দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ইউসিবি ক্যাপিটালসহ কিছু ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিএসইসিকে লিগ্যাল নোটিশ নোটিশ দিয়েছেন এক বিনিয়োগকারী। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) মোঃ মনোয়ার হোসেন নামের এক বিনিয়োগকারীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এ চৌধুরী এ লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন।

রও পড়ুন..

ইউনাইটেডের আশুগঞ্জ এনার্জি লিমিটেডের ডিভিডেন্ড ঘোষণা

উল্লেখ্য, কোন নোটিশ ছাড়াই কিছু ব্রোকারেজ হাউজ বীমা খাতের শেয়ারে মার্জিন ঋণ বন্ধ করে দিয়েছে। এর মধ্যে ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ বীমা খাতের ২০ কোম্পানির শেয়ারে মার্জিন ঋণ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে রোববার পুরো পুঁজিবাজারে ছড়িয়ে পড়ে বীমা খাতের কোম্পানিতে মার্জিন ঋণ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

যাতে সোমবার (১৩ অক্টোবর) বীমা খাতের পাশাপাশি পুরো শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তাই এ বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্তের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন এক বিনিয়োগকারী।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, আমাদের ক্লায়েন্ট শেয়ারবাজারের নিয়মিত বৈধ বিও হিসাবধারি। তিনি শেয়ার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি নিয়মিত শেয়ারবাজারে লেনদেন করেন। নিয়মিত বিনিয়োগকারীরা হিসেবে আমাদের ক্লায়েন্ট ক্লোজলি বাজার মনিটরিং করেন। তবে গতকাল বীমা খাতের শেয়ারের অস্বাভাবিক পতন দেখেছেন। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ বীমা খাতের শেয়ারে মার্জিন ঋণ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমনকি স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এ জাতীয় কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

নোটিশে বলা হয়েছে, ব্রোকারেজ হাউজগুলো কোন ধরনের নোটিশ ছাড়াই বীমা কোম্পানির শেয়ারে মার্জিন বন্ধ করেছে। এটা বিনিয়োগকারীদেরকে হতবাক করেছে। তাদের এমন সিদ্ধান্তে গতকাল বীমা কোম্পানির শেয়ারে ধস নেমেছে।

এই কমিশন বিনিয়োগবান্ধব শেয়ারবাজার গঠনে কাজ করছে বলে নোটিশে জানানো হয়। তবে এখনো কেউ কেউ এর অন্তরায় কাজ করছে। তাই এ জাতীয় কাজে যেসব ব্রোকারেজ হাউজ জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বীমা কোম্পানিগুলোতে মার্জিন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএসইসিকে গভীর তদন্ত করার অনরোধ করা হয়েছে লিগ্যাল নোটিশে।