দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বুক বিল্ডিং পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসবে ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। আর এই টাকার বড় অংশ ব্যয় করা হবে কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণে।

বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর শর্ত অনুসারে আজ রোববার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে রোড শো’র আয়োজন করে কোম্পানিটি। এতে যোগ্য বিনিয়োগকারী (Eligible Investor) ও সংশ্লিষ্টদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদের সামনে কোম্পানির আর্থিকচিত্র, ভবিষ্যত পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা। রোড শোতে কোম্পানির চেয়ারম্যান তাহমিনা বেগম, পরিচালক মাকসুদ আহমেদ, পরিচালক সাদিয়া আহমেদ, কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালকগণ, কোম্পানী সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইস্যু ম্যানেজার-এর প্রতিনিধি, রেজিষ্টার অফ ইস্যু এর প্রতিনিধি, আন্ডাররাইটারসহ মার্চেন্ট ব্যাংক, ফান্ড ম্যানেজার, বন্ড ম্যানেজার, ইনসুরেন্স কোম্পানী, ডিএসই-সিএসই ট্রেক হোল্ডার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এনবিএফআই ও পাবলিক ইস্যু আইন-২০১৫ আনুসারের অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ।

আইপিওর রেড হেয়ারিং প্রসপেক্টাস থেকে জানা যায়, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড ১৯৭০ সালে নিবন্ধিত হয়। তবে কোম্পানিটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে এর প্রায় ২৮ বছর পর, ১৯৯৮ সালে। বর্তমানে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৮৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটি ৩২ কোটি ৫ লাখ টাকা নিট মুনাফা করেছে। এ সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৬৫ পয়সা। গত ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৫ টাকা ৪৮ পয়সা। তবে পুনমূল্যায়ন পরবর্তী এনএভিপিএস ছিল ৫৬ টাকা ৬১ পয়সা।

রোড শো’তে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদ জানান, তার কোম্পানি দীর্ঘ ঐতিহ্য ও সাফল্যের ট্রেক রেকর্ড রয়েছে। শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে থাকা এ কোম্পানি আইপিও’র তহবিল বিনিয়োগের মাধ্যমে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। তারা কাঙ্খিত উৎপাদন ক্ষমতা এবং মার্কেট শেয়ার অর্জন করতে পারবেন। এতে ২০২৫ সালে কোম্পানির আমাদের নিট মুনাফা বেড়ে ৭৩ কোটি ৯২ লাখ টাকায় উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, নতুন প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোর পর আমরা বাংলাদেশের মার্কেটের চাহিদা পূরণ করে অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতেও তখন রপ্তানি করতে পারবো। এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিঃ এ বিনিয়োগ করার এখনই সেরা সময় এবং আমরা আমাদের শেয়ার হোল্ডারদের সঠিক রির্টান দিতে সক্ষম হব এবং পুঁজিবাজারে আমাদের পরবর্তী মাইলফলক শুরু করতে পারব।”