দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কোম্পানি সক্ষমতার কম পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের পারপিচ্যুয়াল ও সাবঅর্ডিনেটেড বন্ডের অনুমোদনে ধীরগতি নীতি অনুসরন করবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এমনকি প্রতিষ্ঠানগুলোর রাইট ও বোনাস শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন না দেওয়ার বিষয়টি চিন্তা করছে কমিশন।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ি, ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো একক হিসাবে মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫% ও সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে ৫০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানি এর ধারে কাছেও নেই।

অথচ এসব প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজার থেকে নিয়মিত অর্থ উত্তোলন করে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে থাকে। শেয়ারবাজার থেকে লাভবান হয়েও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের তাদের অনীহার কারণে কঠোর হতে বাধ্য হচ্ছে বিএসইসি।

এ বিষয়ে বিএসইসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পুঁজিবাজার থেকে অর্থ নিয়ে ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো বড় হচ্ছে। কিন্তু শেয়ারবাজারে তাদের বিনিয়োগে অনীহা। তাই ওইসব প্রতিষ্ঠানের বন্ডেও অনীহা প্রকাশ করবে বিএসইসি। এমনিকি ওইসব প্রতিষ্ঠানের রাইট ও বোনাস শেয়ার ইস্যুর বিষয়েও কমিশন কঠোর অবস্থানে যাবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, যেসব ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সীমার অনেক তলনাতি বা তুলনামূলক কম বিনিয়োগ, সেসব কোম্পানির পারপিচ্যুয়াল ও সাবঅর্ডিনেটেড বন্ডে অনুমোদনের ক্ষেত্রে ধীরগতি নীতি অনুসরন করা হবে।

এছাড়া  আর পুঁজিবাজারে যেসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সীমার কাছাকাছি বিনিয়োগ রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের সুপার ফার্স্ট গতিতে বন্ডের অনুমোদন দেওয়া হবে।