দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ১৩টি কোম্পানির। কোম্পানিগুলো হলো: এসোসিয়েটেড অক্সিজেন, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ডেসকো, ডরিন পাওয়ার, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, যমুনা অয়েল, খুলনা পাওয়ার, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পাওয়ার গ্রীড, শাহজিবাজার পাওয়ার এবং সামিট পাওয়ার।

একই সময়ে প্রাতিষ্ঠাকি বিনিয়োগ বেড়েছে ৫টির। এগুলো হলো- ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, লুব-রেফ (বাংলাদেশ), পদ্মা অয়েল, তিতাস গ্যাস এবং ইউনাইটেড পাওয়ার। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিনিয়োগ বেড়েছে ১৩ কোম্পানির: পাওয়ার গ্রীড : কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে পাওয়ার গ্রীডের। সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৮.০৬ শতাংশ, যা অক্টোবরে ৩.৪৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪.৯০ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৬.৫৮ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ৩.৪৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.০৪ শতাংশে।

এসোসিয়েটেড অক্সিজেন : কোম্পানিটিতে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৪.৪১ শতাংশ, যা অক্টোবরে ০.১৩ শতাংশ কমে ২৪.২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৪৪.৮৮ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫.০১ শতাংশে।

সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল : সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৯.৬৩ শতাংশ, যা অক্টোবরে ২.৪৩ শতাংশ কমে ১৭.২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ ০.৩৬ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.০১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.৩৫ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৩৪.৭০ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ২.৪৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭.১৪ শতাংশে।

ডেসকো : কোম্পানিটিতে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৩.৭৬ শতাংশ, যা অক্টোবরে ০.০১ শতাংশ কমে ২৩.৭৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৮.৫২ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৫৩ শতাংশে।

ডরিন পাওয়ার : কোম্পানিটিতে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৯.৫৪ শতাংশ, যা অক্টোবরে ১.২৮ শতাংশ কমে ১৮.২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ১৩.৮৫ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ১.২৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.১৩ শতাংশে।

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার : কোম্পানিটিতে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৭.৪০ শতাংশ, যা অক্টোবরে ০.৩২ শতাংশ কমে ১৭.০৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ২৮.৪৭ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.৩২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮.৭৯ শতাংশে।

জিবিবি পাওয়ার : কোম্পানিটিতে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৯.০৮ শতাংশ, যা অক্টোবরে ১.৩২ শতাংশ কমে ১৭.৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৪৮.৯১ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ১.৩২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০.২৩ শতাংশে।

ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং : কোম্পানিটিতে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৯.৮১ শতাংশ, যা অক্টোবরে ০.৯৪ শতাংশ কমে ১৮.৮৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৪৯.৫৩ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.৯৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০.৪৭ শতাংশে।

যমুনা অয়েল : সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৭.৪৯ শতাংশ, যা অক্টোবরে ০.০১ শতাংশ কমে ২৭.৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ ০.৪৭ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.৪৫ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৯.০৬ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.০৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.০৯ শতাংশে।

খুলনা পাওয়ার : কোম্পানিটিতে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৯.৫৯ শতাংশ, যা অক্টোবরে ০.২৩ শতাংশ কমে ৯.৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ২০.২৪ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.২৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০.৪৭ শতাংশে।

মেঘনা পেট্রোলিয়াম : কোম্পানিটিতে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩২.০৬ শতাংশ, যা অক্টোবরে ০.১১ শতাংশ কমে ৩১.৯৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৯.০৮ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.১৯ শতাংশে।

শাহজিবাজার পাওয়ার : কোম্পানিটিতে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৬.৮১ শতাংশ, যা অক্টোবরে ১.২০ শতাংশ কমে ১৫.৬১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ২২.৯০ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ১.২০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.১০ শতাংশে।

সামিট পাওয়ার : সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৮.৫৫ শতাংশ, যা অক্টোবরে ০.৪৯ শতাংশ কমে ১৮.০৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ১৪.৫৯ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.৪৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.০৮ শতাংশে।

বিনিয়োগ কমেছে ৫ কোম্পানির:

পদ্মা অয়েল : কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে পদ্মা অয়েলের। কোম্পানিটিতে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩০.৩৯ শতাংশ, যা অক্টোবরে ০.৭৬ শতাংশ বেড়ে ৩১.১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ ০.৯৭ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.১৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.৭৯ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ১৬.২৩ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.৫৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৬৫ শতাংশে।

ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস : কোম্পানিটিতে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১০.৩২ শতাংশ, যা অক্টোবরে ০.১৬ শতাংশ বেড়ে ১০.৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ২৩.৬৪ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.১৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.৪৮ শতাংশে।

লুব-রেফ (বাংলাদেশ) : সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২২.৬৯ শতাংশ, যা অক্টোবরে ০.৬৩ শতাংশ বেড়ে ২৩.৩২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ ০.০৩ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.০৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.০৬ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে

সাধারণ বিনিয়োগ ৪১.৫৮ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.৬৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪০.৯২ শতাংশে।
তিতাস গ্যাস : কোম্পানিটিতে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৫.১৩ শতাংশ, যা অক্টোবরে ০.০১ শতাংশ বেড়ে ১৫.১৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৯.৩৩ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.০১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৩২ শতাংশে।

ইউনাইটেড পাওয়ার : কোম্পানিটিতে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৭.১০ শতাংশ, যা অক্টোবরে ০.০৭ শতাংশ বেড়ে ৭.১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ২.৮৭ শতাংশ থেকে অক্টোবরে ০.০৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২.৮০ শতাংশে।