দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের ৪০টি নন-লাইফ ইন্সুরেন্সের মধ্যে এই পর্যন্ত ২৬টি কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১৫টি কোম্পানির লভ্যাংশ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। ১০টির ডিভিডেন্ড অপরিবর্তিত রয়েছে। আর একটির লভ্যাংশ কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও সংশ্লিষ্ট কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে প্রভাতী ইন্সুরেন্স। এবছর কোম্পানিটি ইতিহাসে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আগের বছর কোম্পানিটি লভ্যাংশ দিয়েছিল ১৭ শতাংশ স্টক। সেটি ছিল তালিকাভুক্তির পর সর্বোচ্চ। এবার ১৬ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এটি কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর সর্বোচ্চ লভ্যাংশ।

এছাড়া, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৩০ পয়সা। যা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর সর্বোচ্চ। লভ্যাংশ বৃদ্ধি পাওয়া ১৫ কোম্পানির লভ্যাংশ ও ইপিএস ধারাবাহিকভাবে নিচে বর্ণনা করা হলো:

অগ্রণী ইন্সুরেন্স: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১০ শতাংশ ক্যাশ। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা। আগের অর্থবছরে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৭২ পয়সা।

এশিয়া প্যাসেফিক ইন্সুরেন্স: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১৮ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১০ শতাংশ ক্যাশ। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৩ পয়সা। আগের অর্থবছরে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা।

বিএনআইসিএল: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১৮ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১৫ শতাংশ ক্যাশ। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ২৩ পয়সা। আগের অর্থবছরে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৪৯ পয়সা।

সেন্ট্রাল ইন্সুরেন্স: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১৮ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ৬ শতাংশ ক্যাশ ও ৭.৫০ শতাংশ স্টক। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪১ পয়সা। আগের অর্থবছরে ইপিএস ছিল ২ টাকা ০৩ পয়সা।

কন্টিনেন্টাল ইন্সুরেন্স: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ৬ শতাংশ ক্যাশ ও ৪ শতাংশ স্টক। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা১। আগের অর্থবছরে ইপিএস ছিল ১ টাকা ২৪ পয়সা।

ঢাকা ইন্সুরেন্স: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ২৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ২০ শতাংশ ক্যাশ। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৬৪ পয়সা। আগের অর্থবছরে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৮৯ পয়সা।

ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ২২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ২০ শতাংশ ক্যাশ। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ১৬ পয়সা। আগের অর্থবছরে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৩৩ পয়সা।

গ্লোবাল ইন্সুরেন্স: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১০ শতাংশ ক্যাশ। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬২ পয়সা। আগের অর্থবছরে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫৩ পয়সা।

নিটল ইন্সুরেন্স: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১০ শতাংশ ক্যাশ। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৯৩ পয়সা। আগের অর্থবছরে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৮৪ পয়সা।

পিপলস ইন্সুরেন্স: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১১ শতাংশ ক্যাশ। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫৮ পয়সা। আগের অর্থবছরে ইপিএস ছিল ২ টাকা ২৬ পয়সা।

পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ২৫ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ২০ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ৬২ পয়সা। আগের অর্থবছরে ইপিএস ছিল ৬ টাকা ৯২ পয়সা।

প্রগতি ইন্সুরেন্স: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ৩৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ৩০ শতাংশ ক্যাশ। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৭২ পয়সা। আগের অর্থবছরে ইপিএস ছিল ৪ টাকা ০৭ পয়সা।

প্রভাতী ইন্সুরেন্স: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১৬ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ১৭ শতাংশ স্টক। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৩০ পয়সা। আগের অর্থবছরে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ১০ পয়সা।

রিপাবলিক ইন্সুরেন্স: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ৭ শতাংশ ক্যাশ ও ৭ শতাংশ স্টক। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা। আগের অর্থবছরে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা।

সেনা কল্যাণ ইন্সুরেন্স: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির পর এবারই প্রথম ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা। আগের অর্থবছরে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৯৩ পয়সা।

এছাড়া, আগের বছরের সমপরিমাণ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে সিটি ইন্সুরেন্স ১০ শতাংশ ক্যাশ, ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্স ১০ শতাংশ ক্যাশ, দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স ১০ শতাংশ ক্যাশ, ফেডারেল ইন্সুরেন্স ১০ শতাংশ ক্যাশ, গ্রীণডেল্টা ইন্সুরেন্স ৩০ শতাংশ ক্যাশ, মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্স ১০ শতাংশ ক্যাশ, নর্দার্ন ইন্সুরেন্স ১০ শতাংশ ক্যাশ, ফিনিক্স ইন্সুরেন্স ১৫ শতাংশ ক্যাশ, রিলায়েন্স ইন্সুরেন্স ২৫ শতাংশ ক্যাশ ও রূপালী ইন্সরেন্স ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড।

অন্যদিকে, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্সের ডিভিডেন্ড কমেছে। কোম্পানিটি আগের বছর ২০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। এবছর ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।