দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বরিশালের গণমানুষের সেবক হিসেবে দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে একজন প্রাণের মানুষ হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। একজন সাদিক আবদুল্লাহ এমনে এমনে গড়ে উঠেনি। তার রক্তে বইছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের রক্ত। সেরনিয়াবাত পরিবার মানে বঙ্গবন্ধু পরিবার। একথা সর্বজনবিদিত যে, বঙ্গবন্ধু পরিবার মানে আম-জনতার সেবক । সাদিক আবদুল্লাহ বংশ পরম্পরায় বরিশালের উন্নয়নের মাধ্যমে তথা সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রয়েছেন সর্বশক্তি দিয়ে।

নিষ্ঠুর বাস্তবতা হলো একটি কুচক্রিমহল তার ব্যক্তিক্রম কর্মকাণ্ডকে সহজে মেনে নিতে পারছে না। ঘাপটি মেরে থাকা ঐ মহলটি সাদিক আবদুল্লাহকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে একের পর এক। নগরপিতা সাদিক আবদুল্লাহ দল ও সরকারে থাকা মোস্তাক চক্রের ষড়যন্ত্রকারীদের অত্যন্ত সফলতার সাথে ইতোমধ্যে মোকাবেলা করলেও বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ঐ চক্রটির জালেই তিনি আটকা পড়ে যাচ্ছেন।

সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় তিনি এ চক্রের কৌশলী ও বেআইনী প্রচারণায় তথ্য সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। বাস্তবিক সাদিক আবদুল্লাহ নগরপিতা হিসেবে বরিশালে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি করাতে তাকে নিয়ে এক শ্রেণীর আমলা ও দলের মোস্তাকরা পরিস্থিতি ঘোলাট করে তাকে দেশবাসীর সামনে বিতর্কীত করতে নানা পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণ সরেজমিন অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব ঘটনা। বরিশাল থেকে ফিরে লিখেছেন আমাদের নিজম্ব প্রতিনিধি তৌফিক ইসলাম।

সাদিক আবদুল্লাহ তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা দিয়েছেন আমি মেয়র নির্বাচিত হলে আমার দরজা সকলের জন্য সবসময় খোলা থাকবে। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তিনি নগরপিতা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন অফিস ও বাসা সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এখানে দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে তার সাথে দেখা করে তাদের সমস্যা সমাধান করেন। কিন্তু সাদিক আবদুল্লার এ জনপ্রিয়তা কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১১ বছর শুরু থেকে রাজনীতির ময়দান থেকে বিতাড়িত করতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়।

শওকত হোসেন হিরনের মৃত্যুর পর দলীয় পদ না পেয়েও মহানগর আওয়ামীলীগের হাল ধরেন তিনি। এরপর থেকে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করে ঐ মোস্তাকরা। কোন ষড়যন্ত্রই এ ধোপে টিকেনি। তিনি হয়েছেন বরিশালের নগরপিতা ও মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার ৩ বছর পার হলেও সরকারী কোন অনুদান পাননি। বরিশালে জনশ্রুতি রয়েছে বরিশালে আওয়ামীলীগের ৩ জন প্রথম সারির নেতা তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত লিপ্ত, যাতে বরিশালের কোন উন্নয়ন কাজ না হয়। এরপরেও সাদিক আবদুল্লাহ নিজস্ব অর্থায়নে বরিশালের বেশ কিছু সড়কে ৫ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে কাজ করছেন। মূলত বরিশালকে সারাদেশের সৌন্দয্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলছেন তিনি।

সূত্র জানায়, সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর বরিশালের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩৬ কোটি অনুদান পাশ করেন কিন্তু সে টাকা আজও বরিশালে আসেনি। বরিশালবাসীর প্রশ্ন ষড়যন্ত্রকারীরা কী বরিশালের উন্নয়ন চায় না। প্রধানমন্ত্রীর টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রকারী কারা। এ প্রশ্ন এখন নগরবাসীর মুখে মুখে।

বরিশালের সিএনবি রোড ঘটনার সূত্রপাত পরিচ্ছন্নকারী কর্মী ও ছাত্রলীগ যুবলীগের সাথে যে ঘটনা ঘটে সরেজমিন তদন্ত করে জানা যায়, ১৮ আগস্ট রাতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকার নানান ধরনের ব্যানার-বিলবোর্ড অপসারণের অংশ হিসেবে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করে। এ কাজ করতে গিয়ে তারা বাধাগ্রস্ত হয়। তারা জানত না নেপথ্য ঘটনা।

