দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আজ ৭ সেপ্টেম্বর, ৭০ বছর পূর্ণ হলো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। পা রাখলেন ৭১তম বছরে। এই বয়সেও যেন তারুণ্য ধরে রেখেছেন পুতিন। শুধু তাই নয়, এখনো রীতিমতো ছড়ি ঘোরাচ্ছেন বিশ্ব রাজনীতিতে। এই পুতিনই এখন পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ। মূলত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির এজেন্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন পুতিন।

১৯৯০ সালে লেলিনগ্রাদের মেয়র হিসেবে রাজনীতিতে পা রাখেন তিনি।তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার কারণে গত দুই দশক রাশিয়ার একচ্ছত্র ক্ষমতা পুতিনের হাতে। ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম ক্ষমতায় আসেন সাবেক এই গোয়েন্দাপ্রধান। এর পর থেকে চার দফা প্রেসিডেন্ট আর একবার ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে।

আর ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও ক্ষমতার লাগাম ছিল তার হাতেই। আবারও ২০১২ থেকে এখন পর্যন্ত টানা ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি। যদিও রুশ সংবিধান অনুযায়ী আর প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ ছিল না পুতিনের। তবে কীসের কী? সব নিয়ম-নীতি থোড়াই কেয়ার করে সংবিধানই পরিবর্তন করে ফেলেন তিনি।

৭০ বছর বয়সী সাবেক এই গোয়েন্দা শারীরিকভাবে এখনো দারুণ ফিট। শারীরিক কসরত বা খেলাধুলার জন্য বিভিন্ন সময় হয়েছেন খবরের শিরোনাম। এখনো নিয়মিত জিম করেন মার্শালাটে ব্ল্যাকবেল্টধারী এই নেতা। পশুপ্রেমী হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে পুতিনের। শখ হলেই চলে যান অবকাশ যাপনে। নেমে পড়েন মাছ শিকারে।

সবকিছু যেন প্রকাশ্যে করতেই বেশি ভালোবাসেন তিনি। তাই তো ক্যামেরার সামনে কখনো গ্লাইডারে চড়ে আকাশে ছুঁতে চেয়েছেন, আবার কখনো সাবমেরিনে ডুব দিয়েছেন সাগরের গভীরে। এসব কর্মকাণ্ড পুতিনকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে বলেও মনে করা হয়। সম্প্রতি রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে গুঞ্জন ছড়ায়, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পুতিন। তবে এসবকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে মস্কো।