পুঁজিবাজারে ৩৭ কোম্পানির শেয়ার সম্পদমূলের ৫ গুণ বেশি দরে
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৭ কোম্পানির শেয়ার সম্পদমূল্যের ৫ গুনের বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে। এর মধ্যে সম্পদমূল্যের সর্বোচ্চ ১১৭ গুণ এবং সর্বনিন্ম ৫ গুণ দরে লেনদেন হচ্ছে কোম্পানিগুলোর শেয়ার। এই ৩৭টি কোম্পানির মধ্যে সম্পদ মূল্যের চেয়ে সর্বোচ্চ ১১৭ গুণ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে সাভার রিফ্যাক্টোরীজের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হচ্ছে মুন্নু এগ্রো, তৃতীয় অবস্থানে আরএন স্পিনিংয়ের শেয়ার দর। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এই ৩৭ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে: সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ, মুন্নু এগ্রো, আরএন স্পিনিং, কেয়া কসমেটিকস, ফাইন ফুডস, রহিমা ফুড, গ্রামীণ ফোন, আনোয়ার গালভানাইজিং, ইউনিলিভার কনজুমার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ম্যারিকো, বিডি অটোকার্স, এমবি ফার্মা, রেকিট বেনকিজার, ইস্টার্ন কেবলস, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, দেশ গার্মেন্টস, রহিম টেক্সটাইল, বিকন ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার,
প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, ইমাম বাটন, স্টাইলক্র্যাফট, আলহাজ টেক্সটাইল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, কোহিনুর কেমিক্যাল, সমতা লেদার, ওরিয়ন ইনফিউশন, ন্যাশনাল টি, জেনেক্স ইনফৌসিস, বঙ্গজ, সিঙ্গার বিডি, রংপুর ফাউন্ড্রি, ওয়াটা কেমিক্যাল এবং ফার্মা এইড লিমিটেড। ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিগুলোর বর্তমান সম্পদমূল্য এবং সর্বশেষ শেয়ার দর নিচে তুলো ধরা হলো:
সাভার রিফ্র্যাক্টরিজের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ২ টাকা ১৯ পয়সা এবং শেয়ার দর ২৫৭ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ১১৭.৩৫ গুন বেশি।
মুন্নু এগ্রোর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৩ টাকা ৫৭ পয়সা এবং শেয়ার দর ৮৪৯ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৬২.৫৯ গুন বেশি।
আরএন স্পিনিংয়ের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৭ পয়সা এবং শেয়ার দর ৮ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৪৯.৪১ গুন বেশি।
কেয়া কসমেটিকসের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ২৫ পয়সা এবং শেয়ার দর ১০ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৪০ গুন বেশি।
ফাইন ফুডসের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১ টাকা ৫৫ পয়সা এবং শেয়ার দর ৫৯ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৩৮.৩৮ গুন বেশি।
রহিমা ফুডের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৯ টাকা ৬৩ পয়সা এবং শেয়ার দর ৩৬৮ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৩৮.২৩ গুন বেশি।
গ্রামীণ ফোনের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৩৬ টাকা ৯৮ পয়সা এবং শেয়ার দর ৩৬২ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৩৬.৮৯ গুন বেশি।
আনোয়ার গালভানাইজিংয়ের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৫২ পয়সা এবং শেয়ার দর ৩৫৭ টাকা ৩০। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৩১.০১ গুন বেশি।
ইউনিলিভার কনজুমার লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৯৭ টাকা ৬৭ পয়সা এবং শেয়ার দর ২ হাজার ৭৮৯ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ২৮.৫৫ গুন বেশি।
স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৮ টাকা ৮৫ পয়সা এবং শেয়ার দর ২৫২ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ২৮.৫৬ গুন বেশি।
ম্যারিকোর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৮৬ টাকা ২৪ পয়সা এবং শেয়ার দর ২ হাজার ৩২২ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ২৬.৯২ গুন বেশি।
বিডি অটোকার্সের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৬ টাকা ৮০ পয়সা এবং শেয়ার দর ১৭০ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ২৫.০৮ গুন বেশি।
এমবি ফার্মার শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ২৩ টাকা ২৫ পয়সা এবং শেয়ার দর ৪৫৬ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ১৯.৬১ গুন বেশি।
রেকিট বেনকিজারের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ২৩২ টাকা ৯৮ পয়সা এবং শেয়ার দর ৪ হাজার ৪১৬ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ১৮.৯৫ গুন বেশি।
ইস্টার্ন কেবলসের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৫৯ পয়সা এবং শেয়ার দর ১৩৯ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ১৩.১৭ গুন বেশি।
সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৯৯ পয়সা এবং শেয়ার দর ২০২ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ১১.৮৮ গুন বেশি।
