দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি নূরানি ডাইং অ্যান্ড স্যুয়েটার লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত বিএসইসির। কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারনা করে আসছে। তেমনি কোম্পানিটি বন্ধ হলেও বিনিয়োগকারীদের তা জানায়নি। মুলত বিনিয়োগকারীদেও এটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) হলেও বিনিয়োগকারীদের তা জানায়নি কোম্পানিটি।

এছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি নূরানি ডাইংয়ের কারখানা এবং প্রধান কার্যালয় সরেজমিনে পরিদর্শনে যায়। সেখানে গিয়ে তারা কোম্পানিটির কারখানা এবং কার্যালয় বন্ধ পায়। যে কারণে পরিদর্শন দলটিটি কোম্পানিটির ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।

এসব কারনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার বিএসইসির ৭৮৬ তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে যে, নূরানী ডাইংয়ের কারখানা ও কর্পোরেট অফিস পরিদর্শনদল কোম্পানিটির উৎপাদন ও অন্যান্য কার্যক্রম দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। কিন্তু কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ও স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিলকৃত অন্যান্য তথ্য অনুযায়ী কোম্পানির কার্যত্রম চলমান রয়েছে।

এমতাবস্থায়, বিগত বছরগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের সাথে বাস্তব কার্যক্রমের সামঞ্জস্য পর্যালোচনাপূর্বক সংশ্লিষ্ট বছরের আর্থিক প্রতিবেদনের নিরীক্ষকদের বিৰুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, আইপিওতে আসার সময় কোম্পানির অনেক প্রবৃদ্ধি দেখানো কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন এসকে নুরুল আলম। তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন। এরপর থেকেই কোম্পানির অবস্থায় শোচনীয় হয়ে পড়ে। ফলে তালিকাভুক্ত হওয়ার তিন বছরের মধ্যেই লাভে থাকা কোম্পানিটি লোকসানের কবলে পড়েছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯৫ পয়সা।

পুঁজিবাজারে আসছে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স : প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসছে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটির আইপিও’র আবেদনে অনুমোদন দিয়েছে। আজ বুধবার (১১ আগস্ট) বিএসইসির ৭৮৬তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটি ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিও’র মাধ্যমে অভিহিত মূল্য তথা ১০ টাকা দরে ১ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ইস্যু করবে। কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ, মেয়াদি আমানত (Fixed Deposit), পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, নিজস্ব অফিস স্পেস কেনা ও আইপিওর ব্যয় বাবদ ব্যবহার করবে।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস ৩ টাকা ৯৩ পয়সা। আর গত পাঁচ বছরের ভারিত গড় ইপিএস ২ টাকা ৬৫ পয়সা।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ২১ টাকা ৯ পয়সা (সম্পদ পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া)। ব্যাংকটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ডিএসই ৫ কোম্পানি বড় দরপতন ঠেকালো: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৫.৪৮ পয়েন্ট। আজ সবগুলো খাতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমলেও পতন ঠেকিয়েছে ৫ কোম্পানি। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বুধবার দিনের প্রথম থেকেই দেশের দুই পুঁজিবাজারে পতন দেখা যায়। লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৬৫৪১ পয়েন্টের নিচে নেমে যায়। এই সময়ে সূচক পড়ে যায় ৭৭ পয়েন্টের কাছাকাছি।

লেনদেনের এই পর্যায়ে কিছু মেগা কোম্পানি সূচক পুনরুদ্ধারে অংশ নেয়। এর মধ্যে গ্রামীণ ফোন, বেক্সিমকো লিমিটেড, রেনাটা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস অন্যতম।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্রামীণ ফোনের দর বেড়েছে ২.২২ শতাংশ, বেক্সিমকো লিমিটেডের ৪.৮০ শতাংশ, রেনাটার ২.৮৭ শতাংশ, ব্রিটিশ আমেরকিান টোবাকোর দ০.৬৫ শতাংশ এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালসের ১.৮৭ শতাংশ।

কোম্পানি ৫টির দর বাড়াতে ডিএসইর সূচক বৃদ্ধিতে অবদান রাখে ১৯ পয়েন্ট। এর মধ্যে গ্রামীণ ফোনের জন্য ৮.৯৬, বেক্সিমকোর ৩.৪২, রেনাটার জন্য ৩.২১, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর ০.৬৫ এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালসের জন্য ১.২৯ পয়েন্ট যোগ হয়।

কোম্পানিগুলো শেয়ার দর ঊর্ধ্বমূখী হওয়ায় বড় মূলধনী আরও কিছু কোম্পানির শেয়ার দরও ঊর্ধ্বমূখী হয়। ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক যেখানে ৭৭ পয়েন্ট উধাও হয়ে গিয়েছিল, সেখানে ৫.৪৮ পয়েন্ট যোগ হয়েছে।

