ডিএসই সূচকে ওয়ালটনের বড় ধাক্কা
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন বড় মূলধনী কোম্পানি হওয়ায় সূচককে টেনে ধরতে বড় আঁকারে ভুমিকা রাখে। আজ ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি সূচকের উত্থানে অবদান রেখেছিলো ১৬৯ পয়েন্ট। আর ওয়ালটন একাই সূচক টেনে ধরেছে ১২৫ পয়েন্ট। তবে দিনশেষে ডিএসই সূচকের উত্থান হয়েছে ৩১ পয়েন্ট। আমার স্টক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ শতাংশ শেয়ার অপলোড করার খবর প্রকাশের পর থেকে কোম্পানিটির শেয়ার দরে ধারাবাহিক পতন হয়। যদিও কোম্পানিটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শেয়ার অফলোড করার সময় চান। কোম্পানিটি তিন বছরের মধ্যে ৪ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে চায়। আর বাকি ৫ শতাংশ পরবর্তীতের বিসইসির সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু এ আশ্বাসের পরও শেয়ার দরে পতন থামেনি। বরং পতনও আরও বেগবান হয়েছে।
আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২০৬ টাকা ৯০ পয়সায়। আগের দিন শেয়ার দর ছিলো ১২৬৬ টাকা ১০ পয়সায়। অর্থাৎ একদিনে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৫৯ টাকা ৭০ পয়সা বা ৪.৭২ শতাংশ। দর পতনের মাধ্যমে কোম্পানিটি আজ ডিএসইর সূচক টেনে ধরেছে ১২৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার দর কমানে ডিএসইর সূচক ১২৫ পয়েন্ট কমেছে। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সর্বশেষ বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিটি ২৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ৫৪ টাকা ২১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিলো ২৪ টাকা ২১ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩১১ টাকা ৫৯ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ২৬.৫০ পয়েন্টে।
ওয়ালটন হাইটেক বর্তমানে স্পন্সর ডিরেক্টরদের কাছে শেয়ার রয়েছে ৯৯.০৩ শতাংশ। আর বিদেশি বিনিয়োগকারী, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ০.৯৭ শতাংশ। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ০.৪৮ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.৩৯ শতাংশ এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.১০ শতাংশ।