দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে কি হচ্ছে এ প্রশ্ন এখন বিনিয়োগকারী সহ সাধারণ মানুষের মাঝেও। টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীরা নি:স্ব হতে চললেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোন ওষুধ কাজে লাগছে না। বরং দিনের পর দিন দরপতনে পুঁজি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে বিনিয়োগকারীরা। এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের উপায় কি সবার মাঝে একটাই প্রশ্ন। এছাড়া পুঁজিবাজারে চলছে উত্থান পতনের খেলা। চলছে ভোল্টেজ-লো ভোল্টেজের দৌড়াদৌড়ি।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের বড় উত্থান শুরু হলেও দিনশেষে বড় দরপতনে শেষ হয়েছে। এ নিয়ে টানা সাত কার্যদিবস দরপতন চলছে। এদিকে শেয়ার বিক্রির চাপে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৫১ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১৩৫ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন। এর ফলে টানা সাত কার্যদিবস দরপতন হলো।

ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার বাজারে ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের ১৭ কোটি ৫৭ লাখ ৯৯ হাজার ৬৭১টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৬৩টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টির।

অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৫১ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৮ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ১৯ পয়েন্ট।

বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৬৬৮ কোটি ৮৮ লাখ ১২ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৬২ কোটি ৯৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার শেয়ার। এদিন সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার।

এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয় ইসলামী ব্যাংক, শাইনপুকুর সিরামিক, জেএমআই হসপিটাল, বিএসসি, ওরিয়ন ফার্মা, এনসিসি ব্যাংক, এসিআই ফরমুলেশন, আরডি ফুড এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর শেয়ার।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৩৯ পয়েন্টে। এ বাজারে ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২০৮টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির। এদিন লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৩৬ লাখ ২৬ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৭ কোটি ৭৭ লাখ ৮ হাজার টাকা।