দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ প্রতিষ্ঠানের বোর্ড সভা চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো: এআইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, এলআর গ্লোবাল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, এনসিসি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ভিএএম এলবিডি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, মাইডাস ফাইন্যান্স, ভিএএম এলআরবিবিএফ মিউচুয়াল ফান্ড এবং ফেডারেল ইন্সুরেন্স লিমিটেড ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এআইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: ১ আগস্ট ২০২১ দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ট্রাষ্টি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: ১ আগস্ট ২০২১ দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে ট্রাষ্টি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এলআর গ্লোবাল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: ১ আগস্ট ২০২১ বেলা ১টা ১৫ মিনিটে ট্রাষ্টি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এনসিসি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: ১ আগস্ট ২০২১ বেলা ১টা ২০ মিনিটে ট্রাষ্টি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

ভিএএম এলবিডি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: ১ আগস্ট ২০২১ বেলা ১টা ২৫ মিনিটে ট্রাষ্টি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

মাইডাস ফাইন্যান্স: ২ আগস্ট ২০২১ বেলা ২টায় বোর্ড কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদক পর্যালোচনা করে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে। ওইদিনই বেলা ২:৩০টায় প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হবে।

ভিএএম এলআরবিবিএফ মিউচুয়াল ফান্ড: আগামী ৩ আগস্ট ২০২১ বেলা ১:৩০টায় ট্রাস্টি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

ফেডারেল ইন্সুরেন্স: ৪ আগস্ট ২০২১ বেলা ১টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত বোর্ড কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

অ্যাক্টিভ ফাইনের ৩ বছরের আর্থিক হিসাব খতিয়ে দেখবে ডিএসই: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রাসায়ন খাতের কোম্পানি অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালের আর্থিক হিসাব বিবরণী বিশেষ নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ বিশেষ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। শিগগিরই এ বিষয়ে আদেশ জারি হবে বলে বিএসইসি সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া বিএসইসির পাশাপাশি অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যাল ৩ বছরের আর্থিক হিসাব খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষও।

এজন্য কোম্পানিকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। কোম্পানির এসব তথ্য হাতে পেয়ে, তা যাচাই-বাছাই করে অসঙ্গতি খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর ও ২০১৯ সালের ২১ মে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের মোট পরিশোধিত মূলধনের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যাল।

এদিকে অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালের মূলধন ও রিজার্ভ কোম্পানিতে যথাযথভাবে বিনিয়োগকৃত অবস্থায় রয়েছে কি-না সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। আর সেজন্যই কোম্পানির আর্থিক হিসাব বিবরণী বিশেষ নিরীক্ষা করা হবে। তবে নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এখনও পর্যন্ত কোনো বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দেয়নি বিএসইসি। শিগগিরই এ বিষয়ে আদেশ জারি করার কাজ চলছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিএসইসির নিয়মিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানা গেছে।

কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধনের মধ্যে মাত্র ১২.০৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে পরিচালকদের হাতে। ফলে এখনও ১৭.৯৬ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে কোম্পানিকে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কোম্পানিকে একাধিকবার শুনানিতে তলব করা হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জুন মাসে অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালের পরিচালনা পর্ষদসহ কোম্পানির সচিব ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তাকে (সিএফও) তলব করে বিএসইসি।

পাশাপাশি কোম্পানির ব্যবসায়িক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা চাওয়া হয়েছে। তবে বিএসইসির দেওয়ার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোম্পানি সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুর্নগঠনের কথা ভাবছে বিএসইসি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালের বিরুদ্ধে বিশেষ নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত কমিশন সভায় নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে খসড়া চিঠি ইস্যু করার বিষয়ে কাজ চলছে।

একই বিষয়ে ডিএসইর একজন কর্মকর্তা  বলেন, ‘অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালের ৩ বছরের আর্থিক হিসাব বিরণী সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্যাদি চাওয়া হয়েছে। কোম্পানিটি এজন্য দুই মাস সময় চেয়েছে। তবে কোম্পানিকে আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।’ ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস। ২৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ‘বি’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৯৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৮০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ১২.০৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯.১০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩.১১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৫.৭৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