কিন্তু নিশ্চয়ই ইউএনও মুনিবুর রহমান জানেন। তিনি বেরিয়ে এলেন। একপর্যায়ে তিনি কর্তব্যরত আনসারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। আদিষ্ট হয়ে আনসার সদস্যরা মারমুখী হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের রক্ষায় সরকারি দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী এগিয়ে আসেন। এ অবস্থায় কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা আরও মারমুখী হয়ে ওঠে।

ইউএনওর নির্দেশে গুলি চালানো হয়। ফলে পরিস্থিতি অধিকতর ঘোলাটে হয়ে যায়। অঘটনের খবর পেয়ে বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছেন। তিনি নিজের পরিচয় দেন, সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান। এর পরও আনসার বাহিনীর গুলি চলেছে। এক সূত্র বলছে, সেদিন আসলে গোলাগুলি ঘটানোর জন্য ফাঁদ পাতা হয়েছিল। কিন্তু মেয়র সাদিক কিনারে গেলেও সে ফাঁদে পা দেননি।

সরেজমিন অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ঐ দিনের ঘটনায় সাদিক আবদুল্লার কোন দোষ নেই। মুলত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে সামনে যে ঘটনা ঘটে তা অনাকাঙ্খিত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে আড়াই ঘন্টার ঘটনায় ৩ দফা গুলিবর্ষণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে আনসার ও পুলিশ। এমনকি সাদিক আবদুল্লাহকেও লক্ষ্য করে সেখানে গুলি বর্ষণ করা হয়।

এ ঘটনায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এর মধ্যে ৩ আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীর অবস্থা গুরুত্বর। ৩ জনের চোখ আজীবনের জন্য অন্ধ হয়ে গেছে। এরা হলেন মনির হোসেন ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি, ৩০ নং ওয়ার্ডের রায়হান ও ১৬ নং ওয়ার্ডের নাদিম। এ ঘটনায় উল্টো সাদিক আবদুল্লাকে আসামি করে ২টি মামলা দায়ের করে। সাদিক আবদুল্লা’র বিরুদ্ধে মামলা বরিশালবাসী মেনে নিতে পারছেন না। বরিশালসহ সারাদেশের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ সকল শ্রেণী পেশার বিশিস্টজনরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

পাশাাপাশি প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন-এর বিতর্কীত ভূমিকায় ক্ষোভ জানিয়েছেন আওয়ামীলীগসহ সাধারন মানুষ। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। মুলত প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বরিশাল শহরে ১০ প্লাটুন বিজিবি চেয়ে পত্র দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়। বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৬ শতাধিক ব্যক্তিকে। আসামির তালিকায় মৃত ব্যক্তিও আছেন! যদিও বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর পুলিশ আসামির বাপের নাম উল্লেখ করে মুখরক্ষার চেষ্টা করছেন।

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আক্রমণাত্মক ও ভুলে ভরা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের আইনের মাধ্যমেই মোকাবেলা করা হবে।’ বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। এ সংগঠনের সভাপতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার। এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য কর্নেল জাহিদ ফারুক শামীম (অব.)।

পর্যবেক্ষণে অনেকের কাছেই পরিষ্কার, এ বিষয় বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় আলম রায়হানের লেখা প্রকাশ পায়। তিনি লিখেছেন বরিশাল সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে ১৮ আগস্টের নাটকীয় ঘটনা খুবই পরিকল্পিভাবে ঘটানো হয়েছে। আর ঘটনাস্থলে আনসার বাহিনীর উসকানিমূলক গুলিবর্ষণের মুখে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ যে ধৈর্য ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন তা রাজনীতিতে এক দৃষ্টান্ত হয়েই থাকবে।  তা না হলে সেদিন কেবল আনসারের একতরফা গুলি নয়; গোলাগুলির ঘটনা ঘটতে পারত। সৌভাগ্যক্রমে তা হয়নি। এর পরও প্রশ্ন হচ্ছে সব ষড়যন্ত্র আগস্টেই ঘটে কেন?

সাধারণভাবেই জানা কথা, প্রতিটি ঘটনার পেছনেই পরিকল্পনা থাকে, থাকে বিনিয়োগও। বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে বাসন্তীর জাল পরা ছবি পত্রিকায় ছাপা এবং শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কোরবানির পশুর চামড়া কবরের মতো করে মাটি চাপা দেওয়া- এ ধরনের সব ঘটনার পেছনে উদ্দেশ্য ও বিনিয়োগ থাকে। বোধগম্য কারণেই এ ধারার বাইরে নয় ১৮ আগস্ট রাতে বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনওর বাসভবনের ঘটনাবলি।

