েছে।

এ বছর জানুয়ারি-জুন বা ৬ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১.৪৬ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.৯৩ টাকা। এই অর্ধ-বার্ষিকীতে ব্যাংকটির আয় বেড়েছে। চলতি বছর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদের পরিমাণ হয়েছে ১৯.৭৭ টাকা, যা গত বছর ৩০ জুন ছিল ১৮.৩০ টাকা।

সাউথইস্ট ব্যাংকের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন,২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬৩ পয়সা।

আর অর্ধ-বার্ষিকীতে (জানুয়ারি-জুন,২১) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৬ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় ছিল ১ টাকা ৫৯ পয়সা। একই সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২৭ টাকা ৯৭ পয়সা

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন,২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৪ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩৭ পয়সা।

আর অর্ধ-বার্ষিকীতে (জানুয়ারি-জুন,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৮ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২৬ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২৪ টাকা ৮৫ পয়সা।

প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন,২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৪ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩৬ পয়সা।

আর অর্ধ-বার্ষিকীতে (জানুয়ারি-জুন,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮২ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৯৪ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ১৯ টাকা ৮৬ পয়সা।

স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন,২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৫২ পয়সা।

আর অর্ধ-বার্ষিকীতে (জানুয়ারি-জুন,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ০৭ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২০ টাকা ৪৯ পয়সা।

ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের প্রাণ: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রয়োজন। একইসঙ্গে আমরা শেয়ারবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগও চাই। কারণ, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের প্রাণ।

বুধবার (২৮ জুলাই) আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে রিটজ-কার্লটন হোটেলের বলরুমে অনুষ্ঠিত শেয়ারবাজার বিষয়ক রোড শো’র দ্বিতীয় পর্বে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্টেকহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, দেশে ও দেশের বাইরে অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী রয়েছেন। তারা যেন দেশের শেয়ারবাজারে খুব সহজেই বিনিয়োগ করতে পারেন সেজন্য অনলাইনে বিও হিসাব খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবাসীরা বিও হিসেবে রেমিট্যান্স বা টাকা সহজেই জমা দিতে পারবেন। আর ওই বিও হিসাব থেকে পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে অনলাইনে লেনদেন করা যাবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, কুয়েত, ব্রুনাইসহ বিভিন্ন দেশের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী আমাকে ফোন করে মোবাইল অ্যাপলিকেশনের সমস্যা সমাধানের জন্য অভিযোগ করেছেন। এতে বোঝা যায় যে, প্রবাসীদের বিনিয়োগ দেশের শেয়ারবাজারে রয়েছে। তারা মোবাইল অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে শেয়ারবজারে লেনদেন করেন। কারণ দেশের অধিকাংশ ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো শেয়ার লেনদেনের ক্ষেত্রে মোবাইল অ্যাপলিকেশনের সফটওয়্যার ব্যবহার করছে।

কিন্তু এ কাজটি আরও সহজভাবে করতে আমরা নিউ ইয়র্কে ব্রোকারেজ হাউজের শাখা হিসেবে ডিজিটাল বুথ স্থাপন করতে চাই। আপনারা চাইলে অবশ্যই ওয়াশিংটন ডিসিতেও ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা হবে। এজন্য আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। যেকোনো ব্রোকারেজ হাউজ ডিজিটাল বুথ খোলার জন্য আমাদের কাছে আবেদন করলে দ্রুততম সময়ে মধ্যে তা অনুমোদন দেওয়া হবে।

নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত রোড শোতে অনেক ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিরা সেখানে ডিজিটাল বুথ খোলার বিষয়ে আমার কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এরকম লস এঞ্জেলস, সান ফ্রান্সিসকো, মিশিগান ও টেক্সাসে ডিজিটাল বুথ খুলতে অনেক ব্রোকারেজ হাউজ আগ্রহী।

