দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারের লেনদেনের বড় অংশ ঘুরে ফিরে ৮-১০ কোম্পানিতেই আটকে গেছে। আর যেসব কোম্পানি এখন বাজারে লেনদেনে শীর্ষে রয়েছে সেগুলো নেই ভালো মানের কোম্পানির তালিকায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে আমরা নেটওয়ার্ক।

রোববার কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনের মধ্যমে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। লেনদেনের শীর্ষ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৬৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকার।

লেনদেনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস। কোম্পানিটির ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ চার কোম্পানির মধ্যে তিনটির শেয়ার নিয়েই কারসাজির ঘটনা ঘটেছে বলে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে আলোচনা রয়েছে। কয়েকজন আলোচিত কারসাজিকারকের এসব শেয়ারে বিনিয়োগ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়।

মুলত জেনেক্স ইনফোসিস কোম্পানিটির সঙ্গে একটি কারসাজি চক্র জড়িত রয়েছে বলে বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে আলোচনা রয়েছে। একই চক্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে বসুন্ধরা পেপার মিলসের শেয়ারেও।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষ এক ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহী বলেন, পুঁজিবাজারের লেনদেন এখন একটি কারসাজি চক্র নির্ভর হয়ে গেছে। তাদের হাতে থাকা শেয়ারই লেনদেনের শীর্ষে থাকছে। দামও বাড়ছে। মূলত এসব শেয়ারের লেনদেনের বড় অংশই কৃত্রিম। কারণ, নিজেদের মধ্যে হাতবদলের মাধ্যমেই কোম্পানিগুলোকে লেনদেনের শীর্ষে ধরে রাখা হয়েছে।

আর অন্যদিকে ভালো মানের কোম্পানিগুলোর বেশির ভাগই সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় কোম্পানিগুলোর তেমন কোনো লেনদেন হচ্ছে না। ফলে সেখানে বিপুল বিনিয়োগ আটকে আছে।