হঠাৎ জুন ক্লোজিং কোম্পানির শেয়ারে আগ্রহ: পুঁজিবাজারে বেশ কিছুদিন ধরে জুন ক্লোজিং কোম্পানির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। ফলে ডিভিডেন্ড ঘোষনাকে সামনে রেখে জুন ক্লোজিং কোম্পানির বিভিন্ন খাতের শেয়ারের প্রতি একটু বাড়তি আগ্রহ দেখা গেছে। এছাড়া আর্থিক বছর সম্পন্ন হওয়ায় ডিভিডেন্ড ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে শেয়ারহোল্ডারা।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, দর পতনে একেবারে তলানিতে নেমে এসেছিল জুন ক্লোজিং কোম্পানির বিভিন্ন খাতের শেয়ার। ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর অন্তর্নিহিত শক্তি সঞ্চিত হচ্ছিল শেয়ারের। অন্যদিকে সরকার পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহন করছেন। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা কম দামের শেয়ারে বিনিয়োগ শুরু করছেন। এছাড়া সামনে ডিভিডেন্ড মৌসুম। তাই বিনিয়োগকারীরা ভাল ডিভিডেন্ডের আসায় নতুন করে ঝুঁকছেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে জুন ক্লোজিং কোম্পানি ঘিরে লেনদেনে মগ্ন রয়েছেন তারা। এরই জেরে বাড়ছে এসব কোম্পানির কদর শেয়ার দর।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, জুন ক্লোজিং কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে তাদের তৃতীয় প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ শেষ করেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানি আগের চেয়ে বেশি মুনাফায় রয়েছে। বছর শেষে এটা বহাল থাকবে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। এই কারণে ডিভিডেন্ড ঘরে তোলার জন্য এসব কোম্পানিতে ঝুঁকছেন তারা। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তুলনামূলক ভালো ইপিএস দেখানো কোম্পানিগুলোয় ঝুঁকেছেন তারা।
বিনিয়োগকারীদের এই প্রত্যাশা পূরণের বিষয়টি পুরোটাই নির্ভর করে কোম্পানির সর্বশেষ হিসাব-নিকাশের ওপর।

শেষ প্রান্তিকে এসে যদি হিসাবে গরমিল হয় তবে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন নাও হতে পারে মুনাফায়। আর যদি ধারাবাহিকতা বজায় থাকে, তাহলে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণ হবে। কিন্তু যদি তিন প্রান্তিকে ভালো মুনাফা দেখানোর পর শেষ প্রান্তিকে মুনাফা কমে যায়, কিংবা লোকসান হয়, তাহলে সেই কোম্পানি ভালো ডিভিডেন্ড দেয়ার সক্ষমতা হারাবে।

গত দুই সপ্তাহে প্রকৌশল, বস্ত্র, ফার্মা ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, সিমেন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ডসহ জুন ক্লোজিংয়ের শেয়ার ও ইউনিটের দর যেমন ইতিবাচক প্রবণতায় রয়েছে, লেনদেনেও ছিল ঊর্ধ্বগতি। কোম্পানিগুলোর ডিভিডেন্ড ঘোষণার সময় যতো ঘনিয়ে আসছে, শেয়ারগুলোর কদরও ততোটা বাড়ছে।

বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে বাজারসংশ্লিষ্টরা বলেন, যেসব কোম্পানির জুন ক্লোজিং সেসব কোম্পানির দর বাড়া স্বাভাবিক। কারণ সামনেই এসব কোম্পানি থেকে ডিভিডেন্ড ঘোষণা আসবে। তাছাড়া বর্তমানে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর খুব কম, অর্থাৎ ক্রয়যোগ্য। এসব কোম্পানির শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতও অনেক কম। সম্পদ মূল্যও ভালো। ফলে কোম্পানিরগুলোর শেয়ারদর বাড়াটা স্বাভাবিক। তবে বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই ভালো কোম্পানির সঙ্গে থাকতে হবে, কারণ বাজারে অবিনিয়োগযোগ্য বা ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানির সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।

এদিকে জুন ক্লোজিংয়ের কারণে গত সপ্তাহজুড়ে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা ও লেনদেনে কিছুটা ভাটা দেখা গেছে। ডিসেম্বর ক্লোজিং হওয়ার কারণে এসব কোম্পানির শেয়ার দরেও কিছুটা নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামনে জুন ক্লোজিং শেয়ারের আরও কদর বাড়বে। অন্যদিকে, ডিসেম্বর ক্লোজিং শেয়ারের কদর কিছুটা কমবে। যদিও সেটা হবে সাময়িক।

এ প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, সামনে ডিভিডেন্ড মৌসুম। বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী ডিভিডেন্ডের মাধ্যমে মুনাফা করতে চান। বিনিয়োগকারীদের এই প্রবণতা সঠিক। তবে এই ক্ষেত্রে কোম্পানি বাছাই করতে হবে ভেবেচিন্তে। কারণ সব কোম্পানি থেকে ভালো ডিভিডেন্ড আসবে না। তাই বিনিয়োগের আগে দেখা দরকার ওই কোম্পানির আগের ডিভিডেন্ড দেয়ার হার কেমন। সেই সঙ্গে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার দিকে নজর দিতে হবে।

 