তিনি বলেন, এখন আমরা সবকিছুই অনলাইনে করে ফেলছি। সে কারণে এখন ডিজিটাল বুথেও যাওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। ঘরে বসেই মোইল অ্যাপসের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে লেনদেন করা যায়। তবে শেয়ারবাজারে টাকা উত্তোলনের জন্য বা টাকা পাঠাতে ডিজিটাল বুথে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া শেয়ারবাজারের লেনদেনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম মোবাইল অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে করা সম্ভব। তবে আমরা মোবাইল মাধ্যমে আরও ভালো সেবা নিশ্চিত করতে অ্যাপলিকেশনটি আধুনিকায়নের চেষ্টা করছি। ফলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সহজেই দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে রিয়েল টাইমে লেনদেন করতে পারবেন।

শিবলী রুবাইয়াত আরও বলেন, আমরা রেগুলেটর। আমরা রুলস ও রেগুলেশন প্রণয়ন করে থাকি। পাশাপাশি ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকতে তাদের প্রোডাক্ট ও বিজনেস প্রোমট করার জন্য সহায়তা করি। রেগুলেটর হিসেবে আমরা খুবই দ্রুত সঠিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের আবেদন অনুমোদন দিয়ে থাকি। কোনো কোনো সময় আমি বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজকে মজা করে বলি, আপনাদের আবেদন এত দেরিতে এসেছে কেন? কেন এ আবেদন আরও আগে করলেন না?

আপনারা বিশ্বাস করেন, আমি সবার সামনে চ্যালেঞ্জ করে বলছি, প্রাইভেট সেক্টরের চেয়েও দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা মোবাইল ও ডিজিটাল টেকনোলোজি সংক্রান্ত বিষয়ে অনুমোদন দিয়ে থাকি। আমরা বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে সবার আগে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশে ও বিদেশের জন্য যেকোনো আবেদন অনুমোদন দিয়ে থাকি।

ওয়াশিংটন ডিসিতে বুধবার রিটজ-কার্লটন হোটেলে রোড শোতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, শান্ত অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টর ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেনসহ সরকারী বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

‘দি রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পটেনশিয়ালস অব ট্রেড এবং ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’- শীর্ষক দ্বিতীয় পর্বের এ রোড শোতে ওয়াশিংটন ডিসির বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারী এবং স্টেকহোল্ডাররা অংশ নেন।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের শেয়ারবাজারের ব্যাপ্তি ও প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। সপ্তাহব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বড় শহরে এই রোড শো’র সহযোগী হিসেবে থাকছে বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট ওয়ালটন।

যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়া পুঁজিবাজার বিষয়ক এ রোড শো ২৬ জুলাই থেকে ২ আগষ্ট পর্যন্ত চলবে। নিউ ইয়র্কে ২৬ জুলাই প্রথম পর্ব এবং ওয়াশিংটনে ২৮ জুলাই দ্বিতীয় পর্ব শেষে আগামী ৩০ জুলাই লস এঞ্জেলেসে তৃতীয় পর্ব এবং ২ আগস্ট সান ফ্রান্সিসকোর সিলিকন ভ্যালিতে চতুর্থ পর্বে রোড শো আয়োজিত হবে।

পুঁজিবাজার বান্ধব মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক: আগামী এক বছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ দ্বিগুণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত এক বছরে (মে ২০২১ পর্যন্ত) বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ অর্জিত হয়েছে ৭.৫৫ শতাংশ। আগামী এক বছরে বেসরকারি খাতে (২০২২ সালের জুন পর্যন্ত) ঋণ প্রবাহ ১৪.৮০ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে নতুন মুদ্রানীতিতে। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধির এই লক্ষ্যমাত্রার কারণে এই মুদ্রানীতিতে ‘সম্প্রসারণমূলক’ মুদ্রানীতি বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এদিকে, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধির করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঘোষিত এই মুদ্রানীতিকে পুঁজিবাজার বান্ধব বলে আখ্যায়িত করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি পেলে স্বাভাবিকভাবে পুঁজিবাজারেও তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। যা পুঁজিবাজারের জন্য হবে খুবই ইতিবাচক।

