প্রকৌশল খাতের ৮ কোম্পানির ডিভিডেন্ড নিয়ে শঙ্কা!
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের ৮ কোম্পানির ধারাবাহিক লোকসানের কারণে ডিভিডেন্ড নিয়ে শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানিগুলো হলো: এটলাস বাংলাদেশ, আজিজ পাইপস, বিডি বিল্ডিং সিস্টেমস, ইস্টার্ন ক্যাবলস, ন্যাশনাল টিউবস, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর এবং আরএসআরএম স্টিল মিল লিমিটেড। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিক পর্যন্ত (জুলাই’২০-মার্চ’২১) প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিগুলোর লোকসানে রয়েছে বিধায় ডিভিডেন্ড নিয়ে বিনিয়োগকারীদের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোকসানে রয়েছে রেনউইক যজ্ঞেশ্বর। কোম্পানিটি গত অর্থবছরের ৩টি প্রান্তিকেই শেয়ারপ্রতি লোকসান দেখিয়েছে। এর মধ্যে প্রথম প্রান্তিকে ৪০ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৮ টাকা ৩০ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে ৬ টাকা ৮১ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৫ টাকা ৫১ পয়সা। আগের বছর ২০২০ সালেও লোকসানের কারণে কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি।
এটলাস বাংলাদেশ গত অর্থবছরের ৩টি প্রান্তিকেই শেয়ারপ্রতি লোকসান দেখিয়েছে। এর মধ্যে- প্রথম প্রান্তিকে ৫২ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৯৪ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে ৬৪ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ১১ পয়সা। কোম্পানিটি আগের বছর ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
আজিজ পাইপস গত অর্থবছরে ৩টি প্রান্তিকেই শেয়ারপ্রতি লোকসান দেখিয়েছে। এর মধ্যে- প্রথম প্রান্তিকে ৭ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৪ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে ৩৭ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪৭ পয়সা। কোম্পানিটি আগের বছর ২০২০ সালে ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
বিডি বিল্ডিং সিস্টেমস গত অর্থবছরে প্রথম দুই প্রান্তিকে আয় করলেও তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান দেখিয়েছে। এর মধ্যে- প্রথম প্রান্তিকে ১০ পয়সা ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১১ পয়সা শেয়ারপ্রতি আয় এবং তৃতীয় প্রান্তিকে ১২ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১০ পয়সা। কোম্পানিটি আগের বছর ২০২০ সালে ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
ইস্টার্ন ক্যাবলস গত অর্থবছরে ৩টি প্রান্তিকেই শেয়ারপ্রতি লোকসান দেখিয়েছে। এর মধ্যে- প্রথম প্রান্তিকে এক টাকা ২৩ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২ টাকা ৬ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে এক টাকা ২২ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৫১ পয়সা। কোম্পানিটি আগের বছর ২০২০ সালে কোন ডিভিডেন্ড দেয়নি।
ন্যাশনাল টিউবস গত অর্থবছরে প্রথম প্রান্তিকে আয় দেখালেও শেষ দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান দেখিয়েছে। এর মধ্যে- প্রথম প্রান্তিকে ৬ পয়সা আয় এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১২ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে ১৯ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২৫ পয়সা। কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরে ৩ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
আরএসআরএম স্টিল গত অর্থবছরে ৩টি প্রান্তিকেই শেয়ারপ্রতি লোকসান দেখিয়েছে। এর মধ্যে- প্রথম প্রান্তিকে এক টাকা ৬ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে এক টাকা ৮ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে ৭৫ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৮৯ পয়সা। কোম্পানিটি আগের বছর ২০২০ সালে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
