দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে ডিএসইর সাথে ইতিবাচক আলোচনাও হয়েছে। ২৫০০ স্টার্টআপ কোম্পানি তৈরি হয়েছে। যেখানে ১৫ লক্ষ যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে নতুন স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। তবে পুঁজিবাজারের সক্ষমতা বাড়াতে ৭ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে বিএসইসিকে সহযোগিতা করবো। বিএসইসিকে বিশ্ব পুঁজিবাজারে নেতৃত্বে আনতে আমরা প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর নিকুঞ্জের ডিএসইর ভবনে ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে সম্ভাবনা ও সুযোগ’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিএসই।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো অনেক ভালো করছে। এজন্য স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিনিয়োগ দিয়ে সহযোগিতা করা দরকার। ইতোমধ্যে একটি স্টার্টআপ কোম্পানি পুঁজিবাজারে এসেছে। সামনে অন্য স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোও পুঁজিবাজার থেকে তহবিল সংগ্রহ করবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলিকন ভ্যালি থেকে শুরু করে ভারতের স্টার্টআপ নিয়ে আমরা স্টাডি করেছি। এর মধ্যে বিশ্বে মাত্র ১০ শতাংশ স্টার্টআপ সফল হয়। বাকি ৯০ শতাংশ ব্যর্থ হয়। কিন্তু ১০ শতাংশ সফল স্টার্টআপের রিটার্ন ৯০ শতাংশ ব্যর্থ স্টার্টআপকে ছাড়িয়ে যায়। আমাদের সামনে পাঠাও, বিকাশ, চালডাল, শপআপ এর উদাহরণ। তারা গত পাঁচ বছরে যে পরিমাণ সাফল্য এনেছে, অর্থনীতিতে যে পরিমাণ অবদান রেখেছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রেখেছে।

তিনি বলেন, আমাদের (বাংলাদেশের) আড়াই হাজার স্টার্টআপ সফল হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্রান্টে সাড়ে সাত হাজার স্টার্ট আপ আবেদন করেছে, সবাই সফল হয়নি। কিন্তু এই পাঁচ-দশটা স্টার্টআপ যে পরিমাণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে, অর্থনীতিতে যে পরিমাণ অবদান রেখেছে সেটা অনেক অনেক গুণ বেশি।

সাত আট বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চার পাঁচ ধরণের স্টার্ট আপে আমাদের বিনিয়োগ করা দরকার। যারা বসে আছে, যারা ভালো অবস্থানে আছে, যাদের বেশি প্রফিট নেই, কিন্তু দেশের জন্য প্রয়োজন, যাদের সরকারি দিকনির্দেশনা দরকার। এরকম কোম্পানিতে আমাদের বিনিয়োগ করা দরকার।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কয়েক বছর আগে যেসব স্টার্টআপকে আমরা মাত্র ১০ লাখ টাকা দিয়েছি, তাদের অনেকে এখন কয়েক শ’ মিলিয়ন ডলারের ভ্যালিয়েশন কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। দেশের আড়াই হাজার স্টার্ট আপ প্রায় ১৫ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এনএম জিয়াউল আলম এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ এবং বিভিন্ন স্টার্টআপ কোম্পানির উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।