এর আগে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হলেও গতবাবের মতো এবারও মহামারির কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়। এর সংক্ষিপ্তসার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারেও প্রকাশ করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক অর্থবছরে দুটি মুদ্রানীতি (জুলাই-ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি-জুন) ঘোষণা করে আসছিল। কিন্তু ‘বিশেষ তাৎপর্য’ নেই বলে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে বছরে একটি মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হচ্ছে।

ডিএসই চার খাতের শেয়ারে প্রফিট টেকিং: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের কিছুটা উর্ধ্বমুখী প্রবনতা বিরাজ করলেও চার খাতের শেয়ারে উল্টো পথে হেঁটেছে। খাতগুলো হলো: বিমা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্য প্রযুক্তি এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাত। প্রধান এই চার খাতে আজ লেনদেন কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আলোচ্য চার খাতের বিনিয়োগকারীরা আজ মুনাফা তোলার মুডে ছিলেন। যে কারণে খাত চারটির শেয়ার দরও ছিল মন্দাভাব।

বিমা : বিমা খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ১৩৬ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৯১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি : জ্বালানি খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ১০ লাখ টাকা আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ২২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

তথ্যপ্রযুক্তি খাত : তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

মিউচুয়াল ফান্ড : মিউচুয়াল ফান্ড খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

‘আমরা ব্যবসায়ী খুঁজছি, বিনিয়োগকারী খুঁজছি’: অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত: ‘অর্থনীতির দিক দিয়ে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আমেরিকা। এদেশে আমরা ব্যবসায়িক অংশীদার খুঁজছি। আমরা সাহায্য চাই না, ব্যবসায়ী সহযোগী চাই। আমরা ব্যবসায়ী খুঁজছি, বিনিয়োগকারী খুঁজছি।’ এই আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বুধবার আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে শেয়ারবাজার বিষয়ক রোড শো’র দ্বিতীয় পর্বের প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও এখানে বিনিয়োগ করে উচ্চহারে লভ্যাংশ পাওয়া যায়। বিনিয়োগকারীরা ভালো রিটার্ন পায়। গত ১ বছর ৩ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার সবচেয়ে ভালো পারফর্মেন্স করেছে।

অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবকাঠামোগত উন্নয়নকে খুব গুরুত্ব দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের কক্সবাজারে বড় বিমান বন্দরের কাজ চলছে, ঢাকায় মেট্টোরেলের কাজ চলছে, গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে এসব অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ শেষ হবে। যা ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে বাংলাদেশে বেপজা, বিডা কাজ করছে। তারা ব্যবসায়ীদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিচ্ছে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসা করতে গিয়ে গ্যাস বিদ্যুতের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা চাওয়া মাত্রই গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে। এখানে একঝাঁক শিক্ষিত, দক্ষ ও পরিশ্রমী জনশক্তি রয়েছে। যা আমাদের বড় সম্পদ।

আমেরিকান বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যদি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেন তাহলে আমাদের দেশের শিক্ষিত সফল ব্যবসায়ীদের অংশীদার হিসেবে পাবেন। বাংলাদেশ এখন শুধু ট্রেডিং ব্যবসা নয়, বিনিয়োগের জন্য বড় জায়গা।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ বন্যা, ঘুর্নিঝড় সহ নানা দুর্যোগের দেশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লোকজন মনে করে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ভালো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার দেশ হিসেবে কাজ করছে। আমাদের দক্ষতাই আমাদের যোগ্যতা।

ওয়াশিংটন ডিসিতে বুধবার রিটজ-কার্লটন হোটেলে রোড শোতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানসহ সরকারি বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

