দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের বড় দরপতন হয়েছে। আজ ডিএসইর ২০ খাতের মধ্যে বেশিরভাগ খাতে পতন প্রবণতা ছিল। তবে ৮ খাতের শেয়ারে বেশি পতন হয়েছে। খাতগুলোতে পতন ছিল ৭৫ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত। আমারস্টক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খাতগুলো হলো- আর্থিক, বিমা, প্রকৌশল, বস্ত্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন, বিবিধ, ব্যাংক এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত।

আর্থিক খাত: আর্থিক খাতে লেনদেন হওয়া ২৩টি কোম্পানির মধ্যে আজ দর কমেছে ২০টির বা ৯০.৯১ শতাংশ কোম্পানির। দর বেড়েছে ১ টির বা ৪.৫৫ শতাংশ কোম্পানির। দর অপরিবর্তিত ছিল ১টির বা ৪.৫৫ শতাংশ কোম্পানির। দর বেশি কমেছে মাইডাস ফাইন্যান্সের ৬.৪৫ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ৫.৭৯ শতাংশ, ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ৫.৫৫ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্সের ৫.০২ শতাংশ, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের ৪.৯০ শতাংশ।

বিমা খাত: বিমা খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৪৬টির বা ৯০.১৯ শতাংশ কোম্পানির, দর বেড়েছে ৪টির বা ৭.৮৪ শতাংশ কোম্পানির। দর অপরিবর্তিত ছিল ১টির বা ১.৯৬ শতাংশ কোম্পানির। দর বেশি কমেছে ইস্টার্ন ইন্সুরেন্সের ৯.৯৭ শতাংশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সুরেন্সের ৯.৯৬ শতাংশ, এশিয়া ইন্সুরেন্সের ৬.০১ শতাংশ, জনতা ইন্সুরেন্সের ৪.৫২ শতাংশ, সানলাইফ ইন্সুরেন্সের ৬.৫১ শতাংশ, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্সের ৫.৭৭ শতাংশ।

প্রকৌশল খাত: প্রকৌশল খাতে ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৩৭টির বা ৮৮.১০ শতাংশ কোম্পানির। দর বেড়েছে ৫ টির বা ১১.৯০ শতাংশ কোম্পানির। দর বেশি কমেছে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ৯.৬৪ শতাংশ, দেশবন্ধু পলিমারের ৫.১০ শতাংশ, ডমিনেজ স্টিলের ৪.৪৯ শতাংশ, বিডি থাইয়ের ৪.২৭ শতাংশ, রংপুর ফাউন্ড্রির ৪.০৩ শতাংশ, ।

বস্ত্র খাত: বস্ত্র খাতে ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৫১টি বা ৮৬.৪৪ শতাংশ কোম্পানির, দর বেড়েছে ৬টির বা ১০.১৭ শতাংশ কোম্পানির, দর অপরিবর্তিত ছিল ২টির বা ৩.৩৯ শতাংশ কোম্পানির। দর বেশি কমেছে ড্রাগন সোয়েটারের ৭.০২ শতাংশ, অলেটেক্সের ৬.৭৪ শতাংশ, কাট্টালী টেক্সটাইলের ৫.৭৬ শতাংশ, প্যাসিফিক ডেনিমসের ৫.৬৭ শতাংশ।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত: এ খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৯টির বা ৮২.৬১ শতাংশ কোম্পানির। দর বেড়েছে ৩টির বা ১৩.০৩ শতাংশ কোম্পানির। দর অপরিবর্তীত ছিল ১ টির বা ৪.৩৫ শতাংশ কোম্পানির। দর বেশি কমেছে জিবিবি পাওয়ারের ৭.৬৭ শতাংশ, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের ৪.৫২ শতাংশ, শাহজিবাজার পাওয়ারের ৪.৩১ শতাংশ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৩.৭৫ শতাংশ, বিডি ওয়েল্ডিংয়ের ৩.৭৩ শতাংশ, পাওয়ার গ্রিডের ২.৯২ শতাংশ, মবিল যমুনার ২.৯১ শতাংশ।

ওষুধ ও রসায়ন খাত: ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হওয়া ৩০টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ২১টির বা ৭০ শতাংশ কোম্পানির। দর বেড়েছে ৯ টির বা ৩০ শতাংশ কোম্পানির। দর বেশি কমেছে লিবরা ইনফিউশনের ৫.২৫ শতাংশ, এমবি ফার্মার ৪.৮০ শতাংশ, ইন্দোবাংলা ফার্মার ৩.৮৬ শতাংশ, এসিআই ফর্মুলার ৩.৭৩ শতাংশ।

বিবিধ খাত: বিবিধ খাতে লেনদেন হওয়া ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৯টির বা ৬৯.২৩ শতাংশ কোম্পানির। দর বেড়েছে ৪ টির বা ৩০.৭৭ শতাংশ কোম্পানির। দর বেশি কমেছে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৫.৭৫ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ৪ শতাংশ, ইনক্সেএগ্রোর ২.৪৫ শতাংশ, আমান ফিডের ১.৭৪ শতাংশ।

ব্যাংক খাত: ব্যাংক খাতে লেনদেন হওয়া ৩২টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ২৪টির বা ৭৫ শতাংশ কোম্পানির। দর বেড়েছে ১ টির বা ৩.১৩ শতাংশ কোম্পানির। দর অপরিবর্তিত ছিল ৭টির বা ২১.৮৮ শতাংশ কোম্পানির। দর বেশি কমেছে আইসিবি ইসলামি ব্যাংকের ৯.০৯ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ৩.২৭ শতাংশ, সিটি ব্যাংকের ১.৪০ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংকের ১.২৭ শতাংশ, যমুনা ব্যাংকের ২.৪৩ শতাংশ।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত: খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে লেনদেন হওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৫টির বা ৭৫ শতাংশ কোম্পানির। দর বেড়েছে ৩ টির বা ১৫ শতাংশ কোম্পানির। দর অপরিবর্তিত ছিল ২টির বা ১০ শতাংশ কোম্পানির। দর বেশি কমেছে বীচ হ্যাচারির ৫.৭১ শতাংশ, এমারল্ড অয়েলের ৫.০২ শতাংশ, মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের ৪.৭৩ শতাংশ, মেঘনা পেটের ৪.০৭ শতাংশ, শ্যামপুর সুগারের ৩.৩৪ শতাংশ, আরডি ফুডের ৩.১৭ শতাংশ।