দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক। ব্যাংকটি ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আওতায় প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিওরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করেছে। এর বিপরীতে ব্যাংকটি পুঁজিবাজারে ১২ কোটি শেয়ার ছাড়বে।

রও পড়ুন..

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা উচ্চ সুদের কারণে অস্বস্তিতে

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি করার কাজ হচ্ছে: শিবলী রুবাইয়াত

ব্যাংকের আইপিও প্রসপেক্টাস অনুসারে, আইপিও থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে টিয়ার-১ মূলধন বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা ফেস ভ্যালুতে (অভিহিত দর) ইস্যু করা হবে। এর মধ্যে সরকারি সিকিউরিটিতে ১১০ কোটি টাকা, পুঁজিবাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটে ৬.০৫ কোটি টাকা এবং আইপিওর ব্যয় বহনের জন্য ৩.৯ কোটি টাকা খরচ করবে।

ব্যাংকটির প্রি-আইপিও পরিশোধিত মূলধন ৫৮২.৫১ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২.০২ টাকা, যা আগের বছরে ১.৮২ টাকা ছিল। খসড়া প্রসপেক্টাস অনুযায়ী ২০২০ সালের জানুয়ারী থেকে জুনে ইপিএস ছিল ০.৬২ টাকা।

এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড এই ব্যাংকের ইস্যু ম্যানেজার।সর্বশেষ ২০০৮ সালের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক তালিকাভুক্তীর পর এটি প্রথম ব্যাংক হবে। এনআরবিসি ব্যাংককে ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

ব্যাংকের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে গ্রাহক আমানত গ্রহণ, খুচরা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ এবং কর্পোরেট গ্রাহকদের ঋণ প্রদান, অর্থ প্রদান, ঋণপত্র প্রদান, আন্তঃ ব্যাংক ঋণ গ্রহণ এবং ঋণ প্রদান এবং সরকারী সিকিওরিটি এবং ইক্যুইটি শেয়ার লেনদেন সহ ব্যাংকিং সম্পর্কিত কার্যক্রম।

এর সারা দেশে ৭৫টি শাখা, ৪২টি উপশাখা এবং ৫৮৩টি এজেন্ট ব্যাংকিং অংশীদার রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালে এনআরবিসি ব্যাঙ্কসহ নয়টি ব্যাংকে লাইসেন্স দিয়েছে। শর্ত ছিল যে ব্যাংকগুলো বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে।

নয়টি ব্যাংক হ’ল মেঘনা ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক ও বাণিজ্য ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংক ( এখন পদ্মা ব্যাংক) এবং ইউনিয়ন ব্যাংক।

তবে কোনও ব্যাংক এখনও লাইসেন্স শর্ত মেনে চলেনি। বাংলাদেশে ৬০টি তফসিলী ব্যাংক রয়েছে যেখানে ৩০টি ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে যেগুলো মোট বাজার মূলধনের প্রায় ১৮ শতাংশ ধারণ করে।।