‘দি রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পটেনশিয়ালস অব ট্রেড এবং ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’- শীর্ষক দ্বিতীয় পর্বের এ রোড শোতে ওয়াশিংটন ডিসির বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারী এবং স্টেক হোল্ডাররা অংশ নেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের শেয়ারবাজারের ব্যাপ্তি ও প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। সপ্তাহব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বড় শহরে এই রোড শো’র সহযোগী হিসেবে থাকছে বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট ওয়ালটন।

যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়া পুঁজিবাজার বিষয়ক এ রোড শো ২৬ জুলাই থেকে ২ আগষ্ট পর্যন্ত চলবে। ওয়াশিংটনে আজকের দ্বিতীয় পর্ব শেষে আগামী ৩০ জুলাই লস এঞ্জেলেসে তৃতীয় পর্ব এবং সান ফ্রান্সিসকোর সিলিকন ভ্যালিতে চতুর্থ পর্বে রোড শো’র আয়োজন হবে।

২১ কোম্পানি ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে সময় পাচ্ছে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২১ কোম্পানি সম্মিলিত শেয়ার ৩০ শতাংশ ধারণে আরও সময় পাবে । কোম্পানিগুলো হলো- একটিভ ফাইন, অগ্নি সিষ্টেম, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, অ্যাপেলো ইস্পাত, আজিজ পাইপ, সেন্ট্রাল ফার্মা, সিএন্ডএ টেক্সটাইল, ডেল্টা স্পিনিং, ফ্যামিলি টেক্স, এফএএস ফাইন্যান্স, ফাইন ফুড, ফুওয়াং সিরামিক, ফুওয়াং ফুড, জেনারেশন নেক্সট, মিথুন নিটিং, অ্যালিম্পিক এক্সেসরিজ, ফার্মা এইড, ইনফরমেশন সার্ভিসেস, নর্দার্ন জুট, সালভো কেমিক্যাল ও সুহ্নদ ইন্ডাষ্ট্রিজ।

বিএসইসি শেয়ার ধারণে ব্যর্থ এসব কোম্পানিকে আরও সময় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে কোম্পানিগুলো সম্মিলিত শেয়ার ধারণ করতে পারে। এজন্য পুন:গঠিত পর্ষদের সঙ্গে বেঠকও করেছে বিএসইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, কোম্পানিগুলো মধ্যে একটিভ ফাইনের উদ্যোক্তা শেয়ার রয়েছে ১২.০৪ শতাংশ, অগ্নি সিষ্টেমের ৯.৩৩ শতাংশ, আলহাজ টেক্সটাইলের ১২.৭৮ শতাংশ, অ্যাপেলো ইস্পাতের ২০.২৪ শতাংশ, আজিজ পাইপের ২৩.৯৩ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ২৫.৮৯ শতাংশ, সিএন্ডএ টেক্সটাইলের ২২.১৪ শতাংশ, ডেল্টা স্পিনিংয়ের ১৮.৫৮ শতাংশ, ফ্যামিলি টেক্সের ৪.০২ শতাংশ, এফএএস ফাইন্যান্সের ১৩.২০ শতাংশ, ফাইন ফুডের ৬.৩৮ শতাংশ, ফুওয়াং সিরামিকের ৭.৩৩ শতাংশ, ফুওয়াং ফুডের ৯.৮৬ শতাংশ, জেনারেশন নেক্সটের ১৩.৮২ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের ১৭.২০ শতাংশ, অ্যালিম্পিক এক্সেসরিজের ২৫.৮১ শতাংশ, ফার্মা এইডের ২৪.২২ শতাংশ, নর্দার্ন জুটের ১৫.০৯ শতাংশ, সালভো কেমিক্যালের ২২.৪১ শতাংশ, ইনফরমেশন সার্ভিসেস লিমিটেডের ২১.৬২ শতাংশ এবং সুহ্নদ ইন্ডাষ্ট্রিজের ১২.০১ শতাংশ।

