দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ২০১০ সালে ধসের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ফিরেছে পুঁজিবাজার। টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি নি:স্ব হতে চলছে। সাম্প্রতিক দরপতনে শতকরা ৮০ শতাংশ বিনিয়োগকারীদের ৪০ শতাংশ পুঁজি হারিয়ে নতুন করে আবার পুঁজি হারাতে শুরু করছেন। এছাড়া ঋণগ্রস্ত বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীর পত্রকোষ বা পোর্টফোলিও জোরপূর্বক বিক্রি বা ফোর্সড সেলের আওতায় পড়েছে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে অন্যসব সূচকেই দেশ যখন ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে, তখন শেয়ারবাজারের দিকে তাকালে রীতিমতো করুণা হয়।

ফলে দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণের পক্ষ থেকে বাজারের এই পরিস্থিতির কারণ ও বিনিয়োগকারীদের করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাজারের যেভাবে দরপতন চলছে, তা পুরোপুরি অযৌক্তিক। ভালো কিছু কোম্পানির শেয়ারের দামের যেভাবে দরপতন ঘটছে, তার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। মির্জ্জা আজিজ মনে করেন, এই মুহূর্তে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে এগিয়ে না এলে অবস্থার উন্নতি হবে না।

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে দরপতনের যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ নেই। সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ভালো। সম্প্রতি সময়ে বেসরকারি খাতে আমদানি বেড়েছে। তাতে মনে হয়ে দেশে বিনিয়োগও হচ্ছে।

ইউক্রেনের যুদ্ধে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে কিন্তু সেটা পুঁজিবাজারকে সরাসরি প্রভাব ফেলে না। কাজেই বিনিয়োগকারীরা কিছুটা অকারণে আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করছেন। এটার কোনো যুক্তিসঙ্গত ভিক্তি নেই। তাই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও যাতে বাজারে সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের বিনিয়োগ বাড়ায়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।