চার ইস্যুতে উত্তাল পুঁজিবাজার, সপ্তাহজুড়ে স্বস্তির ঘাটতি
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে নানা গুজবে বাজার উঠানামার মধ্যে ছিল। এর মধ্যে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন, এরপর পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল নিয়ে বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে টানাপোড়েনের প্রভাব এখনও যে বিনিয়োগকারীদের মনে রয়ে গেছে সেটাও স্পষ্ট।
এছাড়া জুনে অর্থবছর শেষ করা কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ সচরাচর ডিসেম্বরে অর্থবছর শেষ করা কোম্পানিগুলোর তুলনায় কম থাকে। তার ওপর গত কয়েক মাসে লোকসানি বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ব্যাপক হারে। যদিও তারা লভ্যাংশ দিতে পারবে কি না, এ নিয়ে আছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে গত সপ্তাহে টানা তিন দিন পতনের পর টানা দুই দিন সূচক সামান্য বাড়ল।
এদিকে বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৯.৯১ শতাংশ। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসতে বাজার মূলধনেও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১১ হাজার ১২২ কোটি ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১৩ হাজার ৮৮৮ কোটি ১৮ লাখ ২৪ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি ৭৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকার বা ১৯.৯১ শতাংশ লেনদেন কমেছে।
ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০.৪৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৪২ শতাংশ কমে ৭ হাজার ২২৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আলোচিত সপ্তাহে বাজারমূলধনে শীর্ষ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৬৭৪ পয়েন্টে উঠেছে।
অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক কমেছে ১৫.২১ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৬ শতাংশ। ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৮২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৪টির, কমেছে ২৮২টির। আর ১২টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধনও কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ৮৪৩ কোটি ৬১ লাখ ৯ হাজার টাকার বা ২ দশমিক ০২ শতাংশ।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩১৮ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭৫ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার টাকায়