স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৮ টাকা ৮৫ পয়সা এবং শেয়ার দর ৯৯ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ১১.২৮ গুন বেশি।
দেশ গার্মেন্টসের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৯ টাকা ১০ পয়সা এবং শেয়ার দর ১৯০ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৯.৯৪ গুন বেশি।
রহিম টেক্সটাইলের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৩৭ টাকা ৫৯ পয়সা এবং শেয়ার দর ৩৪৩ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৯.১৩ গুন বেশি।
বিকন ফার্মার শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ২২ টাকা ৭১ পয়সা এবং শেয়ার দর ২০৫ টাকা ৭০ পয়সায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৯.০৫ গুন বেশি।
ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৩২ টাকা ৪১ পয়সা এবং শেয়ার দর ২৯৩ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৯.০৫ গুন বেশি।
প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৯ টাকা ৮৬ পয়সা এবং শেয়ার দর ১৭৭ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৮.৯৪ গুন বেশি।
ইমাম বাটনের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৪ টাকা ৮১ পয়সা এবং শেয়ার দর ৪১ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৮.৫৬ গুন বেশি।
স্টাইলক্র্যাফটের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ২৩ টাকা ৯৫ পয়সা এবং শেয়ার দর ১৯৪ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৮.১২ গুন বেশি।
আলহাজ টেক্সটাইলের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৮ টাকা ৭৩ পয়সা এবং শেয়ার দর ৬৭ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৭.৭৬ গুন বেশি।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ২০ টাকা ৮৫ পয়সা এবং শেয়ার দর ১৫৮ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৭.৫৯ গুন বেশি।
লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৫১ পয়সা এবং শেয়ার দর ৮১ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৭.০৮ গুন বেশি।
কহিনুর কেমিক্যালের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৫২ টাকা ২১ পয়সা এবং শেয়ার দর ৩৩৪ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৬.৩১ গুন বেশি।
সমতা লেদারের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৪ টাকা ৩২ পয়সা এবং শেয়ার দর ১০১ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৬.০০ গুন বেশি।
ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৯৫ পয়সা এবং শেয়ার দর ৯০ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৬.৯৬ গুন বেশি।
ন্যাশনাল টি কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৮৪ টাকা ৩৪ পয়সা এবং শেয়ার দর ৫৬৮ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৬.৬৭ গুন বেশি।
জেনেক্স ইনফৌসিসের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৮ টাকা ০৭ পয়সা এবং শেয়ার দর ১১৫ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৬.৩৮ গুন বেশি।
বঙ্গজের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ২১ টাকা ৪০ পয়সা এবং শেয়ার দর ১৫৪ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৫.৭৩ গুন বেশি।
সিঙ্গার বিডির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৩৩ টাকা ৭২ পয়সা এবং শেয়ার দর ১৮৬ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৫.৫২ গুন বেশি।
রংপুর ফাউন্ড্রির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ২৮ টাকা ৪৭ পয়সা এবং শেয়ার দর ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৫.৮৪ গুন বেশি।
ওয়াটা কেমিক্যালের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৫৯ টাকা ৫৮ পয়সা এবং শেয়ার দর ৩২৪ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৫.৪৪ গুন বেশি।
ফার্মা এইডের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৮৯ টাকা ৪৫ পয়সা এবং শেয়ার দর ৪৬০ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির সম্পদমূল্যের তুলনায় শেয়ার দর ৫.১৫ গুন বেশি।
পুঁজিবাজারের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন
১১ বছর পর পুঁজিবাজারে রেকর্ড, নতুন আশায় বিনিয়োগকারীরা
স্বল্প মূলধনী কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধিতে বিএসইসি’র কমিটি
৮ কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধিতে ডিএসই রেড এলার্ট
জুলাই মাসে ৩০ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে
পুঁজিবাজারে ৩৭ কোম্পানির শেয়ার সম্পদমূলের ৫ গুণ বেশি দরে
RSI অনুযায়ি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে ১৮ কোম্পানি
বেক্সিমকোর কাছে শেয়ার বিক্রির টাকার অনুমতি পেয়েছে সানোফি
ইউরোপে একদিনে রেকর্ড ২.৪৪ মি. ডলারের টিভি রপ্তানি ওয়ালটনের
অরিজা এগ্রো’র রোববার থেকে আবেদন শুরু