দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ভারতের রাজধানী শহর দিল্লিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত বাড়তে শুরু করেছে। এই বছর শহরটিতে ১৫৮ রোগী পাওয়া গেছে। গত বছর এই সময় পর্যন্ত রোগীর পরিমাণ ছিলো ১৩১ জন। এর মধ্যে এবছর সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই পাওয়া গেছে ৩৪ ডেঙ্গু রোগী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবহাওয়া দফতর সামনের কয়েক মাসে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়ায় মশার বংশবৃদ্ধির সুযোগও বাড়বে। তবে নগর কর্মকর্তাদের দাবি আক্রান্তের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে ২/৩ গুণ বাড়লেই কেবল পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক বলে মনে করা হয়।

দক্ষিণ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ মশা নিরোধক ওষুধ রয়েছে। সেগুলো নিম্নাঞ্চল, নদীর তীর এবং অন্যান্য এলাকায় ছিটানো হবে। যেসব স্থানে মশা থাকতে পারে সেসব বাড়ি এবং আশেপাশের এলাকাতেও আমরা ফগার ম্যাশিন ব্যবহার করছি।’ ওই কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি নির্মাণাধীন এলাকা এবং সরকারি কার্যালয়ের যেসব স্থানে মশা বংশবৃদ্ধি করতে পারে সেসব স্থানে ব্যাপক আকারে মশা নিধন কার্যক্রম চালানো হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা জানান, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে মোট ১ হাজার ১৩০ কর্মকর্তা, এক হাজার তিনশ’ মাঠ কর্মী কাজ করছেন। এর পাশাপাশি ৫৫০টি ফগিং মেশিন, আটটি ভারি গাড়ি, চারটি পাওয়ার ট্যাঙ্কার, এক হাজার ৭০টি হ্যান্ড পাম্প এবং ৪৬টি মোটর পাম্প ওষুধ ছিটানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

এদিকে, পূর্ব দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন মাসব্যাপী মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করেছে। এছাড়া সেখানে চারটি জ্বর চিকিৎসার হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে আর আমরা নতুন গাইডলাইন জারি করেছি।’