দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনাভাইরাসের প্রকোপে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) চলতি মূলধন সুবিধার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা তহবিল গঠন করা হয়। এই তহবিলের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ। তবে গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে ৪ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দিচ্ছে।

এই ঋণ দিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এনবিএফআই) লক্ষ্য বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এই তহবিল থেকে গত অর্থবছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ হয়। এর মধ্যে যেসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যের শতভাগ সিএমএসএমই ঋণ বিতরণ করেছে, তেমন ১৭টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে আছে ১৩টি ব্যাংক ও ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ২০ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব প্রতিষ্ঠানের এমডিদের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হবে।

এর মধ্যে সনদ পাবে এমন সরকারি ব্যাংকগুলো হচ্ছে অগ্রণী, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি ব্যাংকগুলো হচ্ছে ইউসিবিএল, প্রিমিয়ার, উত্তরা, প্রাইম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, মধুমতি, ব্যাংক এশিয়া, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, ইস্টার্ণ ও ব্র্যাক। চার আর্থিক প্রতিষ্ঠান হলো আইপিডিসি, আইডিএলসি, লংকাবাংলা ও ইউনাইটেড ফাইন্যান্স।

ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৮টি হলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত। যেগুলো হলো ইউসিবিএল, প্রিমিয়ার, উত্তরা, প্রাইম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, ব্যাংক এশিয়া, ইস্টার্ণ ও ব্র্যাক ব্যাংক। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আইপিডিসি, আইডিএলসি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ও ইউনাইটেড ফাইন্যান্স। ৪টি প্রতিষ্ঠানই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, যাদের ঋণের লক্ষ্য ১০ কোটি টাকার বেশি ছিল, তাদের মধ্য থেকে এই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাছাই করা হয়েছে। তবে এই ঋণ দিতে ব্যাংকগুলো তেমন আগ্রহী ছিল না। এরপরও যারা লক্ষ্য পূরণ করেছে, তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে, যাতে অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও ছোটদের ঋণ দিতে আগ্রহী হয়।