দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে ব্রোকারেজ হাউজগুলোয় সশরীরে উপস্থিত হয়ে লেনদেন করা বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। আজ ডিএসই মতিঝিলের ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারী শুন্য ছিল। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের পাশাপাশি রেড জোনের ভয়ে হাউজগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। যেসব বিনিয়োগকারী লেনদেনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের অনেকেই টেলিফোনে, অনলাইনে কিংবা অ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচার আদেশ দিয়েছেন।

আর সংক্রমণ প্রতিরোধে হাউজগুলো থেকেও বিনিয়োগকারীদের সশরীরে উপস্থিতিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকেও অনলাইন, অ্যাপ ও ফোনের মাধ্যমে লেনদেন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এদিকে পুঁজিবাজারে হঠাৎ শেয়ার ক্রয়ের শীর্ষে ৫ ব্রোকারেজ হাউজ। বর্তমানে অধিকাংশ শেয়ার দর ফ্লোর প্রাইস ও অবমূল্যায়িত বাজারে বিনিয়োগ শুরু করেছে ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, এনবিএল সিকিউরিটিজ, শান্তা সিকিউরিটিজ ও ইউনাইটেড ফাইন্যান্সিয়াল ট্রেডিং কোম্পানি।

আরও পড়ুন…….  

পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের শর্ত তুলে নেওয়ার আহ্বান রকিবুর 

টানা দুই দিন দরপতনের পর কিছুটা উত্থান পুঁজিবাজারে 

গত সোমবার ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ (ডিলার ও গ্রাহক) থেকে ৮ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনা হয়েছে। এর বিপরীতে বিক্রি করা হয়েছে মাত্র ৯ লাখ টাকার। অর্থাৎ নিট বিনিয়োগ করা হয়েছে ৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকার। যা সোমবার যেকোন হাউজের মধ্যে বেশি বিনিয়োগ।

ইউনাইটেড সিকিউরিটিজের মতো বিনিয়োগ করেছে এনবিএল সিকিউরিটিজ, শান্তা সিকিউরিটিজ ও ইউনাইটেড ফাইন্যান্সিয়াল ট্রেডিং কোম্পানি। সোমবার এনবিএল সিকিউরিটিজ থেকে ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনা হয়েছে। এর বিপরীতে বিক্রি করা হয়েছে ২ লাখ টাকার। অর্থাৎ নিট বিনিয়োগ করা হয়েছে ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন…….  

সোমবার শান্তা সিকিউরিটিজ থেকে ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনা হয়েছে। এর বিপরীতে বিক্রি করা হয়েছে ৩৯ লাখ টাকার। অর্থাৎ নিট বিনিয়োগ করা হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আর ইউনাইটেড ফাইন্যান্সিয়াল ট্রেডিং কোম্পানি থেকে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনা ও ৪৯ লাখ টাকার বিক্রি করা হয়েছে। অর্থাৎ নিট বিনিয়োগ করা হয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এদিকে আজ রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি আইসিবি নতুন করে শেয়ার ক্রয় শুরু করছে। আজ আইসিবি সিকিউরিটিজ, আইএসটিসিএল শেয়ার বিক্রয়ের চেয়ে শেয়ার কিনছে বেশি।

আরও পড়ুন…….  

ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান,  হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিত নেই। আমরা বিনিয়োগকারীদের হাউজে এসে লেনদেনের পরিবর্তে অনলাইন, ফোন কিংবা অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করতে উৎসাহিত করছি।