ব্লক মার্কেটে ৫ কোম্পানির লেনদেনের চমক: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৪৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৩২ কোটি ৩৩ লাখ ১৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলোর ৬৬ লাখ ৬৩ হাজার ১১৬টি শেয়ার ৬৫৭ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৩২ কোটি ৩৩ লাখ ১৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩ কোম্পানির বড় লেনদেন হয়েছে।

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইস্ট ল্যান্ড ইন্সুরেন্সের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৯৫ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেক্সিমকো ফার্মার ৪ কোটি ৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের ৩ কোটি ১৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া চতুর্থ অবস্থানে ওয়ালটন ২ কোটি ৮৬ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকার ও পঞ্চম অবস্থানে এসএস স্টিলের ২ কোটি ৬২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার।

এছাড়া মবিল যমুনার ২ কোটি ৪৮ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ১৩ হাজার টাকার, মালেক স্পিনিংয়ের ৭৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, কেয়া কসমেটিকের ৬৮ লক্ষ হাজার টাকার, ফাইন ফুডসের ৬৭ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকার,

ইসলামিক ফাইন্যান্সের ৬২ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ৫৭ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ৪৭ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ৪৫ লক্ষ টাকার, আরএকে সিরামিকের ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার, সিলভা ফার্মার ৩৫ লক্ষ ৭১ হাজার টাকার, যমুনা ব্যাংকের ৩৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৩২ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকার,

ন্যাশনাল ফিড মিলের ৩২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার, নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্সের ২৫ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার, ইফাদ অটোর ২৫ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকার, শাহজিবাজার পাওয়ারের ২৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার, গোল্ডেন সনের ২০ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১৯ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার,

জিপিএইচ ইস্পাতের ১৮ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ১৬ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার, বার্জার পেইন্টসের ১৬ লক্ষ ২৯ হাজার টাকার, বে-লিজিংয়ের ১৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার, সিনোবাংলার ১৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার,

এসকে ট্রিমসের ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার, বীচ হেচারীর ১৪ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ১১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেনের ১০ লক্ষ ৮ হাজার টাকার, কপারটেকের ১০ লক্ষ ৬ হাজার টাকার, ফার্স্ট জনতা মিউচুয়াল ফান্ডের ৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৮ লক্ষ ২০ হাজার টাকার, ফু-ওয়াং সিরামিকের ৭ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকার,

লাফার্জ হোল সিমের ৭ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৭ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার, রেনাটার ৬ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ৬ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার, ফর্চুন সুজের ৬ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকার, আইটি কনসালট্যান্টস ৫ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকার, পেনিনসুলার ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ৫ লক্ষ ১২ হাজার টাকার, কে এন্ড কিউয়ের ৫ লক্ষ ৯ হাজার টাকার, আইএফআইসি ব্যাংকের ৫ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে।

ডিএসই ৫ কোম্পানির শেয়ার বিক্রেতা সংকটে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলছে। এদিন অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। তবে লেনদেন চলাকালীন ৫টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়ে বিক্রেতা সংকটে পড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। যেসব কোম্পানির শেয়ারে বিক্রেতা সংকট ছিল সেগুলো হচ্ছে— ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সাউথবাংলা ব্যাংক, শ্যামপুর সুগার, জিলবাংলা সুগার মিলস লিমিটেড এবং ন্যাশনাল হাউজিং।

ইসলামিক ফাইন্যান্স: ইসলামিক ফাইন্যান্সের শেয়ার দর আগের কার্যদিবসে ছিল ২৬ টাকা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে সর্বশেষ ২৮.৬০ টাকায় লেনদেন হয়।

সাউথবাংলা ব্যাংক: ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার আজ লেনদেনের প্রথম দিন ১১ টাকায় বেচাকেনা শুরু হয়েছে। ১০ শতাংশ দর বেড়ে কোম্পানিটির বিক্রেতা সংকটে পড়ে হল্টেড হয়েছে।

শ্যামপুর সুগার: আগের দিন কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ৬৬ টাকা। আজ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়ে সর্বশেষ ৭২.৬০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

জিলবাংলা সুগার: আগের দিন কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ১৪২.৭০ টাকা। আজ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়ে সর্বশেষ ১৫৬.৯০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। দর বাড়ার এক পর্যায়ে এসব কোম্পানির বিক্রেতা সংকটে পড়েছে।

ন্যাশনাল হাউজিং: আগের দিন কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ৫১.৭০ টাকা। আজ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়ে সর্বশেষ ৫৬.৮০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। দর বাড়ার এক পর্যায়ে এসব কোম্পানির বিক্রেতা সংকটে পড়েছে।

লংকাবাংলার পর্ষদ সভা ১৮ আগস্ট: শেয়ারবাজারে অর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদ সভা আগামী ১৮ আগস্ট (বুধবার) অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য মতে, ওই দিন লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের পর্ষদ সভা বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন, ২০২১) ও অর্ধবার্ষিক (জানুয়ারি-জুন, ২০২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন সাপেক্ষে প্রকাশ করা হবে।

