আরএসআরএম উৎপাদনে ফেরার আগেই শেয়ার দর দ্বিগুণ
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড (আরএসআরএম) উৎপাদন শুরু আগেই ৪ মাসের ব্যবধানে শেয়ার দর দ্বিগুণ বেড়েছে । ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটির গত মে মাসের ৯ তারিখে দর ছিল ১৮ টাকা ৬০ পয়সা। যা এখন লেনদেন হয়েছে ৩৪ টাকার ঘরে। অর্থাৎ ৪ মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১৫ টাকা ৪০ পয়সা বা প্রায় ৮৩ শতাংশ।
এদিকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘ আট মাস বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে ফিরছে স্টিল উৎপাদকারী প্রতিষ্ঠান আরএসআরএম স্টিল মিলস। আগামী সপ্তাহে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যেতে পারে কোম্পানিটি। এর পরই শুরু হবে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন।
আরএসআরএম কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চলতি বছরের শুরুতে আরএসআরএমের কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রতিষ্ঠানটির ১৩২/১১ কেভি বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী করোনা আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন সময়ে ভুল ইঞ্জিনিয়ারিং অপারেশনের কারণে সাব-স্টেশনটির জাতীয় গ্রিডের জিআইএস ব্রেকার ও সুইচ গিয়ার নষ্ট হয়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে দেশীয় প্রকৌশলীদের দিয়ে সাব-স্টেশন মেরামতের চেষ্টা করা হলেও চীন থেকে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী আনা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। চীনা বিশেষজ্ঞ দলের প্রস্তাব অনুযায়ী যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানির জন্য এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছিল আরো আগে। কিন্তু দুষ্প্রাপ্য মডেলের যন্ত্রপাতি হওয়ায় বিদেশ থেকে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কয়েক দফায় সময় নেয়ায় উৎপাদন কার্যক্রম পেছাতে থাকে।
যন্ত্রপাতি ত্রুটির বিষয় ছাড়াও সাব-স্টেশন মেরামত পিছিয়ে যাওয়ার আরো কিছু কারণ উল্লেখ করেছে আরএসআরএম কর্তৃপক্ষ। করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চীনা প্রকৌশলীরা সে সময়ে বাংলাদেশে আসতে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন। এর মধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশে কয়েক দফা কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়। আবার অন্যান্য কাজ যখন এগিয়ে আনা হয় তখন দীর্ঘ সময়ে উৎপাদন বন্ধ থাকায় যন্ত্রপাতি ওভারহোলিংয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
এখন সব ধরনের প্রস্তুতি শেষে এখন পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তুতিতে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির আরএসআরএম ২০২০ সালে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৮৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। লোকসানি কোম্পানি হিসাবে এর মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) নেগেটিভ।