দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানির পরিচালকরা গত এক মাসে শেয়ার কিনে নিজেদের মালিকানা বৃদ্ধি করেছে। কোম্পানিগুলোর পরিচালকরা গত এক মাসে নিজেদের মালিকানা বৃদ্ধি করতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ০.১০ শতাংশেরও বেশি শেয়ার কিনেছে। এই ৪ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ইস্টার্ণ ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স এবং তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল লিমিটেড। আমারস্টক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড: গত একমাসে ব্যাংকটির পরিচালকগণ বাজার থেকে ২ শতাংশ শেয়ার কিনেছে। এতে করে গত এক মাসে ব্যাংকটিতে পরিচালকদের মালিকানা বেড়েছে ২ শতাংশ। আগস্ট মাসে ব্যাংকটিতে পরিচালকদের মালিকানা ছিলো ২৮.১৮ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাংকটির পরিচালকদের মালিকানা ২ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে ৩০.১৮ শতাংশে।

সর্বশেষ ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৭ টাকা ৬০ পয়সায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী ব্যাংকটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৩৪ পয়েন্টে। সর্বশেষ ২০২০ সালে ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৭.৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ১৭.৫ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

সর্বশেষ দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ২ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ১ টাকা ৬৫ পয়সা। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৯৭ পয়সায়।

মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: গত একমাসে কোম্পানিটির পরিচালকগণ বাজার থেকে ৪ শতাংশ শেয়ার কিনেছে। এতে করে গত এক মাসে কোম্পানিটিতে পরিচালকদের মালিকানা বেড়েছে ৪ শতাংশ। আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে পরিচালকদের মালিকানা ছিলো ৩১.৮২ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির পরিচালকদের মালিকানা ৪ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে ৩৫.৮২ শতাংশে।

সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৯ টাকা ৮০ পয়সায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ৩১.৫২ পয়েন্টে। সর্বশেষ ২০২০ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

সর্বশেষ দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ৭৯ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ৪০ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৮৫ পয়সায়।

ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: গত একমাসে কোম্পানিটির পরিচালকগণ বাজার থেকে ২ শতাংশ শেয়ার কিনেছে। এতে করে গত এক মাসে কোম্পানিটিতে পরিচালকদের মালিকানা বেড়েছে ২ শতাংশ। আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে পরিচালকদের মালিকানা ছিলো ৩৪.০২ শতাংশ।সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির পরিচালকদের মালিকানা ২ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে ৩৬.০২ শতাংশে।

সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৬ টাকা ৪০ পয়সায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ২০.২৯ পয়েন্টে। সর্বশেষ ২০২০ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

সর্বশেষ দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন’২১) ছয় মাসে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ১ টাকা ৩৯ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ৮৩ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৮৩ পয়সায়।

তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইল: গত একমাসে কোম্পানিটির পরিচালকগণ বাজার থেকে ৪.৯৯ শতাংশ শেয়ার কিনেছে। এতে করে গত এক মাসে কোম্পানিটিতে পরিচালকদের মালিকানা বেড়েছে ৪.৯৯ শতাংশ। আগস্ট মাসে কোম্পানিটিতে পরিচালকদের মালিকানা ছিলো ৫৬.২২ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটির পরিচালকদের মালিকানা ৪.৯৯ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে ৬১.২৩ শতাংশে।

সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪৮ টাকা ৩০ পয়সায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ১১৩.৪৯ পয়েন্টে। সর্বশেষ ২০২০ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

সর্বশেষ তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) নয় মাসে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ৯৮ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ৮১ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮১ টাকা ৫১ পয়সায়।