৮ কোম্পানির ইপিএস আসছে চলতি সপ্তাহে: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ প্রতিষ্ঠানের বোর্ড সভা চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো: এআইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, এলআর গ্লোবাল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, এনসিসি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ভিএএম এলবিডি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, মাইডাস ফাইন্যান্স, ভিএএম এলআরবিবিএফ মিউচুয়াল ফান্ড এবং ফেডারেল ইন্সুরেন্স লিমিটেড ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এআইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: ১ আগস্ট ২০২১ দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ট্রাষ্টি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: ১ আগস্ট ২০২১ দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে ট্রাষ্টি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এলআর গ্লোবাল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: ১ আগস্ট ২০২১ বেলা ১টা ১৫ মিনিটে ট্রাষ্টি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এনসিসি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: ১ আগস্ট ২০২১ বেলা ১টা ২০ মিনিটে ট্রাষ্টি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

ভিএএম এলবিডি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: ১ আগস্ট ২০২১ বেলা ১টা ২৫ মিনিটে ট্রাষ্টি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

মাইডাস ফাইন্যান্স: ২ আগস্ট ২০২১ বেলা ২টায় বোর্ড কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদক পর্যালোচনা করে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে। ওইদিনই বেলা ২:৩০টায় প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হবে।

ভিএএম এলআরবিবিএফ মিউচুয়াল ফান্ড: আগামী ৩ আগস্ট ২০২১ বেলা ১:৩০টায় ট্রাস্টি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

ফেডারেল ইন্সুরেন্স: ৪ আগস্ট ২০২১ বেলা ১টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত বোর্ড কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

চলতি সপ্তাহে ৬ কোম্পানির এজিএম: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬ কোম্পানির এজিএম চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো: নর্দার্ন ইন্সুরেন্স, ইসলামী ইন্সুরেন্স, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, ফেডারেল ইন্সুরেন্স এবং এশিয়া ইন্সুরেন্স। লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এশিয়া ইন্সুরেন্স: কোম্পানিটির এজিএম আগামী ২ আগস্ট ২০২১ বেলা ১২টায় ডিজিটাল প্লাটফরমে অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ অর্থবছরের জন্য ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারিত ছিল গত ২২ জুন ২০২১। আর্থিক বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ২০ টাকা ৬২ পয়সা এবং নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৫ টাকা ৯৯ পয়সা।

ফেডারেল ইন্সুরেন্স: কোম্পানিটির এজিএম আগামী ৪ আগস্ট ২০২১ বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফরমে অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ অর্থবছরের জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারিত ছিল গত ৭ জুলাই ২০২১।

আর্থিক বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৩৩ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১২ টাকা ৪০ পয়সা এবং নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৩ টাকা ৯৫ পয়সা।

এনসিসি ব্যাংক: কোম্পানিটির এজিএম আগামী ৫ আগস্ট ২০২১ বেলা ১২টায় ডিজিটাল প্লাটফরমে অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ অর্থবছরের জন্য ৭.৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ৭.৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারিত ছিল গত ৩ জুন ২০২১।

আর্থিক বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৩৬ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ২২ টাকা ১৫ পয়সা এবং নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ২ টাকা ৩ পয়সা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক: কোম্পানিটির এজিএম আগামী ৫ আগস্ট ২০২১ বেলা ৩টায় ডিজিটাল প্লাটফরমে অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ অর্থবছরের জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারিত ছিল গত ৩০ জুন ২০২১। আর্থিক বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৪২ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ২৯ টাকা ৩৫ পয়সা এবং নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৯ টাকা ৩১ পয়সা মাইনাস।

ইসলামী ইন্সুরেন্স: কোম্পানিটির এজিএম আগামী ৭ আগস্ট ২০২১ বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফরমে অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারিত ছিল গত ৭ জুন ২০২১।

আর্থিক বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ১৮ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৫ টাকা ৮৯ পয়সা এবং নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৫ টাকা ৫১ পয়সা।

নর্দার্ন ইন্সুরেন্স: কোম্পানিটির এজিএম আগামী ৭ আগস্ট ২০২১ বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফরমে অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারিত ছিল গত ২৩ জুন ২০২১। আর্থিক বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭৪ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ২০ টাকা ২৪ পয়সা এবং নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৬ টাকা ৫৩ পয়সা।

চলতি সপ্তাহে ৪ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি লভ্যাংশ চলতি সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে। কোম্পানিগুলো হলো: মাইডাস ফাইন্যান্স, এনএলআই ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, গ্রিনডেলটা মিউচুয়াল ফান্ড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মাইডাস ফাইন্যান্স : ২ আগস্ট ২০২১ বেলা ২টায় মাইডাস ফাইন্যান্সের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদক পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য, তিন প্রান্তিক বা নয় মাস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩১ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ১২ পয়সা আলোচ্য সময়ে শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১১ টাকা ১৭ পয়সা এবং নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ০.১৫ পয়সা মাইনাস।

এনএলআই ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড : ৪ আগস্ট ২০২১ বেলা ২টায় ট্রাস্টি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য, তিন প্রান্তিক বা নয় মাস শেষে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৯৬ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৫২ পয়সা। আলোচ্য সময়ে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৪ টাকা ০৪ পয়সা এবং নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা।

ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড : ৫ আগস্ট ২০২১ বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে ট্রাষ্টি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত আর্থিক বছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য, তিন প্রান্তিক বা নয় মাস শেষে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৯৯ পয়সা আলোচ্য সময়ে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১১ টাকা ৩৫ পয়সা এবং নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ২৪ পয়সা।

গ্রিনডেলটা মিউচুয়াল ফান্ড : ৫ আগস্ট ২০২১ বেলা ২:৪৫টায় ট্রাষ্টি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত আর্থিক বছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য, তিন প্রান্তিক বা নয় মাস শেষে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ৯৭ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ০২ পয়সা আলোচ্য সময়ে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সা এবং নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ২৬ পয়সা।

চাঙ্গা পুঁজিবাজারে ৫ লাখেরও বেশি (বিও) হিসাব কমেছে: গত জুলাই মাসে পুঁজিবাজারে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব কমেছে ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮টি। নবায়ন না করায় বিও হিসাবগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সিডিবিএল সূত্রে জানা যায়, জুন মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ২৯ জুন পুঁজিবাজারে বিও হিসাব ছিল ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৪৩১টি।  আর জুলাই মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ জুলাই বিও হিসাব ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩টিতে দাঁড়ায়। অর্থাৎ জুলাই মাসে ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮টি বিও হিসাব বন্ধ হয়ে গেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনে নতুন নিয়ম চালু করায় বিনিয়োগকারীদের একাধিক বিও হিসাব আর প্রয়োজন নেই। সেই কারণে যাদের একাধিক বিও হিসাব রয়েছে, তারা তাদের সেসব বিও হিসাব আর নবায়ন করেনি। ফলে বিও হিসাবগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে বিও হিসাব বন্ধ হলেও বিনিয়োগকারী কমেনি।

জানা যায়, জুলাই মাসে পুরুষদের বিও হিসাব ৪ লাখ ৭ হাজার ৯০৭টি কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৬১ হাজার ৫৪২টিতে। জুন মাসের শেষ দিন পুরুষদের বিও হিসাব ছিল ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৯টিতে। আর জুলাই মাসে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ১ লাখ ৫৭ হাজার ৯০১টি কমে ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৩৭৪টিতে দাঁড়িয়েছে। জুন মাসের শেষ দিন নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ৬ লাখ ৫২ হাজার ২৭৫টিতে। জুন মাসের শেষ দিন কোম্পানি বিও হিসাব ছিল ১৪ হাজার ৭০৭টিতে। আর জুলাই মাসে কোম্পানি বিও ২৯০টি কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪১৭টিতে।

জুলাই মাসে দেশে অবস্থানকারী বিনিয়োগকারীদের ৫ লাখ ১৫ হাজার ৬৯৯টি বিও হিসাব কমেছে। এর মাধ্যমে জুলাই মাসের শেষ দিন দেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৫টিতে। যা জুন মাসের শেষ দিন ছিল ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৮৭৪টিতে। জুলাই মাসে বিদেশে অবস্থানকারী বিনিয়োগকারীদের ৫০ হাজার ১০৯টি বিও হিসাব কমে দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ৭৪১টিতে। জুন মাসে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৫০টিতে।

মহামারীতে ব্যাংক খাতের ১৩ ব্যাংকের মুনাফায় চমক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩১ ব্যাংকের মধ্যে ২৭টির দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ২২ ব্যাংকের। তবে মহামারীতে ব্যাংক খাতের ১৩ ব্যাংক মুনাফায় চমক দেখিয়েছে। এর মধ্যে ৩টি ব্যাংকের মুনাফা কিছুটা কমেছে।

কোম্পানিগুলো হলো: আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল), ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, সিটি ব্যাংক লিমিটেড,

এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবি), শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), মার্কেনটাইল ব্যাংকের লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, এবি ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এবং প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড।

গত বছরের তুলনায় আয় কমেছে ৪ কোম্পানির। এগুলো হলো- মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি), ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড। এছাড়া আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লোকসানেই রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত বছরের সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) এই কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিটেড ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৮ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ৪২ পয়সা ছিল। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির আয় বেড়েছে ৯৬ পয়সা বা ২২৮.৫৭ শতাংশ।

অন্যদিকে, অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিক (জানুয়ারি-জুন’২১) এই কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিটেড ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার আয়ের পরিমাণ ছিল ৯৭ পয়সা। আয় বেড়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা বা ১০৮.২৪ শতাংশ।

আইএফআইসি ব্যাংক: দ্বিতীয় প্রান্তিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৭ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ৯ পয়সা ছিল। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৯১ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ৫৯ পয়সা ছিল।

এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক : দ্বিতীয় প্রান্তিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৬৭ পয়সা। এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১১ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪৯ পয়সা ছিল।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৩১ পয়সা লোকসান ছিল। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২৩ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ৬ পয়সা ছিল।

ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) : দ্বিতীয় প্রান্তিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৭ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ৭৮ পয়সা ছিল। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫৬ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ১ টাকা ৬৫ পয়সা ছিল।

ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ এ ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনাসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৭০ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ২১ পয়সা। অন্যদিকে, প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ এ ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনাসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭৫ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল এক টাকা ৩৭ পয়সা।

ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ এ ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনাসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৯৬ পয়স, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ২১ পয়সা। অন্যদিকে, প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ এ ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনাসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৮৫ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৮৪ পয়সা।

সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ এ ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনাসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩৪ পয়সা, যা গত একই সময়ে ছিল ৬৩ পয়সা (রিস্টেটেড)। অন্যদিকে, প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ এ ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনাসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৬ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল এক টাকা ৫৯ পয়সা (রিস্টেটেড)।

ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৬৭ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৮ পয়সা। অন্যদিকে, প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৭ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯২ পয়সা।

প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড : চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ৩৯ পয়সা ছিল। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিক (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫৮ পয়সা।

যমুনা ব্যাংক লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪ পয়সা। আগের বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ৬৫ পয়সা ছিল। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৬৪ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ২ টাকা ৭ পয়সা ছিল।

পূবালী ব্যাংক : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) কোম্পানিটির এককভাবে শেয়ারপ্রতি আয় (সলো ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল এক টাকা ৪২ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় সমন্বিত (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল এক টাকা ৪৪ পয়সা

সিটি ব্যাংক লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিটেড ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১৩ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ২৯ পয়সা ছিল। অন্যদিকে অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিটেড ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা।

এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিটেড ইপিএস) হয়েছে ৮৮ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ৩৫ পয়সা ছিল। অন্যদিকে অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে(জানুয়ারি-জুন’২১) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিটেড ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবি) : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল’২১-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ইউসিবির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৬৩ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ৪০ পয়সা ছিল। অন্যদিকে, অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ৭২ পয়সা ছিল।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ) হয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা। গত বছরের একই সময় যার পরিমাণ ছিল ৪২ পয়সা ছিল। এদিকে, প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। গত বছরের একই সময় যার পরিমাণ ছিল এক টাকা।

উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল’২১-জুন’২১) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিটেড ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ২৫ পয়সা ছিল। অন্যদিকে অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২১) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিটেড ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা।

সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল’২১-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ২২ পয়সা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ১১ পয়সা। অন্যদিকে, দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৫৫ পয়সা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ৪৮ পয়সা ছিল

প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিটেড ইপিএস) হয়েছে ৪৭ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ৯ পয়সা ছিল। অন্যদিকে অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৫ পয়সা।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ২২ পয়সা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ১৬ পয়সা। এদিকে, প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৫৪ পয়সা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল (কনসোলিডেটেড ইপিএস) ৮২ পয়সা ছিল (রিস্টেটেড)।

এবি ব্যাংক লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল’২১-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ১৬ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৯ পয়সা। এদিকে, প্রথম দুই প্রান্তিক তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৩১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৭ পয়সা।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল’২১-জুন’২১)সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৫০ পয়সা।

অন্যদিকে, প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) এ ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা। গত বছরের একই সময় যার পরিমাণ ছিল এক টাকা ৯৪ পয়সা।

এদিকে, গত বছরের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় কমেছে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল’২১-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ২৬ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৭৯ পয়সা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিক (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস ১ টাকা ৩৪ পয়সা ছিল (রিস্টেটেড)।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১৪ পয়সা। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ২ টাকা ২৩ পয়সা ছিল। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৫৭ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ইপিএস ৩ টাকা ৪২ পয়সা ছিল।

ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকের(এপ্রিল-জুন’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪১ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৯ পয়সা। অন্যদিকে, প্রথম দুই প্রান্তিকে(জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৪২ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা পয়সা ছিল (রিস্টেটেড)।

এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড : দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৮৪ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯৬ পয়সা ছিল।

এদিকে, দুই প্রান্তিকে(জানুয়ারি-জুন’২১) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৮৯ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা।

এদিকে, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি লোকসান ১৭ পয়সা হয়েছে। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২৩ পয়সা। এদিকে, প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩২ পয়সা।

পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে টপকে দ্বিতীয় ভিয়েতনাম: পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে টপকে দ্বিতীয়স্থান দখল করে নিয়েছে ভিয়েতনাম। বাংলাদেশের অবস্থান এখন তৃতীয়; বরাবরের মতো চীন সবার ওপরেই আছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকস রিভিউ ২০২১ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ডব্লিউটিও। তাতে দেখা যায়, ২০২০ সালে ভিয়েতনাম ২ হাজার ৯০০ কোটি (২৯ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি (২৮ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক। তার আগের বছর বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। তখন ভিয়েতনামের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার। তবে, অর্থবছরের হিসাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে (২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন) ৩১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।

কয়েক বছর ধরেই পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয়স্থান হারানোর শঙ্কা ছিল বাংলাদেশের সামনে। চীনের পোশাক খাতের অনেক বিনিয়োগ ভিয়েতনামে চলে যাওয়ায় এই শঙ্কা দিন দিন জোরাল হচ্ছিল। গত দু-তিন বছরে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিল ভিয়েতনাম। শেষ পর্যন্ত টপকেই গেল পূর্ব এশিয়ার দেশটি। অর্থাৎ পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনাম এখন দ্বিতীয়। তবে, এ নিয়ে মোটেই উদ্বিগ্ন নন বাংলাদেশের পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, ‘মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও গত অর্থবছরে আমাদের পোশাক রপ্তানি ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। কোন দেশ কী করল, সেটা বড় কথা নয়, আমাদের রপ্তানি বেড়েছে কিনা সেটাই আসল কথা। ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই চীনের বড় বড় পোশাক কারখানা ভিয়েতনামে বিনিয়োগ শুরু করে। বর্তমানে ভিয়েতনামে পোশাকশিল্পের ৬০ শতাংশ বিনিয়োগই চীনাদের। আমরা মূলত এই জায়গাতেই পিছিয়ে পড়েছি।’

বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের পোশাক রপ্তানি ব্যাপকভাবে কমে গেছে। সেই ব্যবসার বড় অংশ পেয়েছে ভিয়েতনাম। তারপর কিছু পেয়েছে ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া। আমরাও (বাংলাদেশ) কিছুটা পেয়েছি। ভিয়েতনাম বেশি ব্যবসা পাওয়ার মূলে রয়েছে সেই চীনা বিনিয়োগ। তারাই তাদের ক্রেতাদের চীন থেকে ভিয়েতনামে নিয়ে গেছে।’

পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ দিন দিন আরও ভালো করছে দাবি করে ফারুক হাসান বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমাদের পোশাক কারখানার মালিকরা কারখানার মান উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ করেছেন। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব সবুজ পোশাক কারখানা বাংলাদেশে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৪৩টি কারখানা পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সনদ পেয়েছে। যার মধ্যে ৪১টি প্লাটিনাম কারখানা। বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি কারখানার ৩৯টিই এখন বাংলাদেশের। আরও প্রায় ৫০০টি কারখানা সনদের অপেক্ষায় আছে।’

বিজিএমইএ সভাপতি জানান, করোনার কারণে গত বছর প্রায় এক মাস পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। সে সময় পণ্য রপ্তানি হয়নি। অনেক ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। বন্ধের পর কারখানা খুললেও ক্রয়াদেশ কম ছিল। সে কারণে ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে পেছনে ফেলেছে। তবে চলতি বছর চিত্র আবার পাল্টে যাবে। কারণ, বর্তমানে প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে। অনেক কারখানা ২০১৯ সালের চেয়ে ৫-১০ শতাংশ ক্রয়াদেশ বেশি পাচ্ছে।

‘তাই আমরা মোটেই বিচলিত নই। ২০২০ সালের হিসাবে ভিয়েতনাম আমাদের উপরে উঠে গেছে। ২০২১ সাল গেলে হয়তো দেখা যাবে, আবার আমরা দ্বিতীয় স্থান ফিরে পেয়েছি’- যোগ করেন তিনি।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা যায়, রপ্তানির পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারে রপ্তানির হিস্যাও কমেছে বাংলাদেশের। ২০১৯ সালে বিশ্বে যত পোশাক রপ্তানি হয়, তার মধ্যে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল বাংলাদেশি। গত বছর সেটি কমে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে ভিয়েতনামের বাজার হিস্যা গত বছর ৬ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য ২০১০ সালে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। তখন ভিয়েতনামের ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ। ১০ বছরের ব্যবধানে সেই ভিয়েতনামই টপকে গেল বাংলাদেশকে।

ডব্লিউটিওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে চীন সবচেয়ে বেশি ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। তার আগের বছরের চেয়ে দেশটির পোশাক রপ্তানি ৭ শতাংশ কমেছে। এখনও চীন বিশ্বের মোট পোশাক রপ্তানি ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ দখলে রেখেছে।

একক দেশ হিসেবে ভিয়েতনাম দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো সম্মিলিতভাবে এই জায়গা বহুদিন ধরেই দখল করে আছে। গত বছর ইইউর দেশগুলো নিজেদের অঞ্চলে ১২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর ইইউর বাইরে তাদের রপ্তানির পরিমাণ ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।