যেসব প্রতিষ্ঠান আইনটি পরিপালন করবে না, সেসব কোম্পানিতে নতুন পরিচালক নিয়োগ করাসহ আইনগত অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সাধারণ শেয়ারধারীদের মধ্যে যাদের ২ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার রয়েছে, তাদের মধ্য থেকেই আইন অনুযায়ী নতুন পরিচালক নিয়োগ করা হতে পারে।

জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইতোমধ্যে পর্ষদ পুন:গঠন করেছে- অগ্নি সিস্টেমস, আলহাজ টেক্সটাইল মিলস, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল ও ফ্যামিলিটেক্স (বিডি)। আরও তিনটি কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠনের বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেই কোম্পানিগুলো হচ্ছে জেনারেশন নেক্সট, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক ও ডেল্টা স্পিনার্স।

এদিকে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলো নতুন করে কোনোভাবেই মূলধন বাড়াতে পারবে না বলে বিধান দিয়েছে বিএসইসি। পাশাপাশি ন্যূনতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সব ধরনের শেয়ার কেনাবেচা ও স্থানান্তরের ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিএসইসি এখন ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে সব ধরনের আইন প্রয়োগের উদ্যোগ নিয়ে এগোচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসের পর ২০১১ সালে ন্যূনতম শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত বিধান করে বিএসইসি। সেই অনুযায়ী তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। আর পরিচালকদের হাতে এককভাবে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়।

২০১১ সালে এমন আইন করা হলেও সেটি পরিপালনের ক্ষেত্রে এর আগে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিএসইসি। অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে বর্তমান কশিমন আইনটি প্রতিপালনের কঠোর অবস্থান নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ ৪৩ কোম্পানিকে আইন পরিপালনের জন্য ৬০ দিন সময় বেঁধে দিয়ে গত বছর ২৯ জুলাই চিঠি দেয় বিএসইসি। এরপর এক দফা সময় বাড়িয়ে তা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

এতে দেখা যায়, বিএসইসির শক্ত অবস্থানের কারণে ২৩টি কোম্পানি সম্মিলিত শেয়ার ৩০ শতাংশ পুরণ করতে বাধ্য হয়। অন্যদিকে, যেসব উদ্যোক্তা পরিচালকদের ব্যক্তিত শেয়ার ২ শতাংশ শেয়ার ছিল না, তাদের অপসারণ করে। তারপরও আলোচ্য ২১ কোম্পানি ন্যূনতম শেয়ার ধারণের শর্ত না মানার তালিকায় রয়ে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের মে মাসে বিএসইসির পুনর্গঠিত কমিশন ন্যূনতম শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত আইনটি পরিপালন নিশ্চিত করার নতুন করে উদ্যোগ নেয়। তালিকাভুক্ত কোম্পানির সম্মিলিত শেয়ার ৩০ শতাংশ ধারণ করার বিধান থেকে কোন অবস্থায়ই পিছু হটবে না বিএসইসি।

বিএসইসির এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির জন্য সম্মিলিত শেয়ার ন্যুনতম ৩০ শতাংশ ধারণ বাধ্যতমূলক করা হয়েছে। সুতরাং আলোচ্য ২১ কোম্পানির ক্ষেত্রেও একই আইন প্রযোজ্য হবে। এই ২১টি কোম্পানির জন্যতো বিএসইসি ভিন্ন আইন করতে পারবে না। তবে কোম্পানিগুলোকে কিছু সময় দেয়া হবে, যাতে তারা ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে পারে।

বিএসইসির মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে যাচ্ছে ৬ কোম্পানির টাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরো ৬ কোম্পানির অদাবীকৃত ক্যাশ ও স্টক ডিভিডেন্ড, অগ্রহণকৃত আইপিও সাবস্ক্রিপশন এবং বন্ডের টাকা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো: এপ্রেক্স ফুটওয়্যার, ইসলামিক ফাইন্যান্স, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, এপেক্স ফুটওয়্যারের ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর পর্যন্ত ২২ বছরের অদাবীকৃত ক্যাশ ও স্টক ডিভিডেন্ড আগামী ২৮ আগস্টের মধ্যে কোম্পানির শেয়ার বিভাগ থেকে জরুরি ভিত্তিতে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। উক্ত তারিখের পর অদাবীকৃত ক্যাশ ও স্টক ডিভিডেন্ডের টাকা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের স্থানান্তর করা হবে।

ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ২০০৫ সাল থেকে ২০১৭ অর্থবছর পর্যন্ত ১২ বছরের অদাবীকৃত ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং অগ্রহণকৃত আইপিও সাবস্ক্রিপশনের টাকা আগামী ২৮ আগস্টের মধ্যে কোম্পানির শেয়ার বিভাগ থেকে জরুরি ভিত্তিতে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। উক্ত তারিখের পর অদাবীকৃত ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং অগ্রহণকৃত আইপিও সাবস্ক্রিপশনের টাকা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের স্থানান্তর করা হবে।

সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারী লিমিটেডের ডিভিডেন্ড ঘোষণার তিন বছর পার হলেও যেগুলো অদাবীকৃত ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং অগ্রহণকৃত আইপিও সাবস্ক্রিপশনের টাকা রয়েছে তা সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারদের আগামী ২৮ আগস্টের মধ্যে কোম্পানির শেয়ার বিভাগ থেকে জরুরি ভিত্তিতে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। উক্ত তারিখের পর অদাবীকৃত ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং অগ্রহণকৃত আইপিও সাবস্ক্রিপশনের টাকা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের স্থানান্তর করা হবে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ডিভিডেন্ড ঘোষণার তিন বছর পার হলেও যেগুলো অদাবীকৃত ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং অগ্রহণকৃত মুদারাবা পারপেচ্যুয়াল বন্ডের প্রফিটের টাকা রয়েছে তা সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারদের আগামী ২৮ আগস্টের মধ্যে কোম্পানির শেয়ার বিভাগ থেকে জরুরি ভিত্তিতে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। উক্ত তারিখের পর অদাবীকৃত ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং অগ্রহণকৃত আইপিও সাবস্ক্রিপশনের টাকা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের স্থানান্তর করা হবে।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ডিভিডেন্ড ঘোষণার তিন বছর পার হলেও যেগুলো অদাবীকৃত ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং স্টক ডিভিডেন্ড রয়েছে তা সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারদের আগামী ২৮ আগস্টের মধ্যে কোম্পানির শেয়ার বিভাগ থেকে জরুরি ভিত্তিতে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। উক্ত তারিখের পর অদাবীকৃত ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং অগ্রহণকৃত আইপিও সাবস্ক্রিপশনের টাকা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের স্থানান্তর করা হবে।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের ২০০৩ সাল থেকে ২০১৭ অর্থবছর পর্যন্ত ১৪ বছরের অদাবীকৃত ক্যাশ এবং স্টক ডিভিডেন্ড আগামী ২৯ আগস্টের মধ্যে কোম্পানির শেয়ার বিভাগ থেকে জরুরি ভিত্তিতে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। উক্ত তারিখের পর অদাবীকৃত ক্যাশ ডিভিডেন্ড এবং অগ্রহণকৃত আইপিও সাবস্ক্রিপশনের টাকা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের স্থানান্তর করা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর ৬ জুলাই,২০২১ এর নির্দেশনা অনুযায়ী সিএমএসএফ রুলস,২০২১ এর আওতায় “অদাবীকৃত ক্যাশ ডিভিডেন্ডের টাকা” কমিউনিটি ব্যাংক, বাংলাদেশ লিমিটেড করপোরেট শাখা, গুলশান এর ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) শিরোনামীয় এসএনডি অ্যাকাউন্ট নং: 0010311521301 এ স্থানান্তর করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

৩ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন খাতের ৩ কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের সভার (বোর্ড সভা) ও ট্রাস্টি সভার তারিখ জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সভায় সমাপ্ত সময়ের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি প্রকাশ করবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হচ্ছে: ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: পরিচালনা পর্ষদের সভা আগামী ৪ আগস্ট দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কোম্পানিটির ৩০ জুন ,২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ আলোচিত প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৩৩ পয়সা।

এছাড়া, তালিকাভুক্ত ২ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা আগামী ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ফান্ডগুলোর ৩০ জুন, ২০২১ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরযালোচনা ও প্রকাশ করা হবে। ফান্ডগুলো হচ্ছে: গ্রীণডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা আগস্ট দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি সভা ৫ আগস্ট দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

এসবিএসি ব্যাংকের আইপিওতে ৬৬টি শেয়ার পেলেন বিনিয়োগকারীরা: সদ্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনের শেষ হওয়া সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান কার্যালয় নিকুঞ্জে শেয়ার বরাদ্দ অনুষ্ঠিত হয়।

আইপিও নীতিমালায় সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারী প্রতি ১০ হাজার টাকায় ৬৬ শেয়ার পেয়েছেন। প্রবাসী বিনিয়োগকারী প্রতি ১০ হাজার টাকায় ১০৮ শেয়ার পেয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০ হাজার টাকার বিপরীতে ৭৬টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছেন।

আইপিওতে ব্যাংকটি অভিহিত মূল্য তথা ১০ টাকা দামে ১০ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে। আর এর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে ব্যাংকটি। এর বিপরীতে এক হাজার ৩৯১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে। সে হিসেবে চাহিদার ১৩ দশমিক ৯১ গুণ আবেদন জমা পড়ে। পুঁজিবাজার থেকে ব্যাংকটি অর্থ উত্তোলন করে সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করা সাউথবাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক গত ৯ মে আইপিওর অনুমোদন পায়। ওইদিন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) তার ৭৭৩তম সভায় এ অনুমোদন দেয়। এর আগে দীর্ঘ ১২ বছর পর চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়; ব্যাংকটির আইপিওতে আবেদন পড়েছিল ৮ দশমিক ৭২ গুণ।

জানা গেছে, সাউথবাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংকের ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেটভ্যালু দাঁড়িয়েছে ১৩.১৮ টাকা। আর ওই বছরের ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৯৪ টাকা। যা বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে হয়েছে ১.২৪ টাকা। আইপিওতে ব্যাংকটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

সাউথ বাংলা ব্যাংকের আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আবেদন জমা পড়েছে ৬৬১ কোটি ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকার; ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আবেদন জমা পড়েছে ১৩১ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার; প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের আবেদন জমা পড়েছে ৯১ কোটি ৭৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার এবং প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আবেদন পড়েছে ৫০৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকার।

এর আগে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের আইপিওতে যেসব ইলিজিবিল ইনভেস্টর আবেদন করেছে তাদের শেয়ার বরাদ্দের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদন করা ৬৮২টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে এই শেয়ার বণ্টন করা হয়েছে।

জানা যায়, যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত ৪ কোটি শেয়ারের বিপরীতে ৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬০০ শেয়ারের আবেদন পড়েছে। অর্থাৎ ৪০ কোটি টাকার বিপরীতে সাউথ বাংলার আইপিওতে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা ৫০৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকার আবেদন করেছে। এক্ষেত্রে চাহিদার ১২.৬৮ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছে। আর প্রো-রাটা ব্যাসিসে আবেদন করা ৬৮২টি যোগ্য বিনিয়োগকারীর মধ্যে শেয়ার ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

ডিএসই ৪ কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতা সংকটে : পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘন্টায় বিক্রেতা সংকটে পড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন খাতের মোট ৪ কোম্পানি। বিক্রেতা সংকটে হল্টেড হয়েছে সবগুলো কোম্পানি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর হচ্ছে: কপারটেক, মেট্রো স্পিনিং, দেশবন্ধু পলিমার এবং এএফসি এগ্রো বায়োটেক।

