দেশ প্রতিক্ষণ, বরিশাল: ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে পায়রা নদীর ওপর এক হাজার ৪৭০ মিটার দীর্ঘ পায়রা সেতু (লেবুখালী ব্রিজ) ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের পর খুলে দেওয়া হয়েছে। আর এর মাধ্যমে স্বপ্ন দেখছে পুরো দক্ষিণাঞ্চলবাসী- তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। সেই সঙ্গে অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার পর্যটন শিল্প আরও একধাপ এগিয়েছে বলে মনে করছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।

দেশের প্রধানতম পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারের চেয়ে নিকট দূরত্বে চলে এসেছে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র সাত ঘণ্টা। এ কারণেই খুশির বন্যায় ভাসছে সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটার ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারীসহ ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা।

স্বপ্নের এ সেতু খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত গোটা বরিশাল বিভাগের মানুষ। তাদের মতে এই সড়ক পথের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে যেমন দক্ষিণাঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে, তেমনি শিল্প-কলকারখানা গড়ে ওঠার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যেরও ব্যাপক প্রসার ঘটবে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, পায়রা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার পর্যটন সেক্টরে বিশেষ উন্নয়ন ঘটবে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের সমাগম বাড়বে। ফলে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকা ঘিরে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং কর্মসংস্থানের নতুন দুয়ার খুলবে।

কুয়াকাটার অভিজাত আবাসিক হোটেল কানসাই ইনের এমডি ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমীন বলেন, পায়রা সেতু খুলে দেওয়ায় আমরা খুবই খুশি। এখন কুয়াকাটায় দিনকে দিন পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আমরা ব্যবসায়ীরা লাভবান হব। সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব শরীফ বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা হোটেল ব্যবসায় সেবার মান বাড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। দেশের বড় বড় বিনিয়োগকারীরা কুয়াকাটায় পাঁচতারকা মানের হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। স্বপ্নের পায়রা সেতু কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রকে আরও একধাপ এগিয়ে নিল।