দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: উপকূলীয় ১৫টি জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এ ১৫ জেলা হলো সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রবর্তী অংশ, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপের পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে এ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আজ সোমবার সন্ধ্যার দিকে আঘাত হানতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। আজ দুপুরে সচিবালয়ে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। উপকূলীয় ১৩ জেলায় মারাত্মক এবং দুই জেলায় হালকাভাবে আঘাত হানতে পারে সিত্রাং।

এনামুর রহমান জানান, সিত্রাং সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপ নিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, সন্ধ্যায় এটি আঘাত হানবে। সবচেয়ে বেশি আঘাত হানবে বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলায়। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।

সিত্রাং অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম উপকূলে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা থেকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, সিত্রাং বরিশালের দিকে এগোচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৫ কিলোমিটারের ভেতরে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপকূলীয় ১৩ জেলায় মারাত্মক এবং দুই জেলায় হালকাভাবে আঘাত হানবে সিত্রাং। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনার পাথরঘাটা ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানান দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

তিনি জানান, ১৩টি জেলায় সিত্রাং মারাত্মক আঘাত হানবে। তার মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী এবং ফেনী।

অর্থাৎ চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় এটি আঘাত হানবে এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দ্বীপ অঞ্চলগুলো বিশেষ করে মহেশখালী, সন্দীপ এগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব অঞ্চলে লোক সরানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, উপকূলে সাত হাজার ৩০টি শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। সকাল থেকেই মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হচ্ছে। আমরা আম্ফানে ২৪ লাখ সরিয়েছিলাম। এবার ২৫ লাখ সরানোর লক্ষ্য রাখা হয়েছে।