দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি’২১-জুন’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি’২১-জুন’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৩৯ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.৮৩ টাকা। এ হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ০.৫৬ টাকা বা ৬৭ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল’২১-জুন’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৭০ টাকা। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল ০.২৮ টাকা। এ হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ০.৪২ টাকা বা ১৫০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪১.৮৩ টাকায়।

ইউনিয়ন ক্যাপিটালের বোর্ড সভা ৩১ আগস্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ওইদিন কোম্পানিটির বোর্ড সভা বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন, ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

ডিএসই ২ কোম্পানির লেনদেনের চমক: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন কিছুটা মন্দা প্রবণতায় শেষ হয়েছে। মন্দা বাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। আজ লেনদেন কমে দাঁড়িয়েছে ২২২৭ হাজার কোটি টাকায়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

লেনদেনের মন্দা বাজারে আজ ২ কোম্পানির রেকর্ড লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর লেনদেন ছিল গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। কোম্পানিগুলো হলো- সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক এবং আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড।

সাউথ বাংলা ব্যাংক: আজ সাউথ বাংলা ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ ২৮৫টি শেয়ার। এটি কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির পর সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে গত ২২ আগস্ট শেয়ারটির লেনদেন হয়েছিল ১ কোটি ২৯ লাখ ৮ হাজার ২৭০টি শেয়ার।

আগেরদিন সাউথ বাংলার শেয়ার দর ছিল ২৫ টাকা ৬০ পয়সা। আজ লেনদেনশেষে ক্লোজিং দর হয়েছে ২৪ টাকা ৬০ পয়সায়। দর কমেছে ১ টাকা বা ৩.৯১ শতাংশ। ডিএসইতে আজ কোম্পানিটি লেনদেনের তালিকায় ছিল প্রথম স্থানে।

৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরের জন্য দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৮ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৬ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ি, কোম্পানিটির পিই রেশিও ৩৯.৬৮।

আইপিডিসি ফাইন্যান্স : আজ আইপিডিসি ফাইন্যান্সের লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৪৯টি শেয়ার। এটি কোম্পানিটির গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে গত ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর শেয়ারটির লেনদেন হয়েছিল ১ কোটি ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৫২৬টি শেয়ার।

আগেরদিন আইপিডিসি ফাইন্যান্সের দর ছিল ৪১ টাকা ২০ পয়সা। আজ লেনদেনশেষে ক্লোজিং দর হয়েছে ৪১ টাকায়। দর কমেছে ২০ পয়সা বা ০.৪৯ শতাংশ। ডিএসইতে আজ কোম্পানিটি লেনদেনের তালিকায় ছিল ৫ম স্থানে।

৩০ জুন, ২০২১ দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১১ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮৫ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ি, কোম্পানিটির পিই রেশিও ১৮.৪৭।

এমারেল্ড অয়েল সেপ্টেম্বরে উৎপাদনে ফিরছে না : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য খাতের কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল সেপ্টেম্বরের শুরুতে উৎপাদন শুরু করতে পারবে না। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন অফিস বন্ধ থাকায় কোম্পানিটির লাইসেন্স নবায়ন করতে পারে নি। যার কারণে উৎপাদনে যাচ্ছে না কোম্পানিটি। এছাড়াও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের সময় পরিবর্তন হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার লেনদেনেও দেরি হয়েছে।

এ সব সমস্যার সমাধানের জন্য এমারেল্ড ওয়েলের আরও সময় দরকার। তাই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি এখনও ১ সেপ্টেম্বর থেকে উৎপাদন শুরুর অবস্থায় ফেরেনি। সমস্যা সমাধানের পর কোম্পানিটি উৎপাদনের তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।

এমডিএস ডেটা প্রকাশে ডিএসইর সাথে এনটিভির চুক্তি: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) এমডিএস ডেটা নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ এবং শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের আরও দ্রুততম সময়ে সরবরাহকরণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে এনটিভি। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

ডিএসইর পক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রোডাক্ট এন্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আল আমিন রহমান এবং এনটিভির পক্ষে হেড অব এইচআর এন্ড এডমিন ইঞ্জিনিয়ার সুলতানা আরজুমান্দ বানু।

ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভুঁইয়া এবং এনটিভির হেড অব নিউজ মুহাম্মদ জহিরুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন। এই চুক্তির আওতায় ডিএসই এনটিভিকে এমডিএস ডেটা সরবরাহ করবে৷

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ডিএসইর সাথে এনটিভি দীর্ঘদিন যাবত জড়িত আছে৷ শেয়ারবাজারের স্বার্থে এনটিভি বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সবসময় সহযোগীতা করে আসছে৷

ডিএসইও সবধরণের গণমাধ্যমকে সহযোগীতার জন্য প্রস্তুত৷ ডিএসই বিশ্বাস করে নির্ভুল তথ্য ও ডেটা এনালিটিক্স এর মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারে৷ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রাইসের মুভমেন্ট মার্কেট প্রাইসের মাধ্যমে বুঝতে পারে।

তিনি আরো বলেন, আমরা কাস্টমারদের ডেটা দিচ্ছি, আর তা থেকে তারা পাবে ইনফরমেশন। ডাটা থেকে হয় এনালিটিক্স। এতে বিনিয়োগকারীরা অবশ্যই উপকৃত হবে। ভবিষ্যতে আমাদের আরও কিছু পরিকল্পনা আছে। আমাদের কাছ থেকে যারা ডেটা নিবে তাদেরকে আমরা কিছু এনালিটিক্স দিব। তখন কাস্টমাররা এই এনালাইটিক্স থেকে তারা ইনফর্ম ডিসিশন নিতে পারবে যে কখন কিভাবে কোথায় ইনভেস্ট করতে হবে। এ লেভেলে পৌঁছানোর জন্য আমাদের যা করণীয় আমরা তা করবো৷

এনটিভির হেড অব নিউজ মুহাম্মদ জহিরুল আলম বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শেয়ারবাজার যাতে গঠনমূলকভাবে এগিয়ে যেতে পারে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে, সেজন্য আমরা মিডিয়া হিসেবে সবসময় সাপোর্ট করি এবং পাশে থাকি। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে এনটিভির একটি অংশীদারীত্বমূলক চুক্তি রয়েছে, সেটা চলমান করার জন্য নবায়ন করা হলো।

এছাড়াও আমরা বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে এবং রিয়েল টাইম ডেটা আমরা আমাদের স্ক্রলে প্রচার করে থাকি। আমরা ডেটা প্রচার করি যাতে আমাদের কোটি কোটি দর্শক ডেটা এনালিস্ট করে একটা ইনফর্মড ডিসিশন নিতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা ডিএসই’র সাথে একযোগে কাজ করছি। এটা দর্শকদের এবং আমাদের দেশের মানুষের সুচিন্তিত বিনিয়োগের জন্য সহায়ক হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ; ডিএসইর হেড অব পিআর এন্ড পাবলিকেশন্স ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুর রহমান, প্রোডাক্ট এন্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার কামরুন নাহার, এক্সিকিউটিভ মুহাম্মদ সুহাইলুর রহমান, এনটিভির ম্যানেজার এইচআর এস. এম. সোহেলসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ৷

ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে আইসিবি’র: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০৫টির বা ২৭.৯৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। আজ ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বুধবার আইসিবির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১২৩.৩০ টাকায়। আজ লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১৩৫.৬০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১২.৩০ টাকা বা ৯.৯৭ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে আইসিবি ডিএসইর টপটের গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৯.২০ শতাংশ, আজিজ পাইপসের ৮.৯৪ শতাংশ, আলহাজ্ব টেক্সটাইলের ৮.৭৫ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ৮.৪৪ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের ৭.৬৯ শতাংশ, ন্যাশনাল টি’র ৭.৪৮ শতাংশ, মাইডাস ফাইন্যান্সের ৭.২১ শতাংশ, কেডিএস এক্সেসরিজের ৭.০১ শতাংশ এবং ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর ৬.৩৮ শতাংশ বেড়েছে।

ব্যাংক-আর্থিক খাত ও বীমা খাতের পতনে কমেছে লেনদেন ও সূচক: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে ব্যাংকের শেয়ারের পাশাপাশি লেনদেনের শেষ দেড় ঘণ্টায় কমেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম। ফলে সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে।