এদিকে বরিশালের টক অব দ্য টাইম কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে ওই রাতের ঘটনার পেছনে। টাকার পরিমাণ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য আছে। কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগের কথাটি অনেকেই বিশ্বাস করছেন এবং এটি বরিশালে টক অব দ্য টাউন হয়ে গেছে।

বরিশাল আ’লীগ নেতাকর্মীদের আস্থার ঠিকানা সাদিক আবদুল্লাহকে নিয়ে এবার নতুন যড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আর এ যড়যন্ত্র মূলত সাদিক আবদুল্লাহর জনপ্রিয়তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বরিশালের নগরপিতা ও মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল আ’লীগ নেতাকর্মীদের আস্থার ঠিকানা। তেমনি সাদিক আবদুল্লাহ শুধু একজন নেতা নয়, তিনি সত্যিকার অর্থে একজন চেইঞ্জ মেকার।

একটি দেশের সার্বিক ও সুষম উন্নয়ন তখনই ঘটে যখন দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলের উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়। স্থানীয় সরকারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে সে কাজ সঠিকভাবে করতে সক্ষম হয়েছে বলে বরিশালবাসী মনে করে। কারণ তিনি নগরপিতা হওয়ার পর বরিশালের চেহারা যেমনি পরিবর্তন ঘটছে, তেমনি সিটি কর্পোরেশনের চেহারা পাল্টে গেছে।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে সাদিক আবদুল্লাহ ‘‘আমরাই গড়বো আগামীর বরিশাল” স্লোগানে বরিশালবাসীর হৃদয়ে স্বপ্নের জাল বুনে যেন নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন তা ধীরে ধীরে বরিশাল বাসীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে। সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, সিটি কর্পোরশেন হলো বরিশাল বাসীর ঠিকানা আর আমি হলাম ঐ প্রতিষ্ঠানের সেবক। সুতারাং সেবা দেয়া আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

সাদিক আবদুল্লাহ অন্য সকল সিটির মেয়র প্রার্থীদের থেকে আলাদা। কারণ তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের যেমন সুখে দু:খে পাশে থাকেন। তেমনি সিটির জনগণের সব সময় পাশে থাকেন। তার বক্তব্য সিটিবাসীর জন্য আমার দরজা ২৪ ঘন্টা খোলা। নগরবাসীর যে কোন বিপদ আপদে আমি পাশে আছি। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর এখন সকাল-সন্ধ্যা কাটে সাধারণ মানুষকে নিয়ে।

সাদিক মনে করেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার দাদা, বাবা সবাই বরিশালের মাটিতে রাজনীতি করেছে। আমিও তাদের বাইরে নই। আমি কোন কূট রাজনীতি বুঝি না। ওই রাজনীতি করতেও চাই না। দেশ ও বরিশালের উন্নয়নের জন্য কোন কাজই আমি ভয় পাই না। আমি জনগণের মাঝেই থাকতে চাই। জনগণের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়েই রাজনীতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। মানুষের ভালোবাসাকে জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন মেনে নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই বড় সিটির মানুষের কল্যাণে, দলের কল্যাণে।

সাদিক আবদুল্লাহ’র বাবা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ দক্ষিণাঞ্চলের আওয়ামী রাজনীতির কর্ণধার। শুধু আওয়ামী লীগের কর্ণধার বললে কিছুটা ভুল হবে। তিনি দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক। সকল দলের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা ভরে দেখেন তাকে। তার বাবা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ছিলেন গরীব মেহনতি মানুষের নেতা। তবে এ শহীদ নেতা ‘নেতার’ মতো আচরণ করেন নি কখনো।

খেটে খাওয়া মানুষের প্রাণের বন্ধু ছিলেন আব্দুর রব সেরনিয়াবাত। তারই সুযোগ্য পুত্র আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। যার হাত ধরে-ই বিশৃঙ্খল বরিশালে ফিরেছে শৃঙ্খলা, বিরাজ করছে শান্তি। দক্ষিণাঞ্চলের এ রাজনৈতিক অভিভাবকের উত্তরসূরী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। খুব স্বল্প সময়ে সকল বয়সী মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন এ তরুণ নেতা।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে, ‘সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ মাঝেই দেখা যায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের প্রতিচ্ছবি, আর যার শরীরে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতার রক্ত তার চেয়ে কে ভালবাসতে পারবে আ’লীগকে। যার প্রমাণ স্বরূপ তিনি আ’লীগের মহানগরের সাধারন সম্পাদক। তরুণ এ নেতার প্রশংসার পঞ্চমুখ বরিশাল জেলা ও মহানগর আ’লীগের সিনিয়র নেতারাও। কারণ তার অক্লান্ত পরিশ্রমে বরিশাল নগরী পরিণত হয়েছে আনন্দের নগরী।