ডিএসই শুরুতে বিক্রির চাপ, দিনশেষে ক্রয়ের চাপে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী : দিনভর সূচকের ওঠানামার মধ্যদিয়ে শেয়ারবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে দিনের শুরুতে বিক্রির চাপ থাকলেও দিনশেষে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবনতা বিরাজ ছিল। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস আর্থিক খাতের শেয়ারে সুবাতাস বইছে। সাড়ে চার ঘণ্টার লেনেদেনের মধ্যে শুরুর ও শেষ আধা ঘণ্টা ছাড়া বাকি সাড়ে ৩ ঘণ্টায় সূচকের পতন হয়েছে।

তবে দিনের লেনদেনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল শেষ আধা ঘণ্টা অর্থাৎ দুপুর ২টা থেকে ২টা ৩০ মিনিট সূচক পতন ঠেকেছে দেশের পুঁজিবাজারে। এসময় ডিএসইর প্রধান সূচক ৬ হাজার ৬০৪ পয়েন্ট থেকে ২৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬২৯ পয়েন্টে দাঁড়ায়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা ছয়দিন দাম বাড়ার পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতায় ছিল। ফলে মঙ্গল-বুধবার বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কিছুটা কমেছে। এটা মূল্যসংশোধন। এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ওষুধ, বিমা, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতসহ বেশির ভাগ খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। তবে বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো এবং লাফার্জহোলসিমসহ বেশি কিছু বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচক পতন থেকে রক্ষা পেয়েছে পুঁজিবাজার। এছাড়াও বস্ত্র ও আর্থিক খাতের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে।

আর তাতে দিনভর সূচক ওঠানামা শেষে এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়ে ৫ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৪ পয়েন্ট। ডিএসইতে সূচক পতন ঠেকলেও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন কমেছে।

ডিএসইর তথ্যমতে, বুধবার মোট ৩৭৬টি প্রতিষ্ঠানের ৭১ কোটি ৩৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৬টি শেয়ার হাত বদল হয়েছে। তা থেকে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২১২ কোটি ৮৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। যা আগের দিন ছিল ২ হাজার ৮৪০ কোটি ১১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ তার আগের দিনের চেয়ে লেনেদেন কমেছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১১টির, কমেছে ২৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমার দিনেও তিন সূচকের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬২৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক এক পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৪৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এরপর ক্রমান্বয়ে ছিল আইএফআইসি ব্যাংক, মালেক স্পিনিং, লাফার্জহোলসিম,ইসলামিক ফাইন্যান্স, অরিয়ন ফার্মা, এপোলো ইস্পাত, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মা এবং জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ২৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২০৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ৯৪টির, কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৮ কোটি ১৩ লাখ ২২ হাজার ৯১২ টাকা।

রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভা ২২ আগস্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ২২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ওইদিন কোম্পানিটির বোর্ড সভা বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির প্রথম প্রান্তিক, ৩০ জুন, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

একই সভায় কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর ,২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রকাশ করা হবে।

কভিডের ধাক্কা সামলে মুনাফায় চমক বার্জার পেইন্টস’র: গত হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) কভিডের কারণে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি থাকায় দুই মাস ব্যবসা করতে পারেনি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক রং উৎপাদক বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড। তবে দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকেই কোম্পানিটির ব্যবসা গতি ফিরে পেতে শুরু করে।

সর্বশেষ চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকেও ভালো ব্যবসা হয়েছে কোম্পানিটির। কাঁচামালের দাম কমে যাওয়ার পাশাপাশি কর্মীদের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে উল্লেখযোগ্য ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানিটির কর্মকর্তারা। মুলত কভিডের ধাক্কা সামলে মুনাফায় চমক বার্জার পেইন্টস’র।

চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, আলোচ্য সময়ে বার্জার পেইন্টসের বিক্রি হয়েছে ৫২৫ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল মাত্র ২০৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ১৫২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির গ্রস মুনাফা হয়েছে ১৮৯ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে গ্রস মুনাফা ছিল ৭১ কোটি টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির গ্রস মুনাফা বেড়েছে ১৬৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে বার্জার পেইন্টসের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৭৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৫৯৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৬ টাকা ৯ পয়সা।

যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৩২ পয়সা। এ বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪৮ টাকা ৮৭ পয়সা।

