খাদ্য পরিদর্শক পদে যোগ্য ও মেধাবীদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের নম্বর বাড়িয়ে নিয়োগ দেওয়ায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবসহ আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আলোচিত এ মামলায় অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ৪৪ খাদ্য পরিদর্শককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৭ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন বৈঠকে এ মামলার চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়। শিগগিরই বিচারিক আদালতে চার্জশিট পেশ করা হবে। অনুমোদনের বিষয়টি কমিশন সূত্র বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছে।

যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন হয়েছে তারা হলেন- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও খাদ্য বিভাগের সাবেক উপ-সচিব নাসিমা বেগম, জনপ্রশান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও সাবেক উপপরিচালক (সংস্থাপন) ইফতেখার আহমেদ, খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংগ্রহ) ইলাহী দাদ খান, ডেভেলপমেন্ট প্লানার্স অ্যান্ড কনসালট্যান্টসের পরিচালক মাহমুদুর রহমান, ম্যানেজার মো. আইউব আলী, সাবেক সিস্টেম অ্যানালিস্ট ও টেকনিক্যাল ম্যানেজার আসাদুর রহমান, সাবেক হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মো. আরিফ হোসেন এবং অ্যাসিসট্যান্ট ডাটাবেজ (অ্যাডমিন) মো. আবুল কাসেম।

নম্বরপত্র ঘষা-মাজার মাধ্যমে খাদ্য পরিদর্শক পদে আট নম্বরকে ৮৯ বানিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এভাবে ৪৪ জনকে খাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

তবে মামলায় আসামি করা হলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ও বাছাই কমিটির সদস্য রোকেয়া খাতুন এবং ঢাকা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) ও সরকারি কর্ম-কমিশন সচিবালয়ের সাবেক উপ-পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান ফারুকীসহ চাকরিতে যোগ দেওয়া ৪৪ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ থানায় নিয়োগ কমিটির পাঁচ কর্মকর্তা, কনসাল্টিং ফার্মের চারজন এবং নিয়োগ পাওয়া ৪৪ খাদ্য পরিদর্শকসহ মোট ৫৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছিল দুদক। দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। পরে এ মামলা তদন্ত করেন দুদকের উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান।

২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর খাদ্য পরিদর্শক পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি বিভাগীয় নির্বাচন/বাছাই কমিটি সভা শেষে উত্তীর্ণদের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর অভিযোগ উঠে জালিয়াতি করে এ পদে লিখিত পরিক্ষায় উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে।