দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফাইন ফুডস ও আজিজ পাইপসকে পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে ৩০ কোটি টাকা করার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে কোম্পানি দুটির পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে কি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে তা জানতে চেয়েছে বিএসইসি। সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিটি দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে সম্প্রতি এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ে বিএসইসি’র চিঠির ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছে।

ফাইন ফুডসের কাছে পাঠানো বিএসইসি’র চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোম্পানিটিকে ডিএসইর মূল মার্কেটে থাকতে হলে পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়াতে হবে। সেটা কিভাবে সম্ভব হবে তা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এছাড়া ফাইন ফুডসের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সমন্বিতভাবে পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

কোম্পানিটির গত পাঁচ বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বর্তমানে কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে। কোম্পানিটি ২০০২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এরপর থেকে কোম্পানিটি মাত্র দুই বার নামমাত্র নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে গত বছরের ৩০ নভেম্বর শেয়ার ধারণ তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে মাত্র ৬.৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

অপরদিকে আজিজ পাইপসের কাছে পাঠানো বিএসইসি’র চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ এবং পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা বাড়ানোর বিষয়ে কমিশনের কাছে একটি পরিকল্পনা জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

এছাড়া সিআইবি রিপোর্ট, সুনির্দিষ্ট দৃশ্যমান অগ্রগতি এবং কাজের পরিকল্পনার বিষয়ে কমিশনের কাছে পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হলো। পাশাপাশি কোম্পানিটিতে এক বা একাধিক অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে কোম্পানির স্বাধীন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

কোম্পানিটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বর্তমানে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে তালিকাভুক্ত হলেও ব্যবসার কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতে পারেনি। সেই সাথে মাত্র দুটি হিসাব বছরে নগদে লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১% নগদ লভ্যাংশও রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে। সেই সঙ্গে গত ৩১ ডিসেম্বর শেয়ার ধারণ তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে মাত্র ২৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসি’র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। এসব কোম্পানির এক একটির অবস্থা একেক রকম। তাই কোম্পানি দুটির আর্থিক অবস্থার তথ্য চাওয়া হয়েছে।’