bank-asia-pic20160410092951দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ৭৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে ব্যাংক এশিয়া। এ ছাড়া অন্যসব তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে ৫৬ কোটি টাকা ও প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদনের জন্য আবেদনকৃত এমন কোম্পানিতে ১৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। সব মিলিয়ে পুঁজিবাজারে ব্যাংকটির বিনিয়োগ ১৪৬ কোটি টাকা। ব্যাংকটির ২০১৭ সালের অর্ধবার্ষিক (জানুয়ারি-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ব্যাংকটির বিনিয়োগ করা মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো হল- ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইবিএল এনআরবি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

চলতি বছরের ৩০ জুনে এই ৫টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ব্যাংকটির বিনিয়োগের পরিমাণ দাড়িয়েছে ৭৪ কোটি ১৯ লাখ টাকায়। যা ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরেও ৫টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ছিল ৭৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে এ খাতে ৫৫ লাখ টাকার বিনিয়োগের পরিমাণ কমে এসেছে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ডে। এই ফান্ডটিতে ব্যাংক এশিয়ার ২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। এরপরে এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ২৪ কোটি ২২ লাখ টাকা, ইবিএল এনআরবি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ১৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ও ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ৫ কোটি টাকা করে বিনিয়োগ রয়েছে।

এদিকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরেও ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইবিএল এনআরবি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ব্যাংক এশিয়ার বিনিয়োগ ছিল। এ ছাড়া এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ছাড়া অন্য ফান্ডগুলোতেও চলতি বছরের ৩০ জুনের ন্যায় সমপরিমাণ বিনিয়োগ ছিল। শুধুমাত্র এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ৫৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ কমেছে।

অপরদিকে বিভিন্ন কোম্পানিতে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ব্যাংক এশিয়ার বিনিয়োগ ছিল ৬১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যা চলতি বছরের ৩০ জুন কমে দাড়িয়েছে ৫৬ কোটি ৪০ লাখ টাকায়। এ হিসাবে ৬ মাসের ব্যবধানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত (মিউচ্যুয়াল ফান্ড ব্যতিত) বিভিন্ন কোম্পানিতে ব্যাংক এশিয়ার বিনিয়োগ কমেছে ৫ কোটি ১ লাখ টাকার বা ৮ শতাংশ।

এদিকে চলতি বছরের ৩০ জুনে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য আবেদন করা বিভিন্ন কোম্পানিতে ব্যাংক এশিয়ার বিনিয়োগ দাড়িয়েছে ১৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। যা ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ছিল ৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

২০১৭ সালের প্রথমার্ধে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বেতন ও ফিবাবদ ৬২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৭৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ হিসাবে ব্যাংকটির এমডির বেতনাদি কমিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকটির সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. আরফান আলী।

ব্যাংকটির চলতি বছরের প্রথমার্ধে ৭৬ কোটি ৩১ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ২৭ কোটি ৬১ লাখ টাকার। এ হিসাবে মুনাফা বেড়েছে ৪৮ কোটি ৭০ লাখ টাকার বা ১৭৬ শতাংশ।

মূলত প্রদত্ত ঋণ থেকে সুদজনিত আয় বেড়ে যাওয়ার কারণে চলতি বছরের প্রথমার্ধে ব্যাংকটির মুনাফায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ সময় ব্যাংক এশিয়ার সুদজনিত আয় হয়েছে ৭৭৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যা আগের বছরের প্রথমার্ধে হয়েছিল ৭০৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ হিসাবে ব্যাংকটির সুদজনিত আয় বেড়েছে ৬৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বা ৯ শতাংশ।

উল্লেখ্য ৯৮৭ কোটি ১ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের ব্যাংক এশিয়ায় নিট ১ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ব্যাংকটির শেয়ার দর দাড়িয়েছে ২১.৬০ টাকায়।