ব্যবসা ও মুনাফা বাড়ার কারণ হিসেবে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কভিডের জন্য গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনে কোম্পানির ব্যবসায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। এ কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এছাড়া এ বছরের অর্থ বিলে করের পরিমাণ ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ২২ শতাংশ নির্ধারণে প্রভাবেও কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে। পাশাপাশি বিক্রি বেড়ে যাওয়া ও কম পরিচালন ব্যয়ের কারণে কোম্পানির নগদ অর্থপ্রবাহ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক ফলাফলের বিষয়ে জানতে চাইলে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী  বলেন, কভিডের কারণে গত বছরের এ সময়ে একেবারেই ব্যবসা করতে পারেনি। সে তুলনায় এ বছর ব্যবসা ভালো ছিল। এমনকি এর আগের ২০১৯-২০ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায়ও এবার আমাদের ব্যবসা ভালো হয়েছে।

এর কারণ হচ্ছে কাঁচামালের দাম কমে যাওয়ার কারণে আমাদের ব্যয় সাশ্রয় হয়েছে। এ সময়ে আমার ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছি। সর্বোপরি কর্মীদের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে আমরা পরিকল্পনাগুলো সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে কোম্পানির পারফরম্যান্সে।

৩১ মার্চ সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বার্জার পেইন্টস। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৫৮ টাকা ৩ পয়সা, যা এর আগের হিসাব বছরে ছিল ৫২ টাকা ২২ পয়সা।

ওয়ালটন ৫১৭ কোটি টাকার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালনা পর্ষদ ২০২০-২১ অর্থবছরের ব্যবসায় সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫০ শতাংশ ও উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের জন্য ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এতে করে কোম্পানিটি থেকে ৫১৭ কেটি টাকার বেশি নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি, ওয়ালটন থেকে সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫০ শতাংশ হারে শেয়ারপ্রতি ২৫ টাকা করে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের জন্য ১৭০ শতাংশ হারে শেয়ারপ্রতি ১৭ টাকা করে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এতে করে সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের ৭ কোটি ৩২ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে। আর উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা নেবেন ৫১০ কোটি টাকার নগদ লভ্যাংশ। এ হিসেবে ওয়ালটন থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরের ব্যবসায় মোট ৫১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩০ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ২ কোটি ৯২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩০ টাকা বা ০.৯৭ শতাংশ।

ডিএসই ৫ খাতের লেনদেনে ভাটা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সামান্য উত্থান থাকলেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। আগের দিনের চেয়ে আজ লেনদেনও কমেছে। এদিন লেনদেন কমেছে ৬২৮ কোটি টাকার বেশি। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আজা প্রধান পাঁচ খাতে লেনদেন আগেরদিনের তুলনায় কমেছে। এ কারণে ডিএসইর লেনদেনে ভাটার টান দেখা দিয়েছে। খাতগুলো হলো- বিদ্যুৎ ওজ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন, মিউচুয়াল ফান্ড, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং প্রকৌশল খাত।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি: এখাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগেরদিনের তুলানায় আজ লেনদেন কমেছে ১১ কোটি টাকা।

ওষুধ ও রসায়ন: ওষুধ ও রসায়ন খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ১০১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ১১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

মিউচুয়াল ফান্ড: মিউচুয়াল ফান্ডে আজ লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ২০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।

প্রকৌশল: প্রকৌশল খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ১২৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ১৩৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক: খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

ওয়ালটনের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত, কিনবে জমি: নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। পাশাপাশি কোম্পানিটি রাজধানীর বসুন্ধরায় জমিও কিনবে। ওয়ালটনের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর দেওয়া তথ্য মতে, ওয়ালটনের পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটির বর্তমান নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ‘ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’-এর পরিবর্তে নতুন নাম হিসেবে ‘ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিলসি’ রাখা হবে। ওয়ালটনের কোম্পানি অ্যাক্ট-১৯৯৪ সংশোধনী করে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করবে।

এছাড়াও কোম্পানিটি রাজধানীর বসুন্ধরা (ভাটরা) ব্লক নং-১, প্লট ১০৮৮ এতে ২৩৬.৩৬২৫ ডেসিম্যাল জমি কিনবে। জমি কিনতে কোম্পানিটির রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য খরচ ছাড়া ১৭১ কোটি ৯০ লাখ টাকা খরচ হবে। জমিটি ওয়ালটনের করপোরেট অফিসের আইকোনিক টাওয়ারের জন্য ব্যবহার করা হবে।

একই সভায় ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে মোট ৫১৭ কোটি টাকা নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের নগদ ২৫০ শতাংশ অর্থাৎ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার প্রতি ২৫ টাকা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। তবে উদ্যোক্তা পরিচালকরা নেবেন ১৭০ শতাংশ। অর্থাৎ ১৭ টাকা করে।

ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ার হোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের লক্ষ্যে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বর।

বিদায়ী বছরে ওয়ালটনের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৪ টাকা ২১ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২৪ টাকা ২১ পয়সা। গত ৩০ জুন ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৩১ টাকা ৫৯ পয়সা।