এদিকে বাংলাদেশ যেমন ভিয়েতনামের কাছে জায়গা হারিয়েছে, তেমনি ভারতকে টপকে চতুর্থ শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক হয়েছে তুরস্ক। গত বছর ভারত ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার রপ্তানি করলেও তুরস্ক করেছে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের। যদিও ২০১৯ সালে ভারতের রপ্তানি ছিল ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। আর তুরস্কের ছিল ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।

ডব্লিউটিওর হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশসহ শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক দেশ ৩৭ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। সামগ্রিকভাবে তাদের রপ্তানি কমেছে ১২ শতাংশ। ২০১৯ সালে শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক দেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের।

২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে ইইউভুক্ত দেশগুলো। দ্বিতীয় শীর্ষ যুক্তরাষ্ট্র আমদানি করেছে ৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পোশাক। তা ছাড়া জাপান ৩ হাজার ও যুক্তরাজ্য ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ডিজিটাল প্লাটফর্মে লভ্যাংশ অনুমোদন: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বার্ষিক হিসাব বিবরণী, নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং ২.৫ শতাংশ বোনাস ও ২.৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানসহ অন্যান্য সকল আলোচ্যসূচী অংশগ্রহণকারী সকল শেয়ারহোল্ডার কর্তৃক সর্বসম্মতিক্রমে সংখ্যাগরিষ্ট ভোটে অনুমোদিত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির এই বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, লায়নস্ ক্লাবস্ ইন্টারন্যাশনালের সদ্যবিদায়ী ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টর ও এফবিসিসিআই এর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালকবৃন্দের সরাসরি উপস্থিতির পরিবর্তে ডিজিটাল প্লাটফর্মের সাহায্যে ভার্চুয়াল মিটিং এর মাধ্যমে এই এজিএম আয়োজন করা হয়।

সভায় ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান অশোক কুমার সাহা,পরিচালক সর্বজনাব কামাল মোস্তফা চৌধুরী, ফিরোজুর রহমান, মনজুর আলম, এস. এ. এম. হোসাইন, মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, আলহাজ্ব মোহাম্মদ শামসুল আলম, গুলজার আহমেদ, জাহেদুল হক, মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী, ফেরদৌস আলী খান, কাজী খুররম আহমেদ, আবুল হোসেন এবং নজমুল হক চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল আলম খান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,

ব্যাংকের বহিঃনিরীক্ষক শফিক বসাক এন্ড কোং এর পার্টনার শফিকুল ইসলাম, এফসিএ, এজিএম এর ইনডিপেনডেন্ট স্ক্রুটিনাইজার ইকবাল হোসেন, এফসিএ সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ সহ ও রেগুলেটরী অথরিটির পর্যবেক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন। ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি সেক্রেটারি আলী রেজা এফসিএমএ, সিআইপিএ সভা পরিচালনা করেন। সভায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ ২০২০ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের ব্যবসায়িক সূচকগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করেন এবং উক্ত বছরে ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মকান্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

তিনি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারবৃন্দসহ সকলের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ও করোনাকালীন সময়ে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন এবং সকলের সুস্থ্যতা কামনা করেন। ভবিষ্যতে ব্যাংকের মুনাফা আরো বৃদ্ধি পূর্বক আকর্ষনীয় লভ্যাংশ প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করতে ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা ও কর্মীবৃন্দের প্রতি আহবান জানান। সভার প্রারম্ভে স্বাগত ভাষণ দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

২, ৩ ও ৫ আগস্ট ব্যাংকে লেনদেন ১০টা থেকে ২.৩০: চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামী ২, ৩ ও ৫ আগস্ট ব্যাংকে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। গত ২৮ জুলাই এ বিষয়ে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপার ভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলামের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কভিড-১৯) সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ১ ও ৪ আগস্ট সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। তবে ২, ৩ ও ৫ আগস্ট ব্যাংকে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। লেনদেন পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ব্যাংক খোলা রাখা যাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আজ রবিবার (১ আগস্ট) ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ রয়েছে।

পুঁজিবাজার সোমবার থেকে লেনদেন ১০টা-২টা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া বিধিনিষেধে চলতি সপ্তাহের রোববার বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজারের লেনদেন। সপ্তাহের লেনদেন শুরু হবে সোমবার। এদিন লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় গত বুধবার নতুন করে নির্দেশনা জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহের রোববার ও বুধবার ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং সপ্তাহের বাকি তিন দিন ব্যাংকের লেনদেন চলবে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত।

ব্যাংকে লেনদেনের নতুন সময়সূচির পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চলতি সপ্তাহের রোববার পুঁজিবাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানায়। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের কারণে চলতি সপ্তাহের বুধবারও বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজারের লেনদেন। ফলে ১ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে তিন দিন- সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার। পুঁজিবাজারের লেনদেনের এই নতুন সময়সূচি বুধবার বিএসইসির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।

