দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের ৩৩টি ব্যাংকের মধ্যে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক প্রতিবেদন (জানুয়ারি-মার্চ’২২) প্রকাশ করেছে ১৮টি ব্যাংক। এর মধ্যে মুনাফা বেড়েছে ১৫টি ব্যাংকের। আর মুনাফা কমেছে ৩টির। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে মুনাফা বেড়েছে সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ থেকে সর্বনিন্ম ০.৯৫ শতাংশ পর্যন্ত। এই ১৫টি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে:

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক, ইস্টার্ণ ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এবং ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড।

সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ১১ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১১ পয়সা বা ১০০ শতাংশ।

ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৩১ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৯৮ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২৫ পয়সা বা ৮০ শতাংশ।

ন্যাশনাল ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৮ পয়সা। যা আগের বছর একই ইপিএস ছিলো ১২ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ০৪ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৬ পয়সা বা ৫০ শতাংশ।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৮৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৬১ পয়সা (রিয়েস্টেটেড)। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৮৬ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২৫ পয়সা বা ৪১ শতাংশ।

ইউনিয়ন ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ২৮ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮২ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৭ পয়সা বা ২৫ শতাংশ।

এবি ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ১৫ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৮৪ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৩ পয়সা বা ২০ শতাংশ।

ডাচ বাংলা ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭৭ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ১ টাকা ৪৩ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ২২ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৩৪ পয়সা বা ১৯.২০ শতাংশ।

ট্রাস্ট ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৯২ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৭২ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২৭ পয়সা বা ২৯.৩৪ শতাংশ।

ইসলামি ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৪৫ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৩৯ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৭ পয়সা বা ১৫.৫৫ শতাংশ।

ইস্টার্ণ ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ১ টাকা ০৯ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১৬ পয়সা বা ১৪.৬৭ শতাংশ।

এনসিসি ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৫২ পয়সা । আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৬৫ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৭ পয়সা বা ১৩.৪৬ শতাংশ।

আইসিবি ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিলো ১৫ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ২৭ পয়সা (নেগেটিভ)। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির নেগেটিভ ইপিএস কমেছে ২ পয়সা বা ১৩.৩৩ শতাংশ।

সাউথইস্ট ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৩১ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ১ টাকা ২২ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৮৬ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৯ পয়সা বা ৭.৩৭ শতাংশ।

মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৭৪ পয়সা । আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৮১ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৪ পয়সা বা ৫.৪০ শতাংশ।

ব্যাংক এশিয়া: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ০৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ১ টাকা ০৫ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৯১ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১ পয়সা বা ০.৯৫ শতাংশ।

ইপিএস কমেছে ৩ ব্যাংকের: স্যোসাল ইসলামি ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ৩১ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৮৪ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ১৭ পয়সা বা ৫৪.৮৩ শতাংশ।

প্রাইম ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ১ টাকা ৩৪ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৩৬ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ৪২ পয়সা বা ৩১.৩৪ শতাংশ।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’২২) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিলো ১৭ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৮৬ পয়সা। আগের বছরের তুলোনায় ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ৪ পয়সা বা ২৩.৫২ শতাংশ।