দেশ প্রতিক্ষণ, মহেশখালী: মহেশখালীর শহিদুল হক বহাদ্দারের ফিশিং বোটে ধরা পড়া ৮টি কালো পোপা মাছ (স্থানীয় ভাষায় কালো পোয়া ) ১২ লাখ ৮৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) মাছগুলো ধরা পড়ার পর চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছেন তিনি।

মাঝি আব্দুল মজিদ বলেন, ফিশিং বোট নিয়ে সোমবার সকালে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান তারা। সকালে জাল ফেলা হয়, দুপুরে তুলে দেখি বড়-ছোট মিলিয়ে ৪০ কেজি ওজনের কয়েকটি পোয়া মাছ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে বড় ৮টি পোয়া মাছ নিয়ে মাতারবাড়ির কুলে ফিরে আসি। খবর পেয়েই স্থানীয় পাইকাররা মাছগুলো কিনতে জড়ো হন। চট্টগ্রামের মাছের আড়তের ব্যবসায়ীরাও যোগাযোগ করেন। পরে মাছগুলো চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।

ট্রলার মালিক শহিদুল হক বলেন, ধরা পড়া কালো পোয়া মাছগুলোর দাম হেঁকেছিলেন ২৫ লাখ টাকা। স্থানীয় কয়েকজন পাইকার মাছগুলো ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলেন। তবে চট্টগ্রামের ফিশারি ঘাটের ৪ নম্বর আড়তে পরীক্ষার পর জানা য়ায় ৮টি মাছের ৭টিই মেয়ে প্রজাতির। পুরুষ প্রজাতির একটি পোয়া ১ লাখ ৭০ হাজার আর বাকি সাতটি ১১ লাখ ১৩ হাজার টাকা বিক্রি হয়। তবে মাছগুলো পুরুষ প্রজাতির হলে অর্ধ কোটি টাকা পাওয়া যেত বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান বলেন, সাগরে মাছের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সরকার বছরে দুইবার মাছ ধরা বন্ধ রাখে। এ কারণে ইলিসসহ অন্যান্য মাছের প্রজনন বৃদ্ধি পেয়েছে। যার সুফল পাচ্ছেন জেলেরা।

তিনি আরও বলেন, কালো পোপা মাছের দাম বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে মাছের পেটের ভেতরে থাকা পদনা বা বায়ুথলী (এয়ার ব্লাডার)। এই বায়ুথলী দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা হয়। এ জন্য পোপা মাছের দাম চড়া।