আহমেদ সানি , জবি, দেশ প্রতিক্ষণ: দু-একটা ঘটনায় ছাত্র সমাজ কলাঙ্কিত হতে পারে না। শিক্ষক হচ্ছে জাতি গঠনের পথপ্রদর্শক। বাবা – মায়ের পরেই শিক্ষকের স্থান। এমনটাই বলেছেন আদি ঢাকা সাংস্কৃতিক জোটের বক্তারা। আজ (শুক্রবার) পহেলা জুলাই, পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় আদি ঢাকা সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজিত ‘মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক হত্যা – নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার প্রত্যায়ে’ সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, নড়াইলের ঘটনা পুরো জাতির জন্য নেক্কারজনক এবং হীনমন্যতা প্রকাশ করেছে এদেশের ছাত্র সমাজ। পিতৃতুল্য শিক্ষককে হত্যা করা, জুতোর মালা পড়ানো কিংবা কোথায় কান ধরে ওঠবস করানো হচ্ছে। এ ধরনের চিত্র দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে আবারো অস্বাভাবিক করে তুলবে। দেশের রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির চর্চা দিন দিন বেড়ে গেছে একটা গোষ্ঠীর মদতে।

বক্তারা আরও বলেন, দেশের ছাত্র সমাজের এতো অধঃপতনের মূল কারণ হচ্ছে অপসংস্কৃতি। তাদের মধ্যে আজ সুশিক্ষার অভাব রয়েছে বড্ড বেশি। না হলে জাতি গড়ার কারিগরি যারা তাদের সঙ্গে এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনা কখনো ঘটতে পারে না।

সমবেশে অংশ নিয়ে ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের ৪৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, শিক্ষক জাতি গঠনের পথপ্রদর্শক। দু’একটা ঘটনা ছাত্র সমাজের কলাঙ্ক হতে পারে না। এটা হচ্ছে অপসংস্কৃতি। বাপ – মা পরেই শিক্ষকের অবস্থান। আমরা এসব অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, এ ধরনের ঘটনা আসলে অস্বাভাবিক। না হলে শুধু হিন্দু ধর্মের শিক্ষকের উপর কেন হামলা হয়েছে। এটা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। এসব ছাত্র নামের কুলাঙ্গারগুলোকে শাস্তির আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। না হলে মানুষ হওয়ার যে শিক্ষা সেটা প্রকৃতপক্ষে কোনোদিনও অর্জন হবে না। শুধুমাত্র জিপিএ ৫ পেলে হবে না আমাদের মনুষ্যত্ব বিকাশের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি এটা কোনো বিছিন্ন ঘটনা নয়। এটা একটি মহলের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে। আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্যে থাকতে পারে কিন্তু আমাদের শিক্ষকদের নিয়ে কোনো মতপার্থক্যে নেই।

এসব সমাবেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ সভাপতি আলমগীর সিকদার বলেন, এ ধরনের চিত্র সমাজের জন্য খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমাদের সকলকে এক কাতারে এসে প্রতিবাদ করতে হবে।