তথ্যমতে, বুধবার কপারটেকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৬ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ৩৬.৩০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৯.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.৬০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে।

মেট্রো স্পিনিং : বুধবার মেট্রো স্পিনিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৭.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৭.৭০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯.১০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৭০ টাকা বা ৯.৭৭ শতাংশ বেড়েছে।

দেশবন্ধু পলিমার : বুধবার দেশবন্ধু পলিমারের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৫.৫০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ১৫.৭০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৫০ টাকা বা ৯.৬৭ শতাংশ বেড়েছে।এছাড়া, এএফসি এগ্রো বায়োটেকের অসংখ্য ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতার ঘর শূণ্য ছিল।

ব্লক মার্কেটে ৩ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৪০টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৭২ কোটি ৮১ লাখ ৮৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৮০ লাখ ৫১ হাজার ৯৮১টি শেয়ার ৭৫ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৭২ কোটি ৮১ লাখ ৮৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩ কোম্পানির বিশাল লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৩৬ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১৭ কোটি ৮২ লক্ষ ৪১ হাজার টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ বেক্সিমকো ফার্মার ১৫ কোটি ৫৫ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া, আমান ফিডের ২ কোটি ৭১ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার, ফর্চুন সুজের ১ কোটি ৮৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার, ফু-ওয়াং ফুডের ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকার, এসিআইয়ের ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকার, সালভো কেমিক্যালের ১ কোটি ৩২ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার, এসইএমএলএফবিএসএল গ্রোথ ফান্ডের ৯৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ৯২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৫৮ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকার,

বিডি থাইয়ের ৫৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, ম্যাকসন স্পিনিংয়ের ৫৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার, মার্কেনটাইল ইন্স্যুরেন্সের ৪৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ৪৬ লক্ষ টাকার, আমান কটনের ৩২ লক্ষ ৪২ হাজার টাকার, ইন্ডেক্স এগ্রোর ৩০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, রবি আজিয়াটার ২৯ লক্ষ ৩২ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ২৫ লক্ষ টাকার, বে-লিজিংয়ের ২৩ লক্ষ ৮২ হাজার টাকার, জিপিএইচ ইস্পাতের ২৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ২২ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর ১৯ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকার,

বিবিএস ক্যাবলসের ১৯ লক্ষ ৪১ হাজার টাকার, দেশ বন্ধুর ১৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, ইসলামিক ফাইন্যান্সের ১৩ লক্ষ ৪২ হাজার টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১২ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকার, এপেক্স ট্যানারির ১২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার, আইএফআইসি ব্যাংকের ১২ লক্ষ ৬ হাজার টাকার, রহিমা ফুডের ১০ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকার, সাইফ পাওয়ারের ৮ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার,

ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৬ লক্ষ ৩২ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৫ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকার, এটিসিএসএল গ্রোথ ফান্ডের ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার, পিপলস ইন্সুরেন্সের ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

সাভার কারখানা সাইটে বিনিয়োগ করবে বিএটিবিসি: সাভার কারখানা সাইটে ৩২২ কোটি ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি)। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, এই বিনিয়োগের ফলে কোম্পানির আসন্ন রপ্তানি সুযোগ এবং সম্ভব্য ক্যাপাসিটি তৈরী হবে। নিজস্ব অর্থায়ন এবং ব্যাংক অর্থায়নের মাধ্যমে সাভার সাইটে বিনিয়োগ করবে বিএটিবিসি।

আরএকে সিরামিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আরএকে সিরামিকস লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন’২১) অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসানে ছিল ৪৪ পয়সা। এদিকে, ২ প্রান্তিকে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে লোকসানে ছিল ৯ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নীট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ৫১ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল মাইনাস ৫৭ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ১৬ টাকা ৪৩ পয়সা, যা গত বছর একই সময় ছিল ১৫ টাকা ৬০ পয়সা।