দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাভার রিফ্রেক্টরিজের ব্যবসা পরিচালনা করা বা টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক। কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারপরেও শুধুমাত্র স্বল্পমূলধনী হওয়ায় কোম্পানিটির শেয়ার দর আকাশচুম্বি। নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে বলে ধারনা করে আর্থিক হিসাব তৈরী করেছে সাভার রিফ্রেক্টরিজ কর্তৃপক্ষ।

তবে কোম্পানিটি ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে লোকসানে থাকায় এরইমধ্যে উৎপাদন ক্ষমতা ৪০.১৩ শতাংশ কমে এসেছে। এছাড়া কারেন্ট রেশিও ০.৪৫ এর মতো দূর্বল অবস্থায় চলে এসেছে। যা কোম্পানিটির ব্যবসা পরিচালনা বা টিকিয়ে রাখার সক্ষমতা নিয়ে খুবই শঙ্কা তৈরী করেছে।

সাভার রিফ্রেক্টরিজের ব্যবসা এমন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বুধবার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৬১.১০ টাকায়। এর পেছনে কারন হিসেবে রয়েছে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন কম হওয়ায় শেয়ার সংখ্যাও কম। যাতে সহজেই শেয়ারের কৃত্রিম সংকট তৈরী করা যায়। এ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন মাত্র ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী, অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) টাকা বিতরন করতে হয়। কিন্তু সাভার রিফ্রেক্টরিজের ৭ লাখ ২৯ হাজার ৫০৩ টাকার ফান্ড থাকলে বিতরন করছে না বলে জানিয়েছেন নিররীক্ষক। এদিকে সাভার রিফ্রেক্টরিজের ২০১৮ সাল থেকে বার্ষিক সাধারন সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বিশেষ রেজুলেশনের মাধ্যমে আর্থিক হিসাব অনুমোদন ও নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সাভার রিফ্রেক্টরিজে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৪৯.৩২ শতাংশ।

তথ্য মতে, কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসান রয়েছে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার। কোম্পানিটির ব্যবসায় কাঁচামালের অভাব, স্থানীয় বাজারে চাহিদা কম, অল্প উৎপাদন ক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা বন্ধের পরেও দেশে ব্যবসা করা কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে।