আমান কটনের শেয়ারে আস্থা সংকটে বিনিয়োগকারীরা!
মোবারক হোসেন, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আমান কটনের শেয়ার আস্থা সংকটে বিনিয়োগকারীরা। টানা দরপতনের কারনে আইপিও শেয়ারের প্রতিদ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। গত রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ফলে কোম্পানিটি ক্রেতা সংকটে পড়ে চলে আসে পতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। তেমনি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস কয়েকবার ক্রেতা সংকট দেখা যায়। ফলে নতুন শেয়ারের বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারানোর দু:চিন্তায় ভুগছেন।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে গত ৬ আগস্ট শুরু হয় আমান কটন শেয়ারের লেনদেন। লেনদেনের প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারটির সর্বশেষ দর ছিল ৭৫ টাকা ৭০ পয়সা, যা কাট অফ প্রাইসের চেয়ে ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা বা ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। দ্বিতীয় দিনে দর সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা স্পর্শ করে। এরপর থেকে শেয়ারটির দর কমছে।
ডিএসইতে গত রোববার আমান কটন শেয়ারের সর্বশেষ দর ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ বা ৭ টাকা ১০ পয়সা কমে দাঁড়ায় ৬৪ টাকা ২০ পয়সায়। দিনভর দর ৬৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৭২ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল ৬৪ টাকা ৩০ পয়সা। যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ৭১ টাকা ৩০ পয়সা। এদিন ৫ হাজার ২১৩ বারে কোম্পানিটির মোট ২২ লাখ ৬৭ হাজার ৮০টি শেয়ারের লেনদেন হয়। তালিকাভুক্তির পর শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল ৬০ টাকা ও সর্বোচ্চ দর ৮৫ টাকা ৩০ পয়সা।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৮০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করে কোম্পানিটি। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের (ইআই) বিডিংয়ের মাধ্যমে ৪০ টাকা কাট অফ প্রাইস নির্ধারিত হয় আমান কটনের। এরপর ১০ শতাংশ ডিসকাউন্টে লটারির মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়।
২০১৭-২০১৮ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ১৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১৯ কোটি ৭৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আইপিও-পরবর্তী শেয়ারের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়ায় ১ টাকা ৯৩ পয়সা। পুনর্মূল্যায়নজনিত উদ্বৃত্তসহ হিসাব করলে ৩১ মার্চ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ৪০ টাকা ৯০ পয়সা।
তথ্যানুসারে, আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থে কারখানার নতুন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও আইপিও প্রক্রিয়ার খরচ বাবদ ব্যয় করবে আমান কটন। যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের জন্য কোম্পানিটি ব্যয় করবে ৪৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, ঋণ শোধে ব্যয় হবে ১৭ কোটি ১২ লাখ টাকা, চলতি মূলধন হিসেবে ব্যবহার করা হবে ১০ কোটি টাকা এবং বাকি সাড়ে ৩ কোটি টাকা আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহে ব্যয় হয়েছে।