দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে তালিকাভুক্ত করার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ডিএসই’র সময় আবেদেনের মাত্র একদিনের ব্যবধানেই এই নির্দেশ দিল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বুধবার (২৪ জুলাই) এ নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত এমডি আব্দুল মতিন পাটোয়ারি। কপারেটকের বিষয় নিয়ে কমিশনের কাছে ওয়েভার চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। কমিশন আমাদের ওয়েভার দিয়েছে। ডিএসই লিস্টিং রুলসের ৫ এর ৪ ধারা অনুসারে কোম্পানিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তালিকাভুক্ত করে তার আপডেট সহকারে চিঠি দিতে বলেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে তালিকাভুক্ত করার জন্য সময় চেয়ে বিএসইসিতে চিঠি দেয় ডিএসই কর্তৃপক্ষ। আইনগতভাবে কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির জন্য নির্ধারিত সময় অনেক আগেই পার হয়ে যাওয়ায় এ সময় আবেদন করা হয়।

আইনগতভাবে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে তালিকাভুক্ত করার সুযোগ না থাকায় গত ২২ জুলাই শর্তসাপেক্ষে কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয় ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ।

ডিএসই’র তালিকাভুক্তির নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করলে ওই কোম্পানির আইপিও সাবস্ক্রিপশন (আইপিও আবেদন গ্রহণ) শেষ হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তালিকাভুক্ত হতে হবে। তবে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ক্ষেত্রে সেই সময় অনেক আগেই পার হয়ে গেছে।

কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারবাজার থেকে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করার অনুমোদন পায়। এ টাকা উত্তোলনে ৩১ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করা হয়। ফলে চলতি বছরের ২৬ মে’র মধ্যে কোম্পানিটি ডিএসইতে তালিকাভুক্তির বাধ্যবাধকতা ছিল।

কিন্তু ডিএসই পর্ষদ অনুমোদন না দেওয়ায় কোম্পানিটির তালিকাভুক্তি আটকে যায়। এরপর ডিএসই’র পর্ষদ কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির জন্য ২৩ জুন পর্যন্ত সময় দিয়ে বিএসইসির কাছে দিক নির্দেশনা চেয়ে চিঠি দেয়। তবে বিএসইসি ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো দিকনির্দেশনা বা পরামর্শ দেয়া থেকে বিরত থাকে।

গত ১১ জুলাই কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ম্যানেজমেন্টের কাঁধে দায়িত্ব দেয় পরিচালনা পর্ষদ। এর আলোকে ম্যানেজমেন্ট কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের তালিকাভুক্তির বিষয়ে আইন-কানুন পর্যালোচনা করে। যা ডিএসই’র সভায় দাখিল করা হয়। যা যাছাই-বাছাই শেষে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে শর্তসাপেক্ষে তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই পর্ষদ।

এর আগে ২৩ মে আর্থিক হিসাবে অসঙ্গতির অভিযোগে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে তালিকাভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই পরিচালনা পর্ষদ। আর ৪ জুলাই কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ ইস্যুতে অসহযোগিতার জন্য বিতর্কিত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আহমেদ অ্যান্ড আক্তারের প্রাকটিসিং লাইসেন্স নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেয় দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি সব ধরনের কোম্পানির নিরীক্ষা কাজের যোগ্যতা হারিয়েছে।