দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা:  পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইসলামী ব্যাংক থেকে নভেম্বর মাসের ১ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত দুই হাজার ৪৬০ কোটি টাকা ‘অসাধু চক্র’ তুলে নেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।  চিঠিতে বড় অংকের অর্থ তুলে নেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

রোববার (২৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরসহ ইসলামী ব্যাংকের পাঁচজন গ্রাহক এ চিঠি দেন। অপর চার জন হলেন- অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ সাদিক, শাইখুল ইসলাম ইমরান ও যায়েদ বিন আমজাদ।

গভর্নর বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, আমরা সবাই ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ লিমিটেডের নিয়মিত গ্রাহক। ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আমরা সাধ্যমত ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করে থাকি।

২৪ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার অনুসন্ধানী রিপোর্টে উঠে এসেছে যে, ইসলামী ব্যাংক থেকে নভেম্বর মাসের ১ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত দুই হাজার ৪৬০ কোটি টাকা অসাধু চক্র তুলে নিয়েছে। এই রিপোর্টে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের আমানতকারী হিসেবে আমরা উদ্বিগ্ন। স্বীকৃতমতে বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে।

এমতাবস্থায় এ ধরনের সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনে আমরা সংক্ষুব্ধ। বিষয়টি আমলে নিয়ে গভীরভাবে খতিয়ে দেখার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে তদন্তসাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কার্যকর আইনগত দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, চিঠির বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি, বিস্তারিত জানি না। তবে ইসলামী ব্যাংকের যে বিষয়টি পত্রপত্রিকায় পড়েছি, সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন মোতাবেক মনিটরিং অব সুপারভিশনের আওতায় তদন্ত হবে।

চিঠি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার ঘটনায় মিডিয়ায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন হয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছি। আশা করি তাঁরা ঋণের প্রক্রিয়া সঠিক ছিল কি না সেটি খতিয়ে দেখবে। যদি বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।