দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, রপ্তানিমুখী শিল্পে ওয়ালটন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশের প্রতিটি ঘরেই ওয়ালটনের কোনো না কোনো পণ্য আছে। এটা শুধু ওয়ালটনের নয়, বরং বাংলাদেশেরই সাফল্য। তিনি বলেন, সরকার দেশীয় শিল্পের বিকাশে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে আসছে। সরকারি কেনাকাটায় দেশীয় শিল্প যাতে অগ্রাধিকার পায়, সেজন্য পিপিআর রুলস আপডেট করা হবে।

সোমবার (১১ অক্টোবর) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী। দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পের অভাবনীয় অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে তিনি ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেছেন। সকালে কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছালে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ এবং পরিচালক সাবিহা জারিন অরনা।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল কালাম, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডিএমডি হুমায়ূন কবীর ও আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিএমডি লিয়াকত আলী ভুঁইয়া, ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক কর্নেল (অব.) শাহাদাত আলম, উদয় হাকিম, সিরাজুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, ইউসুফ আলী, ইয়াসির আল ইমরান, নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম, শাহজাদা সেলিম, শাহজালাল হোসেন লিমন, মহসিন আলী মোল্লা, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।

পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ওয়ালটন কারখানা অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন। পরিবেশ সম্মতভাবে তাদের স্থাপনাগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। তাদের ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট চালু আছে, যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।

ওয়ালটনের তৈরি ল্যাপটপ হাতে নিয়ে দেখছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। সঙ্গে আছেন ওয়ালটন হাই-টেকের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ ওয়ালটন হাই-টেকের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের মতো ইলেকট্রনিক্স শিল্প সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি প্রমাণ করে সেই লক্ষ্য অর্জনে আমরা ঠিক পথেই আছি। সরকারের সে উদ্যোগের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওয়ালটন এসডিজির ৮ ও ৯ নম্বর লক্ষ্য বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।

এর আগে কারখানা প্রাঙ্গণে পৌঁছে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের ওপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তিনি ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পরে তিনি ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর, মেটাল কাস্টিং, কম্প্রেসর, এয়ার কন্ডিশনার, এলইডি টেলিভিশন, কম্পিউটার-ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এবং লিফট উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।