সেদিন বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের আগের সিদ্ধান্ত আছে, ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজার খোলা থাকবে। আর ব্যাংকের কার্যক্রম শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পুঁজিবাজারের লেনদেন শেষ করতে হয়।’

তিনি জানান, এ হিসেবে রোববার ও বুধবার যেহেতু ব্যাংক বন্ধ থাকবে, তাই পুঁজিবাজারের লেনদেনও বন্ধ থাকবে। আর ব্যাংক যেহেতু আড়াইটা পর্যন্ত চলবে, তাই ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে দুইটা পর্যন্ত। এই সপ্তাহেও ব্রোকারেজ হাউসগুলো চলবে অর্ধেক লোক দিয়ে আর বিনিয়োগকারীদের ঘরে বসেই অনলাইনে লেনদেন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারে লেনদেন ব্যাংকের লেনদেনের ওপর নির্ভর করে। ব্যাংকে যতক্ষণ লেনদেন হয়, তার চেয়ে কিছু সময় কম হয় পুঁজিবাজারের লেনদেন।

বীমা খাতের ১৬ কোম্পানির মধ্যে মুনাফা বাড়ছে ১৪টি: পুঁজিবাজারে তালিভুক্ত ৩৮টি সাধারণ বিমার মধ্যে ১৬টি কোম্পানি অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন (জানুয়ারি-জুন’২১) প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ১৪টি কোম্পানির মুনাফা বাড়লেও কমেছে ২টি কোম্পানি। আর ৫টি কোম্পানির মুনাফায় চমক দেখিয়েছে। আয় বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো: প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, জনতা ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স এবং রূপালী ইন্স্যুরেন্স। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় বেড়েছে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৫৮ পয়সা আয় করেছে। ২০২০ সালের অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির আয় ছিল ২৬ পয়সা। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ৮৮৪.৫৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থান সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের। এই কোম্পানিটি গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৮১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ৫৬ পয়সা। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ২২৪ শতাংশ।

প্রবৃদ্ধিতে তৃতীয় অবস্থানে প্রাইম ইন্স্যুরেন্স। ছয় মাসে তারা শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৭৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৩১ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানির আয় বেড়েছে ৪৪ পয়সা বা ১৪১.৯ শতাংশ।

প্রবৃদ্ধিতে চতুর্থ অবস্থানে থাকলেও শেয়ার প্রতি আয় সবচেয়ে বেশি গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের। এই কোম্পানিটি ছয় মাসে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৩ টাকা ৮৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৬৩ পয়সা। আয় বেড়েছে ২ টাকা ২৪ পয়সা বা ১৩৭.৪ শতাংশ।

গত এক বছরে ১০ গুণেরও বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স ছয় মাসে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৯৪ পয়সা। আয় বেড়েছে ৮৮ পয়সা বা ৯৩.৬২ শতাংশ।

প্রবৃদ্ধিতে ষষ্ঠ অবস্থানে আর টাকার অঙ্কে শেয়ার প্রতি আয়ের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ছয় মাসে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ১১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২ টাকা ৫ পয়সা। আয় বেড়েছে ১ টাকা ৬ পয়সা বা ৫১.৭১ শতাংশ।

পিপলস ইন্স্যুরেন্স এই সময়ে আয় করেছে ১ টাকা ১৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৮১ পয়সা। আয় বেড়েছে ৩৩ পয়সা বা ৪০.৭৪ শতাংশ। জনতা ইন্স্যুরেন্স শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৯৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৭০ পয়সা। আয় বেড়েছে ২৮ পয়সা বা ৪০ শতাংশ।

স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ছয় মাসে জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৭ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানির আয় বেড়েছে ৩৩ পয়সা বা ৩৪.৫৭ শতাংশ। প্রবৃদ্ধিতে খুব বেশি এগিয়ে না থাকলেও শেয়ার প্রতি আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস ৩ টাকা ৩১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২ টাকা ৪৯ পয়সা। আয় বেড়েছে ৮২ পয়সা বা ৩২.৯৩ শতাংশ।

এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৯৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা। আয় বেড়েছে ৪৬ পয়সা বা ৩০.৪৬ শতাংশ। কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ১৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৯৯ পয়সা। আয় বেড়েছে ১৮ পয়সা বা ১৮.১৮ শতাংশ।

ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৮১ পয়সা আয় করেছে। গত বছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ১ পয়সা ৫৭ ছিল। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ১৫.২৮ শতাংশ। রূপালী ইন্স্যুরেন্স শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৯৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৫ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানির আয় বেড়েছে ১ পয়সা বা ১.০৫ শতাংশ।

মুনাফা কমেছে ২টি : বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ছয় মাসে জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৭৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৯৩ পয়সা। কোম্পানির আয় কমেছে ১৮ পয়সা বা ১৯.৩৫ শতাংশ।

ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ছয় মাসে জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ০৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানির আয় কমেছে ১৬ পয়সা বা ১২.৮ শতাংশ।