এছাড়া বস্ত্র, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শেয়ারের দামও কমেছে। আর তাতে বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১২৪ পয়েন্ট।

সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ফলে চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন দিন টানা (রোব থেকে মঙ্গলবার) উত্থানের পর বুধ ও বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে দরপতন হলো।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রফিট টেকিংয়ের কারণে বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরু থেকেই পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল অনেক বেশি। এ দিন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি কিছু বড় ব্যক্তি বিনিয়োগকারীর শেয়ার বিক্রিকে কেন্দ্র করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা শুরু হয়। এরপর শেষ বিকেলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার বিক্রি শুরু করেন। ফলে অস্থিরতার মাধ্যমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।

ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে মোট ৩৭৬টি প্রতিষ্ঠানের ৭১ কোটি ৯ লাখ ৩৯ হাজার শেয়ার হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে ১০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২২৭ কোটি ৬৪ লাখ ৩ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৭০ কোটি ৬৭ লাখ ৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা কমেছে।

বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় এ দিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৭ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৮৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৮৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৪৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এ দিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক লিমিটেড। দ্বিতীয় স্থানে ছিল লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড। এরপর সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউক্যালসের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে ছিল- বেক্সিমকো, আইপিডিসি, লাফার্জ-হোলসিম, সাইফ পাওয়ার, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স, ইসলামিক ফাইন্যান্স এবং পাওয়ার গ্রীড লিমিটেড।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৪ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ৯৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮০টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ২২২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৮৫ কোটি ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭৩ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০০ কোটি ২২ লাখ ১১ হাজার ৭৬৪ টাকা।

ব্লক মার্কেটে পাঁচ কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৪৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৬১ লাখ ৯৮ হাজার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্লক মার্কেটে আজ পাঁচ কোম্পানির বড় লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মেট্রো স্পিনিংয়ের ৪ কোটি ৯১ লাখ ৪০ হাজার টাকার, তৃতীয় সর্বোচ্চ ডেল্টা লাইফের ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার, চতুর্থ সর্বোচ্চ বার্জার পেইন্টসের ৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার, পঞ্চম সর্বোচ্চ এসএস স্টিলের ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া, কে এন্ড কিউয়ের ১ কোটি ৬১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার, মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্সের ১ কোটি ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, আইপিডিসির ৫৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকার, হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ৪৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ৪৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকার, রহিমা ফুডের ৩৯ লাখ ২৪ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৩৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকার, এসএসসি অক্সিজেনের ৩৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকার,

ই-জেনারেশনের ৩৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকার, আইসিবির ৩০ লাখ টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ২৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, আইএফআইসি ব্যাংকের ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, এসবিএসি ব্যাংকের ২২ লাখ ৯৭ হাজার টাকার, আলহাজ্ব টেক্সটাইলের ২০ লাখ ৫৪ হাজার টাকার,

শাহজিবাজার পাওয়ারের ২০ লাখ টাকার, গ্রামীণফোনের ১৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, সায়হাম টেক্সটাইলের ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার, ন্যাশনাল হাউজিংয়ের ১৭ লাখ ২৫ লাখ টাকার, আফতাব অটোর ১৫ লাখ ৬২ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ১৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকার, ঢাকা ডাইংয়ের ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, খুলনা পাওয়ারের ১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার,

কেডিএস এক্সেসরিজের ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকার, আমরা নেটের ১১ লাখ টাকার, বারাকা পাওয়ারের ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১০ লাখ ৭৮ হাজার টাকার, সিটি জেনারেল ইন্সুরেন্সেল ১০ লাখ ২৪ হাজার টাকার, ডরিন পাওয়ারের ১০ লাখ ১১ হাজার টাকার,

জেনারেশন নেক্সটের ৮ লাখ ১০ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৮ লাখ ৪ হাজার টাকার, সুহৃদের ৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ৬ লাখ ৬২ হাজার টাকার, আমান ফিডের ৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার, এসিআই ফর্মুলার ৬ লাখ টাকার, ফারইস্ট নিটিংয়ের ৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার,

জিকিউ বলপেনের ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকার, ইন্দোবাংলা ফার্মার ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বিকনফার্মার ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার, যমুনা ব্যাংকের ৫ লাখ ২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।