দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আত্মঘাতী গোলের ফাঁদে না পড়লে হয়তো জয় পেতো পিএসজি। ম্যাচের নায়ক হতেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের গোলেই যে লিড নিয়েছিল লা প্যারিসিয়ানরা। শুধু সেই গোলই নয়, গোটা ম্যাচেই প্রাণবন্ত মনে হয়েছে মেসিকে। তবুও সাতবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীকে পূর্ণ ৯০ মিনিট খেলাননি পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের!

২২তম মিনিটে পিএসজি ত্রয়ী- মেসি, এমবাপ্পে ও নেইমারের দারুণ বোঝাপড়ায় এগিয়ে যায় প্যারিসের দলটি। প্রথমার্ধের শেষ সময়ে নিজেদের ভুলেই গোল হজম করে পিএসজি। এরপর ৮০তম মিনিটে মেসিকে তুলে পাবলো সারাবিয়াকে নামান গালতিয়ের। শেষ গুরুত্বপূর্ণ দশ মিনিটে একমাত্র স্কোরার মেসিকে না খেলানোর কারণ কী? মাঠ ছাড়ার আগে বেনফিকার গোলবারের উদ্দেশে ২টি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখেন মেসি। ‘কি পাস’ দিয়েছেন ৩ বার। পাস একিউরিসি ছিল ৮৬.৩ শতাংশ।

বলে পা স্পর্শ করিয়েছেন ৬৫ বার। একবার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নেন। খেলার রেটিং ছিল ৮.৩৮। যা দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবুও কেনো পূর্ণ সময় খেলানো হয়নি মেসিকে?

ম্যাচশেষে গালতিয়ের জানান, নিজেই উঠে যেতে চেয়েছেন মেসি, ‘(বদলি হওয়ার) এক-দুই মিনিট আগে সে বদলি হওয়ার জন্য ইশারা করেছিল। শেষ দৌড়ের সময় ক্লান্তি বোধ করছিল। আর ম্যাচের ওই মুহূর্তে সতেজ কাউকে দরকার ছিল।’

মেসির আগে ৬৭তম মিনিটে নুনো মেন্দেজকে উঠিয়ে জুয়ান বার্নেটকে নামান ক্রিস্তফ গালতিয়ের। এ ব্যাপারে পিএসজি কোচ বলেন, ‘পেশিতে গুরুতর চোট পেয়েছে মেন্দেজ। কয়েক ম্যাচ তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে।’

গত ৭ই সেপ্টেম্বর জুভেন্টাসের বিপক্ষেও মেসিকে তুলে নিয়েছিলেন গালতিয়ের। চ্যাম্পিয়নস লীগে আট বছর পর মেসির প্রথম বদলির ঘটনা ছিল সেটি। ২০১৪ সালে বার্সেলোনা-আয়াক্স ম্যাচে বদলি হওয়ার পর টানা ৬৩ ম্যাচে শুরুর একাদশে নেমে পুরো সময় খেলেছেন মেসি।