দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের পর সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দিনভর সূচকের উঠানামা চললেও দিনশেষে কিছুটা উত্থান ছিল। তবে দীর্ঘদিন ধরে বাজার অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করায় বাজারের প্রতি আস্থা সংকট চরম আকারে বিরাজ করছে। কারণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বার বার বলার পর ও বাজার স্থিতিশীল না হওয়ার আস্থা সংকট বাড়ার কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৬ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ১১ পয়েন্ট। এর আগে গত বুধবার (১৫ জুন) উত্থানের পর বৃহস্পতি, রবি, সোম এবং মঙ্গলবারও পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছিল।

ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবার ডিএসইতে ৩৮২টি প্রতিষ্ঠানের ১৮কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ১৯টি শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১২৩টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৬টির দাম।

এদিন অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে ২ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ১ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট।

এদিন ডিএসইতে ৬৯৪কোটি ৩৭ লাখ ২৮ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৭২৫ কোটি ৮৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকার শেয়ার। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে। আজ সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার।

এরপর যথাক্রমে রয়েছে, শাইনপুকুর সিরামিক, জেএমআই হসপিটাল, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, সোনালি পেপার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, আইপিসি, ব্র্যাক ব্যাংক, ফুয়াং ফুড এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন লিমিটেডের শেয়ার। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৬০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বাজারটিতে ২৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১১৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ২৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭৪৯ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৬ কোটি ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৪৭ টাকা।

লেনদেনের বিষয়ে মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন বলেন, ‘কয়েক দিনের পতনের পর আজ স্বাভাবিকভাবেই শেয়ারগুলো কিছুটা দর ফিরে পেয়েছে। সামান্য সংশোধন বলা যায়। তবে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলা যাচ্ছে না। কারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে শেয়ার কেনা অনীহা লক্ষ করা যাচ্ছে, লেনদেন কমছেই।’ দুটি বিষয় এ ক্ষেত্রে কাজ করছে। প্রথমত অনেকগুলো কোম্পানির ক্লোজিং হবে জুনে। এ ছাড়া পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার বিষয়টি ক্লিয়ার না হওয়া।’