দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ক্যাটাগরি পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা আসছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কারণ লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি নতুন নির্দেশনা জারির বিষয়ে কাজ করছে বিএসইসি।

মূলত জেড ক্যাটাগরি সংক্রান্ত কমিশনের সাম্প্রতিক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে কিছুটা অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। এটি দূর করতে নতুন আরেকটি নির্দেশনা জারি করা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

রও পড়ুন..

বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সংস্কার প্রয়োজন : জাপানি রাষ্ট্রদূত

ডিএসইর ট্রেক ৫ কোটি টাকা, জামানত ৩ কোটি

এ বছরের সেপ্টেম্বরে জারি করা বিএসইসির আদেশ অনুসারে, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি পরপর ২ হিসাব বছরে নগদ লভ্যাংশ না দিলে তাকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে। যেখানে এর আগের নিয়মানুসারে যে কোন হিসাব বছরে লভ্যাংশ না দিলেই তাকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানো হত। ফলে এখন থেকে কোন কোম্পানি এক বছর কোনো লভ্যাংশ না দিলেও তার ক্যাটাগরি পরিবর্তন হবে না।

বিএসইসির নতুন আদেশে শুধু ‘জেড’ ক্যাটাগরি বিষয়েই বলা হয়েছে। সেখানে অন্য ক্যাটাগরির বিষয়ে কিছু বলা হয় নি। এরফলে এ সংক্রান্ত আগের আদেশই বহাল রয়েছে। এক্ষেত্রে ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দিলে কোম্পানি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থান পাবে।

‘জেড’ ক্যাটাগরি সংক্রান্ত বিএসইসির নতুন আদেশ এবং অন্যান্য ক্যাটাগরি বিষয়ে আগের আদেশ বহাল থাকার কারণে এ বিষয়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা ও ক্যাটাগরি পরিবর্তনের বিষয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। ধরা যাক তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানি গত ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে এবং ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরে যদি কোম্পানিটি কোন লভ্যাংশ না দেয় তাহলে বিএসইসির নতুন আদেশ অনুসারে তাকে আগের মত ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোম্পানিটির ক্যাটাগরি অপরিবর্তিত থাকছে। অন্যদিকে কোম্পানিটি যদি ২০১৯-২০ হিসাব বছরে ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেয় তাহলে তার ক্যাটাগরি পরিবর্তন হয়ে ‘বি’ তে নেমে যাবে।

এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ক্যাটাগরি ধরে রাখার জন্য লভ্যাংশ দেয়ার চেয়ে না দেয়াই ভালো। এরইমধ্যে কয়েকটি কোম্পানি ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সামনে অন্যান্য কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ ঘোষণা করবে। এঅবস্থায় আইনী অস্পষ্টতার সুযোগে কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের ঠকাতে লভ্যাংশ ঘোষণা না করেই ক্যাটাগরি ধরে রাখার সুযোগ নিতে পারে।

সম্প্রতি পচা বা ‘জেড’ গ্রুপে থাকা ১২ কোম্পানির ক্যাটাগরি বদলে গেছে। এর মধ্যে ৬টি ‘এ’ গ্রুপে এবং ৬টি ‘বি’ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী কোম্পানিগুলোর এ ক্যাটাগরি পরিবর্তন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ বা ‘বি’ গ্রুপভুক্ত কোনো কোম্পানি পূর্ববর্তী বছরে লভ্যাংশ দিলে পরের বছর তা দিতে না পারলেও সেটি জেড ক্যাটাগরিতে যাবে না, মঙ্গলবার এমন একটি নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই নির্দেশনা জারির পর আজ বুধবার কোম্পানিগুলোর ক্যাটাগরি পরিবর্তন করেছে ডিএসই। তবে ৩০ কার্যদিবস কোম্পানিগুলোর শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে ঋণ সুবিধা বন্ধ রাখতে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

‘জেড’ গ্রুপ থেকে ‘এ’ গ্রুপে ফিরেছে: এবি ব্যাংক, ফু-ওয়াং সিরামিক, হেইডেলবার্গ সিমেন্ট, লিবরা ইনফিউশনস, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স ও রেনউয়িক যজ্ঞেশ্বর। ‘জেড’ গ্রুপ থেকে ‘বি’ গ্রুপে ফিরছে-: বিডি থাই, অ্যাপোলো ইস্পাত, খান ব্রাদার্স পিপি, সাফকো স্পিনিং, সালভো কেমিক্যাল ও জাহিনটেক্স।